সারাদেশ

ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়াও ইবাদত

ডেস্ক রিপোর্ট: ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়াও ইবাদত

জীবনে অন্তত একবার আপনি যাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছেন, ছবি : সংগৃহীত

মুমিন নিজে যেমন ভালো কাজ করতে ভালোবাসে, তেমনি অন্যকেও ভালো কাজে উৎসাহিত করে। কারণ আল্লাহর রাসুল (সা.) তাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান সওয়াব পাবে। অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানো হবে না।’ প্রকৃত মুমিনরা সর্বদা ভালো কাজে আত্মনিয়োগের চেষ্টা করে এবং অন্যকে ভালো কাজের দিকে আহ্বান করে।

আসুন, সবাই ফরজ ইবাতদের পাশাপাশি নফল ইবাদতে সাধ্যমতো ভালো করার চেষ্টা করি। ইচ্ছা করলে আমরা কষ্ট ছাড়া সহজে যেসব ভালো কাজ করতে পারি-

যার প্রতি আপনার হিংসা কিংবা পার্থিব প্রতিযোগিতা আছে, তার উন্নতির জন্য দোয়া করুন। সবার সঙ্গে সাধ্যমতো হাসিমুখে সাক্ষাৎ করুন ও কথা বলুন। কোনো অভাবীকে একবেলা খাবার কিনে দিন। পিতা-মাতা ও পরিবারের কাজে সাহায্য করুন। যার সঙ্গে আপনার মনোমালিন্য আছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করুন। একজন এতিমের মাথায় হাত বুলান, তাকে স্নেহ করুন এবং কিছু উপহার দিন।

কেউ যদি আপনার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়, আপনি সঠিক হওয়া সত্ত্বেও এড়িয়ে যান। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করুন, যেমন কাউকে টাকা ভাংতি দিন; পথ দেখিয়ে দিন। ঋণগ্রহীতার ঋণের কিছু অংশ মাফ করে দিন এবং আল্লাহর কাছে তার বিনিময় প্রত্যাশা করুন। বাসায় প্রবেশের পর পেশাগত কাজের ভাবনা ও ব্যস্ততা পরিহার করে পরিবারকে সময় দিন।

বাড়ি, মসজিদ, রাস্তা কিংবা এতিমখানা পরিষ্কারের কাজে সশরীরে অংশগ্রহণ করুন। যারা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে তাদের আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষমা করুন এবং সম্প্রীতি স্থাপন করুন। সময়-সুযোগ হলে অধীনস্তদের কাজের বোঝা কমিয়ে দিন অথবা অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিন। অনলাইন কিংবা অফলাইনে বিতর্ক-বচসা পরিহার করুন।

যে বৈঠকে পরচর্চা হয়, ওই বৈঠক পরিত্যাগ করুন। জীবনে অন্তত একবার আপনি যাদের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের জন্য দোয়া করুন। সময় পেলে কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ কিংবা কোনো রোগী দেখতে যান। রাস্তাঘাট এবং পাবলিক প্লেসে টিস্যু এবং কোনো কিছুর খোসা ইত্যাদি ফেলা থেকে বিরত থাকুন।

ঈদের প্রস্তুতি যেন রোজার ক্ষতি না করে

ঈদের প্রস্তুতিতে বেশি সময় ব্যয় না করে ইবাদত-বন্দেগিতে সময় বেশি কাটানো, ছবি : সংগৃহীত

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার তাগাদার পাশাপাশি অনেকেই ঈদের প্রস্তুতি (নতুন কাপড় কেনা, খাবারের আয়োজন ও মার্কেটে ঘোরাঘুরি করা) নিতে গিয়ে রমজানের শেষ দশ দিন অবহেলায় পালন করেন। ঠিকমতো ইবাদত-বন্দেগি পালন করেন না, লাইলাতুল কদরের তালাশ করেন না। অনেকে তো কেনাকাটার চাপে রোজাও রাখতে পারেন না। রোজা রাখলেও মার্কেটে মার্কেটে ঘুরাঘুরির চাপে ক্লান্ত হয়ে রোজা ভেঙে ফেলেন। এগুলো কঠিন গোনাহের কাজ।

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশ দিন আল্লাহর ইবাদতে খুব বেশি সময় নিমগ্ন থাকতেন। আমাদেরও তা করা উচিত। কেনাকাটা কিংবা ঈদের প্রস্তুতিতে বেশি সময় ব্যয় না করে ইবাদত-বন্দেগিতে সময় বেশি কাটানো।

ইসলামি স্কলাররা পরামর্শ দিয়েছেন, রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে ফেলা। রমজান মাসটি নিরবচ্ছিন্নভাবে শুধু ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যখন রমজানের শেষ দশক শুরু হতো হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতেন অর্থাৎ ইবাদতে ব্যস্ত থাকতেন, স্ত্রীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকে বিরত থাকতেন, রাত জাগরণ করতেন এবং তার পরিবারকে জাগিয়ে তুলতেন।’ -সহিহ্ বোখারি ও মুসলিম

ঈদের প্রস্তুতি
ইসলামে বাৎসরিক জাতীয় উৎসব দুটি। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে ঈদ উদযাপন করুন। ঈদের নামাজের আগেই ফিতরা আদায় করুন। হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। ঈদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কেনা জরুরি নয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাই যথেষ্ট। অপচয় করবেন না। গরিব আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের শিশুদের ঈদের পোশাক ও উপহার দিন। ঈদ উপলক্ষ্যে গান-বাদ্য, অশ্লীলতা, হারাম নাটক ও সিনেমা না দেখার প্রতিজ্ঞা করুন। সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করুন। যথা- তাকব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। অর্থাৎ আল্লাহ আপনার ও আমার (রমজানে কৃত) সব ভালো কাজ কবুল করুন।

ঈদের দিনের সুন্নত
অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া, মিসওয়াক করা; গোসল করা; শরিয়তসম্মত সাজসজ্জা করা; সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা; সুগন্ধি ব্যবহার করা; ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার আগে মিষ্টি-জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আজহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাজের পর নিজের কোরবানির গোশত আহার করা উত্তম।

সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া; ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা, একান্ত বাধ্য না হলে মসজিদে আদায় না করা; যে রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাবে, সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা; পায়ে হেঁটে যাওয়া; ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার সময় নীরবে এই তাকবির পড়তে থাকা- ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ তবে ঈদুল আজহায় যাওয়ার সময় পথে এ তাকবির সরবে পড়তে থাকবেন।

;

তাকওয়ার শিক্ষা কী স্থায়ী হলো?

প্রকৃত মুমিন তাকওয়া দ্বারাই পরিচালিত হন, ছবি : সংগৃহীত

তাকওয়া হলো- সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার ভালোবাসা হারানোর ভয়। আল্লাহর অসন্তোষের ভয়। প্রকৃত মুমিন তাকওয়া দ্বারাই পরিচালিত হন। তাকওয়া মানুষকে পাপ থেকে দূরে রাখে এবং সৎ কাজে অনুপ্রাণিত করে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যারা ইমান এনেছো, তারা তাকওয়া অর্জন করো।’ -সুরা আহজাব : ৭০

কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘যারা ইমান আনল এবং তাকওয়া অর্জন করল, তারা আল্লাহর বন্ধু; তাদের কোনো ভয় নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।’ -সুরা ইউনুস : ৬২

ক্ষুধা-পিপাসার দহনজ্বালায় নফসকে দাহ করে পরিশুদ্ধ করা রোজার মূল লক্ষ্য। এটিই কোরআনের ভাষায় তাকওয়া বা খোদাভীতি। রমজান মাস শেষ পর্যায়ে, এই সময়ের মধ্যে সেই লক্ষ্য কতটুকু অর্জিত হলো, সেটা চিন্তার বিষয়।

তাকওয়া অত্যন্ত মূল্যবান মানবীয় গুণ, দ্বীনের প্রাণশক্তি এবং কাঙ্ক্ষিত সব গুণের অনুপ্রেরণা। এটি এমন জিনিস, যার মাধ্যমে সত্যের পথ পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনে ‘তাকওয়া’ শব্দটি এসেছে ১৫ বার। এটি দৃশ্যমান বস্তু নয়, অন্তরের বিষয়। তাকওয়ার আভিধানিক অর্থ বাঁচা, রক্ষা করা, দূরে থাকা, বিরত থাকা ও সাবধান থাকা ইত্যাদি।

তাকওয়া অবলম্বনকারীকে বলা হয় মুত্তাকি। রোজার সঙ্গে রয়েছে তাকওয়ার নিবিড় যোগসূত্র। রোজা মানুষের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলি সৃষ্টি করে। তাকওয়ার গুণের কারণে বান্দা আরও যেসব প্রতিদান পান, তার অন্যতম হলো-

এক. তাকওয়ার গুণের কারণে বান্দা আল্লাহর সুমহান প্রতিদান লাভ করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে এবং তাকওয়া অর্জন করে, তাদের জন্য রয়েছে সুমহান প্রতিদান।’ -সুরা আলে ইমরান : ১৭২

দুই. আল্লাহতায়ালার বন্ধুত্বের মতো অমূল্য জিনিস তাকওয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ মুত্তাকিদের বন্ধু।’ -সুরা জাসিয়া : ১৯

তিন. তাকওয়ার কারণে পাপমুক্তি ঘটে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং বিরাট প্রতিদানে ভূষিত করবেন।’ -সুরা তালাক : ৫

চার. মুত্তাকির জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি আহলে কিতাব গোষ্ঠী ইমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের থেকে পাপসমূহ দূর করে দিতাম আর অবশ্যই তাদের নেয়ামতে ভরা জান্নাতে প্রবেশ করাতাম।’ -সুরা মায়েদা : ৬৫

পাঁচ. তাকওয়ার গুণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে জাহান্নাম অতিক্রম করবে না। এ তো একটা স্থিরকৃত ব্যাপার, যা সম্পন্ন করা তোমার রবের দায়িত্ব। তারপর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে তাদের আমি বাঁচিয়ে নেব এবং জালেমদের তার মধ্যে নিক্ষিপ্ত অবস্থায় রেখে দেব।’ -সুরা মারইয়াম : ৭১-৭২

;

ঈদ কবে, জানা যাবে মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতর বুধবার নাকি বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায়।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২ টেলিফোন ও ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

;

হিজাব খুলতে বাধ্য করায় পৌনে দুই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ

নিউইয়র্কের রাস্তায় এক হিজাবি নারী, ছবি : সংগৃহীত

দুই মুসলিম নারীর দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক কোটি ৭৫ লাখ বা পৌনে দুই কেটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। মামলায় ওই নারীরা অভিযোগ করেছিল, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে তাদের হিজাব অপসারণে বাধ্য করেছিল, যার মাধ্যমে তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

২০১৮ সালে জামিলা ক্লার্ক এবং আরওয়া আজিজ নামে ওই দুই নারীকে গ্রেফতার করে নিউইয়র্ক পুলিশ। এরপর ছবি তোলার জন্য তাদের হিজাব অপসারণ করতে বাধ্য করা হয়। এক্ষেত্রে তাদের গোপনীয়তার অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মার্কিন আইনজীবীরা বলছেন, আইনি ফি এবং অন্যান্য খরচ বাদ দেওয়ার পরও ক্ষতিপূরণের এক কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার অবশিষ্ট থাকবে। যারা একই ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এমন প্রায় তিন হাজার ৬০০ জন নারী-পুরুষের মধ্যে এ অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে।

ক্লার্ক এবং আজিজের আইনজীবী অ্যালবার্ট ফক্স কান বলেন, এই ঘটনা একটি শক্তিশালী বার্তা দেয় যে, নিউইয়র্ক পুলিশ নিউইয়র্কবাসীর অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না। যদিও পুলিশের দাবি ছিলো, সুরক্ষা আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ওই দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। কিন্তু ওই দুই নারী জানান, হেনস্থার উদ্দেশ্যেই তাদের গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ।

জামিলা ক্লার্ক এবং আরওয়া আজিজ, ছবি : সংগৃহীত

মামলার রায় দেওয়ার পর জামিলা ক্লার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, যখন তারা আমাকে আমার হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছিল, তখন আমার মনে হয়েছিল, যেন আমি নগ্ন। আমি নিশ্চিত নই, এই শব্দগুলো বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হচ্ছে কিনা যে, আমি নিজেকে কতটা উন্মুক্ত মনে করেছি। আজ এ কারণেই আমি খুব গর্বিত যে হাজার হাজার নিউইয়র্কবাসীর জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পেরেছি।

নিউইয়র্ক আইন বিভাগের মুখপাত্র নিকোলাস পাওলুচি বলেন, এর ফলে এনওয়াইপিডির একটি ইতিবাচক সংস্কার হয়েছে। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি পুলিশের সম্মান দেখাতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন ইহুদিদের পরচুলা বা ইয়ারমুলক এবং শিখদের পাগড়িসহ অন্যান্য ধর্মীয় পোশাক পরার ক্ষেত্রে আরও বেশি স্বাধীনতা পাওয়া যাবে।

মার্কিন আইন বলছে, পুলিশ অস্ত্র বা নিষিদ্ধ জিনিসের সন্ধানের জন্য অস্থায়ীভাবে কারো মাথার আবরণ সরিয়ে ফেলতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে একই লিঙ্গের কর্মকর্তাদের দ্বারা তা করতে হবে। মার্কিন ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিলের নিউইয়র্কের নির্বাহী পরিচালক আফাফ নাশের বলেন, আমরা সেই মুসলিম নারীদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাই যারা সাহসিকতার সঙ্গে এই মামলায় অটল থেকেছেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *