সারাদেশ

ঈদের ছুটিতে আদালতে কার্যক্রম চলবে যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদের ছুটিতে আদালতে কার্যক্রম চলবে যেভাবে

ঈদের ছুটিতে আদালতে কার্যক্রম চলবে যেভাবে

দেশের নিম্ন আদালতে সাধারণত দুই ধরণের ছুটি হয়। এক ধরণের ছুটি দুই ঈদসহ নানান দিবসের। আরেক ধরণের ছুটি হয় পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে। এ ধরণের ছুটিকে বলা হয় অবকাশকালীন ছুটি। এ ধরণের ছুটিতে আদালতে কার্যক্রম চলে কিনা, চললে কীভাবে চলে? জামিন শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ কিংবা অন্যান্য শুনানি কীভাবে হয়? বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য বিষয়টি তুলে ধরা হলো।

ঈদ বা অন্যান্য দিবসের ছুটিগুলো সাধারণত একদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকে। যদিও এবারই প্রথম ঈদে ৫ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের নিম্ন আদালতসমূহ। এসব ছুটি দেশের সব আদালতসমূহ ভোগ করে থাকে। এসব ছুটিতে দেশের কনো আদালতে কোনো প্রকার সাক্ষ্যগ্রহণ কিংবা অন্য কোনো ধরণের শুনানি হয় না। এমনকি ডিসেম্বর মাসজুড়ে দীর্ঘ মেয়াদে ছুটির সময়ও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ছাড়া কোনো আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ কিংবা অন্যান্য কোনো প্রকারের শুনানি হয় না।

ঢাকার ফৌজদারি মামলার আইনজীবী মো. শাহিনুর ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জামিন চাওয়া একজন আসামির আইনগত অধিকার। সে কারণে ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদী ছুটিতে দেশের জেলা জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতসমুহে আসামির জামিন শুনানির জন্য ডিসেম্বরের বিভিন্ন তারিখে অবকাশকালীন আদালত চলে। আদালত অঙ্গনে এ ধরনের আদালত “ভ্যাকেশন কোর্ট” নামে পরিচিত। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিন বঞ্চিতরা এসব আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত সেসব শুনানি গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, তবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ডিসেম্বর মাসের অবকাশকালীন ছুটির সুবিধা পায় না। দেশের জজ আদালত বন্ধ থাকলেও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়মিত জামিন, রিমান্ড শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণসহ সকল কার্যক্রম অন্যান্য সময়ের মতোই চলে।

ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার ক্ষমতাবলে আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ৯টি কারণে পুলিশ যে কাউকে বিনা পরোয়ানায় বা আদেশ ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে।

এমন ৯টি কারণে আটককৃত ব্যক্তির অধিকার সমন্ধে বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগের মৌলিক অধিকার অধ্যায়ের ৩৩ (১) নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘গ্রেফতারকৃত কোনো ব্যক্তিকে যথাসম্ভব গ্রেফতারের কারণ জ্ঞাপন না করে প্রহরায় আটক রাখা যাবে না এবং উক্ত ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ ও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না।’

৩৩ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাকে তদতিরিক্ত প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, তাছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ৬০ ধারায় আটককারী পুলিশ কর্মকর্তা আটককৃত ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অর্পণ এবং ৬১টি ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ব্যতীত আটককৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আটক না রাখার বিধান বর্ণিত হয়েছে।

সমাজী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হলে অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা থাকতে হবে। তাই ঈদ, পূজা, বড়দিন অন্যান্য যে কোনো দিবস এমনটি ঝড় বৃষ্টি সাইক্লোন কিংবা মহামারির মধ্যেও অর্থাৎ বছরে ৩৬৫ দিনই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা রাখতে হয়। তবে এসব ছুটিতে সব ম্যাজিস্ট্রেটকে ডিউটি করতে হয় না। ২/১জনকে পুরো জেলার শুনানি গ্রহণের এখতিয়ার দেওয়া হয়। এসব আদালতে শুধুমাত্র রিমান্ড ও জামিন আবেদনের উপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। আর জামিন না মঞ্জুরের ক্ষেত্রে ওই সকল আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা গিয়াস গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে জানান, এ বারের ঈদে ৫ দিন ছুটি হলেও দেশের কোনো আদালতে ভ্যাকেশন কোর্ট থাকবে না। তবে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য দুইজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন।

বুয়েটে ছাত্রলীগ নেতা রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হয়। পরে এ আদেশ দেন আদালত।

আদালতে ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ রিটটি দায়ের করেন।

এর আগে, বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। গত ৩০ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বুয়েট প্রশাসন।

বুয়েটে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদ জানিয়ে ছয় দফা দাবিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বন্ধ থাকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও বহিরাগত কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান।

ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন; যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাই তাকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার সহযোগীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

পরে অবশ্য ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আদেশ দেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে। যার ধারাবাহিকতায় তিনি হলের সিট ফেরত চেয়ে রিট দায়ের করেন।

;

মালয়েশিয়ায় বিএনপি নেতা কাইয়ুমের রিটের শুনানি ৩ জুলাই

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমের রিট বা হেবিয়াস কর্পাসের আবেদনের শুনানি আগামী ৩ জুলাই নির্ধারণ করেছে দেশটির আদালত।

এর মধ্যে রাজনীতিবিদ এম. এ. কাইয়ুম তার হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের সমর্থনে বাংলাদেশের একজন বিশেষজ্ঞ সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য দাখিল করার জন্যে আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছিল বলে দাবি করে আসছেন তিনি ।

কাইয়ুমের আইনজীবী কি শু মিন হাইকোর্টের বিচারক কে. মুনিয়ান্দিকে জানান, এই বিশেষজ্ঞ সাক্ষী একজন আইনজীবী এবং আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হলফনামার মাধ্যমে তার সাক্ষ্য প্রদান করা হবে৷

শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) কি শু মিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শুধু একজন বিশেষজ্ঞ সাক্ষী এবং আবেদনকারী নিজেই (কাইয়ুম) হলফনামা দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আমরা অন্যান্য পক্ষের হলফনামা অন্তর্ভুক্ত করব।’

আইনজীবী বলেন, রাজনীতিবিদ কাইয়ুমকে অভিবাসন বিভাগের প্রদান একটি বিশেষ পাসের অধীনে মুক্তি দেওয়া দিয়েছে। এছাড়াও হেবিয়াস কর্পাসের আবেদনের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে মালয়েশিয়া থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

‘পাসটি প্রতি মাসে নবায়ন করা হয় এবং শনিবার (০৬ এপ্রিল) এর মেয়াদ শেষ হবে। তাই, আমরা ইমিগ্রেশনে বিশেষ পাস নবায়নের সুবিধার্থে একটি ট্রায়াল নোটিশ জারি করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছি,’ বলে জানান কিং শু মিন।

বিচারপতি মুনিন্দি এই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং হেবিয়াস কর্পাস শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৩ জুলাই ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি জামিন চেয়ে এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো স্থগিত চেয়ে হেবিয়াস কর্পাস আবেদন দায়ের করেছিলেন কাইয়ুম।

কাইয়ুমের মেয়ে তার হলফনামায় বলেছেন, তার বাবা গত ১৫ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন, তার পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি মালয়েশিয়ায় মাই সেকেন্ড হোম ক্যাটাগরির ভিসাধারী।

গত ১২ জানুয়ারি আমপাং জায়া জেলা পুলিশ সদর দফতর কাইয়ুমকে আটক করে এবং জোরপূর্বক বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তার মেয়ে।

বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে এই বিএনপি নেতাকে রাজনৈতিক নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হবে এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে দাবি করেন তার মেয়ে।

;

সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদম তমিজির জামিন

আদম তমিজি

সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজি হককে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তমিজি হকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম। তমিজি হকের আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ জামিনের ফলে তার মুক্তিতে আর কোন বাধা নেই।

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে আদম তমিজি হককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর মানসিক হাসপাতাল ও দুই দফা রিহ্যাব সেন্টার ঘুরে গত ৪ জানুয়ারি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর গুলশানের ১১১ নম্বর রোডের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সে সময় আদম তমিজি আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে গ্রেফতার না করে ফিরে আসে র‌্যাব। পরে গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আদম তমিজি হককে আটক করে ডিবি।

আটকের পর ডিবি প্রধান হারুন বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদম তমিজি হক বলেন, তার মা অর্ধেক ইসরাইল। তিনি ইসরাইল সরকার ও আমেরিকান মেরিন সেনাদেরকে আহ্বান করছিলেন তাকে উদ্ধার করার জন্য। কারণ তিনি নাকি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আটককৃত অবস্থায় আছেন। যা একেবারেই মিথ্যা। এর আগেই তিনি এয়ারপোর্ট থেকে দেশে ফিরেছেন। সরকার তাকে আটক করতে চাইলে বিমানবন্দর থেকেই আটক বা গ্রেফাতার করতে পারত।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখান, যে দেশে তার শিল্প কারখানা আছে। যে কারখানার আয় দিয়ে চলেন সেই দেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

তাকে গ্রেফতারের পর তার আচরণ ও কথাবার্তায় সুস্থতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে মাদক নিরাময়কেন্দ্র বা রিহ্যাবে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। রিহ্যাবে ভর্তি করিয়ে বিষয়টি আদালতে জানানো হয় পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, মানসিক হাসপাতালে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের সামনে তাকে হাজির করা হয়। বোর্ডের সদস্যরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানায়, তিনি (তমিজি) এখনো মানসিকভাবে সুস্থ নন। পরে তাকে ফের রিহ্যাবে পাঠানো হয়। অবশেষে ৪ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

;

খালেদার নাইকো মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৪ মে

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার সাক্ষি আব্দুল বাকীকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর এ কে এম আনোয়ার ইসলাম নামে এক সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১৪ মে অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া হাজিরা দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এদিন গত ৪ মার্চ সাক্ষ্য দেওয়া আব্দুল বাকীকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর এ কে এম আনোয়ার ইসলাম নামে এক সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১৪ মে অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *