সারাদেশ

ভোমরা স্থলবন্দরে ৫ দিন বন্ধ আমদানি-রফতানি

ডেস্ক রিপোর্ট: ভোমরা স্থলবন্দরে ৫ দিন বন্ধ আমদানি-রফতানি

ছবি: বার্তা২৪.কম

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে সব ধরনের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম টানা ৫ দিন বন্ধ থাকবে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করতে পারবেন।

রোববার (৭ এপ্রিল) ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি। এছাড়া ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এই পাঁচ দিন ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ভোমরা বন্দরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ী নেতারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ভোমরা কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজরিহা হোসাইন বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পাঁচদিন বন্দরের আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও এসময় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

সূর্য মাঝির জালে ২২০ মণ রুপালী ইলিশ

ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের জেলে সূর্য মাঝির জালে ধরা পড়েছে ২২০ মণ ইলিশ।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল)বঙ্গোপসাগরে মৌডুবি এলাকা থেকে পূর্ব-দক্ষিন ৪০ কিলোমিটার গভীরে ওই মাছ ধরা পড়ে এফবি আল্লাহর দয়া-১ নামের ট্রলারে।

সমুদ্রে জাল টানতেই দেখা যায় পুরো জালে আটকে আছে রুপালি ইলিশ।

গত শনিবার (৬ এপ্রিল) মৎস্য বন্দর আলীপুরে ট্রলার নিয়ে মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে আসেন সূর্য মাঝি। পরে আলীপুরের খান ফিসে নিলামের মাধ্যমে মাছ বিক্রি শুরু করেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এই মাছ বিক্রি শেষ হয়। বছরের সবচেয়ে বেশী মাছ পাওয়া এই ট্রলারটি বাশখালীর হাজী আহম্মদ শফী কোম্পানীর মালিকানাধীন। বাশখালীর হলেও এই ট্রলারগুলো মাছ বিক্রি করতে আলীপুর-মহিপুর বন্দরে আসে।

মাছ পাওয়া ট্রলারের সূর্য মাঝি জানান, ‘ওই দিন সমুদ্রে বের হয়ে জাল ফেলতেই অসংখ্য মাছ আটকা পরে। অতিরিক্ত মাছ আটকানোর কারনে আমরা পুরোপুরি নিয়ে আসতে পারিনি। তবে যে পরিমান মাছ অন্য ট্রলারকে দিয়ে আসছি সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পিচ মাছ রয়েছে সেখানে অনন্ত ৫০ মণ মাছ হবে। আর আমরা তীরে যা নিয়ে আসছি সেগুলো থেকে বরফ সংকটের কারনে প্রায় ২০ মন মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে আর ১৫০ মন মাছ বিভিন্ন দামে বিক্রি করেছি। মাছগুলো একদম তাজা না থাকার কারনে কাঙ্খিত দাম পাইনি। যা পেয়েছি তাতে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা দাম হবে। এই বছরের সবচেয়ে বেশী মাছ পেয়ে আমরা এবং আমাদের কোম্পানিও অনেক খুশী।’

খান ফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. রহিম খান জানান, ‘বাশখালীর এই ট্রলারটি আমার আড়তে মাছ বিক্রি করে। ট্রলারটিতে এই বছরে সবচেয়ে বেশী মাছ পেয়েছে। এখানে ১০টি দামে মাছ বিক্রি হয়েছে অর্থ্যাৎ ছোট, বড়, মাঝারি এবং মানের দিক দিয়ে বিভিন্ন দাম পেয়েছে। মাছগুলো সর্বনিম্ন ৫ হাজার ৬০০ টাকা মণ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। আর মাছগুলো আলীপুর-মহিপুরের পাইকাররা ৫মণ ১০মণ করে কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়েছে। সামনে বৈশাখ থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাবে।’

কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালনের একটি সুফল হিসাবে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, জেলিফিশটা কমে গেছে আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এই বছরের সবচেয়ে বেশী মাছ এই মাঝির জালে মিলেছে।’

তিনি আরো জানান, আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ। সে পর্যন্ত জেলেরা এ রকম মাছ পাবে বলে আশা করছি।’

;

‘ঘরে চাল নেই, ঈদের বাজার করবো কোথা থেকে’

ছবি : সংগৃহীত

‘ঘরে চাল নেই, ঈদের বাজার করবো কোথা থেকে!’ এমন হৃদয়বিদারক কথা বলে দূঃখ প্রকাশ করেছেন ষাটোর্ধ্ব বয়সের মিনা বেগম। দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে থাকা স্বত্তেও বড় মেয়ে ছাড়া তার ঠাই মেলেনি কারও কাছে। এখন বড় মেয়ে শিলা আক্তারই তার একমাত্র ভরসা।

মিনা বেগমের স্বামী মো. সালাম মারা গিয়েছেন করোনারও অনেক আগে। পরিবারের দারিদ্রতার কারণে রাজধানীর তালতলা মার্কেটের সামনে বাচ্চাদের জুতা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

মিনা বেগম থাকেন রাজধানীর চিটাগাং রোডে। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চাইলেও সে সামর্থ্য আর হয়ে উঠেনি তার। চোখে মুখে ফুটে উঠেছে চিন্তার ভাজ। বিষন্ন চেহারায় তাকিয়ে আছেন ক্রেতাদের দিকে। জুতা বিক্রির টাকা দিয়ে ঘরের জন্য নিয়ে যাবেন চাল।

তার চেহারের দিকে তাকালেই মনে হয়, কত-শত কষ্ট জমিয়ে রেখেছে মনে। শেষ বয়সে এসে আরাম আয়েশে থাকার কথা থাকলেও সেই ভাগ্যটুকু হয়নি তার।

মিনা বেগম বার্তা ২৪. কমের প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই দারিদ্র্যতা আমার পিছু নিয়েছে। আমার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে আছে। সবাইকে বিয়েও দিয়েছি। ছেলেদেরও তেমন সামর্থ্য নেই। তারাও গরিব। সেজন্য আমি বড় মেয়ের সাথে থাকি। আমরা সবাই চিটাগাং রোডে জুতা বিক্রি করতাম। কিন্তু, পুলিশও আমাদেরকে সেখান থেকে উঠিয়ে দিয়েছে। অভাব অনটনে দিন যাচ্ছে আমাদের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর দুই তিনদিন পর ঈদ। কিন্তু ঘরে চাল নেই, ঈদের বাজার করবো কিভাবে! এই অভাব-অনটনের সংসার আর ভালো লাগে না। আমার বড় মেয়েকে সাহায্য করার জন্যই আমি জুতা বিক্রি করছি। আমার নাতি-নাতনী মোট দশ জন। তাদেরকেও সালামি দিতে হবে। কোথা থেকে দিবো, কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।’

;

আবাসিক হোটেল থেকে চলচ্চিত্র পরিচালকের মেয়ের লাশ উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে সামিয়া রহমান সৃষ্টি (৩৪) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমানের মেয়ে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন রংধনু আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এস আই সাব্বির বলেন, সন্ধ্যার পর হোটেল কতৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেটি উদ্ধার করা হয়।

জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মৃত সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।

পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। আজ দুপুরে তিনি যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে উঠেন।

ইফতারের সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। কিন্তু, কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়।

এরপর সেখানে গিয়ে হোটেলের রুমটির দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

;

মেয়রের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় হামলার শিকার রক্তযোদ্ধা

ছবি : সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে ‘রক্তযোদ্ধা’ বলে পরিচিত মীর মাসুদকে। এ ঘটনায় রবিবার(৭ এপ্রিল) সন্ধ্যয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভুগী মাসুদ।

এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে মেয়রের গাজী কমপ্লেক্সের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের নিচ থেকে ডেকে নিয়ে পাশের মন্দিরের ভেতরে মাসুদের উপর এ হামলা চালানো হয়। আহত মাসুদ রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

মাসুদ রায়পুর ব্লাড ডোনেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পৌরসভার পূর্বলাচ এলাকার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ক্লাবে ৯০০ রক্তদাতা রয়েছে। তারা রবিবার পর্যন্ত ৪৭৫০ ব্যক্তিকে বিনামূল্যে রক্তদান করেছেন।

জেলার যেকোনে স্থানে কারো রক্ত প্রয়োজনের ডাক শুনলে রাত-বিরাতে মাসুদ ছুটে যান, সংগ্রহ করে দেন কাঙ্খিত রক্ত। এ ছাড়া মাসুদ রায়পুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক।

আহতের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদ ফেসবুকে শনিবার বিকালে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লিখেন, ‘রায়পুর পৌরসভার মেয়র রুবেল ভাটের নির্বাচনের সময় সহযোগী সংগঠনের প্রয়োজন হয়। আর এখন ভিজিএফ চালের কার্ড বিতরণে সহযোগী সংগঠনকে চিনেন না’। এরপর এক ব্যক্তির অনুরোধে মাসুদ ফেসবুক স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন।

রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মেয়রের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত স্থানীয় বয়াতি বাড়ির মহিন হোসেন মোবাইল ফোনে করে মাসুদকে মেয়রের অফিসের নিচে আসতে বলেন। সেখানে আসলে তাকে পাশের মন্দিরের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে কেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা জানতে চেয়ে এলোপাতাড়ি মারধরে রক্তাক্ত করা হয় মাসুদকে। তার মুখ ও কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হামলাকারী মহিন হোসেন বলেন, ‘মাসুদের সঙ্গে আমার ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে দেখি সে রক্তাক্ত। আমার টিকটকে সে বাজে কমেন্টস করায় তাকে ডেকে এনেছি।’

আহত মীর মাসুদ বলেন, ‘টিকটকের কোনো ঘটনাই নেই। মেয়রের স্ট্যাটাসের কথা বলেই আমাকে পিটিয়েছে। ঘটনার পর আমি থানায় গিয়ে ওসিকে দেখিয়েছি। আমি মামলা করবো।’

রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে মাসুদকে আমিও দেখে এসেছি। হামলাকারী মহিনকে আমি ডেকে জেনেছি, টিকটক নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব। মাসুদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখার আমার সময় কই?’

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ‘আহত মাসুদ থানায় এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *