বিনোদন

‘কাজ ছিনিয়ে নেওয়া’ নিয়ে আমিশার অভিযোগে এষার জবাব

ডেস্ক রিপোর্টঃ স্বজনপ্রীতি হয় না এমন কোনো ক্ষেত্র হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে যখন প্রসঙ্গ আসে বলিউডের, তখন যেন স্বজনপ্রীতি বা নেপোটিজম বিষয়বস্তুটি যেন আলোচনার তুঙ্গে।

শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকদের পরিবার-পরিজন বরাবরই বাইরের শিল্পীদের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। আগে এই নিয়ে সরাসরি কথা না বললেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন অনেক শিল্পীই নেপোটিজম নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করে।

আলিয়া ভাট, অর্জুন কাপুর, জাহ্নবি কাপুর, অনন্যা পান্ডে, সারা আলি খানসহ আরও অনেক তারকাকেই এই নিয়ে নানাসময় তোপের মুখে পড়তে হয়েছে। এবার শুধু আধুনিক নয়, বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকের স্টার কিডদের দিকেও উঠলো অভিযোগের আঙুল। করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বানশালির মতো পরিচালকরাও রক্ষা পায়নি।  

‘কাহো না পেয়ার হ্যে’-র মতো সুপার হিট সিনেমা দিয়ে বলিউডে এন্ট্রি নেওয়া আমিশা পাটেল বলেন, তার সময়ে স্টার কিডদের জন্য সিনেমা হাত ছাড়া হতো তার। এষা দেওল, কারিনা কাপুরের মতো শিল্পীরা নাকি তার প্রস্তাবিত কাজ ছিনিয়ে নিতো। বলিউড জীবনের শুরু থেকেই কারিনার সঙ্গে দ্বন্দে জড়ান আমিশা। এমনকি তার বলিউড ডেবিউ সিনেমাতেও নাকি আগে কারিনাকে নেওয়া হয়েছিল। সে না করায় পরে সিনেমা যায় আমিশার কাছে। তবে তার সাম্প্রতিক এই মন্তব্য নিয়ে কোনো কথা বলেননি কারিনা।

অন্যদিকে আমিশার এই দাবিকে সরাসরি নাকোচ করলো এষা দেওল। ঊশা সরাসরি বলেন, সেই সময়ের সকল অভিনেত্রীদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। কেউই কারো কোনো কাজ ছিনিয়ে নেয়নি। বরং সবাই কেবল নিজের কাজের মধ্যেই ব্যস্ত থাকতো। হেমা-ধমেন্দ্র কন্যা মনে করেন না, কেউই কখনো কারো কাজ ছিনিয়ে নিয়েছে।

গত বছরের এক সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেন কারিনা কাপুর, হৃত্বিক রোশন, ফারদিন খান, তুষার কাপুর, এষা দেওল, অভিষেক বচ্চনের মতো শিল্পীদের সময়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। যেদিকে তাকাতেন কেবল স্টার কিডের আধিপত্য। সেই কারণেই গাদ্দার, কাহো না পেয়ার হ্যে, ভুলভুলাইয়ার মতো সুপারহিট সিনেমায় কাজ করেও বলিউডে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেন নি তিনি। তবে গত বছরের ‘গাদ্দার-২‘ সিনেমার মাধ্যমে বহুদিন পর আবার সুপাহিটের তালিকায় নাম লেখালেন আমিশা।          

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *