বিনোদন

কৌশলে মুক্ত এক যুবক, তিনজনকে নিয়ে আত্মগোপনে পাচারকারীরা

ডেস্ক রিপোর্টঃ দালালের খপ্পরে পড়ে জিম্মি চট্টগ্রামের চার যুবকের একজন পালিয়ে লিবিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বাকি তিনজনকে নিয়ে স্থান বদলে আত্মগোপনে চলে গেছেন পাচারকারীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পালিয়ে যাওয়া তরুণের নাম মো. ওয়াসিম (২০)। তিনি আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের নুরুল আলমের ছেলে।

এখনো পাচারকারী চক্রের কাছে জিম্মি রয়েছেন রায়পুর ইউনিয়নের মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২১), আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম (২০) ও জেবল হোসেনের ছেলে নঈম উদ্দিন (২২)।

ওয়াসিমের মামা নাছির উদ্দিন জানান, জিম্মি যুবকদের যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল এর শৌচাগারের ভেন্টিলেটর ভেঙে ওয়াসিম পালিয়ে যান। এরপর তিনি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের যে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়েছে। তবে এর আগেই পাচারকারীরা বাকি তিন জিম্মিকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

অপহরণের শিকার যুবকদের স্বজনরা জানান, আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলামকে লিবিয়া যাওয়ার জন্য টাকা দেন তারা। গত ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে দেয় জিম্মি যুবকদের পরিবার। কথা ছিল লিবিয়ার হাসপাতালে তাদের চাকরি দেওয়া হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা লিবিয়া পৌঁছান। তবে লিবিয়া পৌঁছার ৩/৪ দিন আগ থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে হোয়াটঅ্যাপ, ইমোতে ফোন করে আরও টাকা চাওয়া শুরু হয়। ভুক্তভোগীরা লিবিয়া পৌঁছার পর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন শুরু করেন পাচারকারীরা। এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয় পরিবারের সদস্যদের কাছে।

ভুক্তভোগীদের ট্যুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যান জহিরুল। সেখানে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার মো. মিজানের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। তিনদিন পর মিজান তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেন। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিশর হয়ে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে মিজান অন্য দালালের কাছে বিক্রি করে দেন চট্টগ্রামের চার যুবককে।

এ ঘটনার বিষয়ে ২৭ মার্চ বিকেলে ভুক্তভোগীদের পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।

এএজেড/কেএসআর/এএসএম

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় জাগো নিউজ ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *