সারাদেশ

তৃতীয়বারের মতো অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী হলেন পেমা

ডেস্ক রিপোর্ট: তৃতীয়বারের মতো অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী হলেন পেমা

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অটুট রইল বিজেপির জুটি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) টানা তৃতীয়বারের মতো প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন পেমা খান্ডু। তার সঙ্গেই আবার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছে চওনা মেইন।

বিদায়ী মন্ত্রিসভাতেও তিনি পেমার ডেপুটি ছিলেন। পেমা এবং মেইনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল কেটি পরনায়েকের কাছে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দলের সর্বভারতীয় নেতারা।

এনডিটিভি জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই এবার ৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের আগেই পেমাসহ বিধানসভার ১০ জন বিজেপি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিলেন।

যে ৫০টি আসনে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ৩৬টিতেই জিতে ৪৬-এ পৌঁছে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পেমার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপি। পাঁচটিতে মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপি। বাকি তিনটিতে অজিত পওয়ারের এনসিপি, দুটিতে পিপল্‌স পার্টি অফ অরুণাচল (পিপিএ), একটিতে কংগ্রেস এবং তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে অরুণাচলে কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পেমা অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ভোটে সেখানে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল পদ্মশিবির। এবার কংগ্রেস, এনপিপির মতো বিরোধী দলগুলো থাকলেও সেখানে বিজেপির ক্ষমতা পুনর্দখল কার্যত নিশ্চিত বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিল। কার্যক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

গত দেড় দশকে ইটানগরে বহুবার রাজনৈতিক টানাপোড়েন হয়েছে। ২০১১ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পেমার পিতা তথা তৎকালীন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খান্ডুর মৃত্যু হয়। এর পরে অশান্তি শুরু হয় কংগ্রেসের ভেতরে।

প্রথমে জারবম গ্যামলিন মুখ্যমন্ত্রী হন। কংগ্রেসে শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু, কংগ্রেস হাইকমান্ডের সমর্থনে ক্ষমতা দখল করেন নাবাম টুকি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৪২ আসনে জিতলে টুকি ফের মুখ্যমন্ত্রী হন।

কিন্তু, কালিখো পুলের নেতৃত্বে পেমাসহ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কেরা তাকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন। মামলা আদালতে গড়ায়। রাষ্ট্রপতি শাসনে টুকি ক্ষমতা ফিরে পেলেও কংগ্রেস নেতৃত্ব পেমার এবং তার অনুগামীদের দাবি মেনে তাকেই মুখ্যমন্ত্রী করেন।

২০১৬ সালে পেমার নেতৃত্বে অধিকাংশ বিধায়ক দলবদল করে পিপিএতে যোগ দেন। আঞ্চলিক দল পিপিএ সরকার গড়ে। পরে তারা ফের দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেন।

এরপর ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিজেপি অরুণাচলে ক্ষমতা দখল করে। এবারও বজায় থেকেছে সেই জয়ের ধারা।

গত কয়েক দশক ধরেই দেখা গেছে যে, দিল্লিতে যার সরকার, অরুণাচল সেই দলের দিকেই ঝোঁকে। তাদের ধারণা, কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়া সহজ হয়। দলবদলের যুক্তি হিসেবে আট বছর আগে সেই যুক্তিকেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন পেমা।

বাংলাদেশে কোকাকোলার বিক্রি কমেছে ২৩ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত

বহুজাতিক কোম্পানি কোকাকোলার একটি বাংলা বিজ্ঞাপনের ভিডিও রিল প্রচারের পর বাংলাদেশে পানীয়টির বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। এর পর পরই বাংলাদেশে কোকাকোলার বিক্রি ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট’ এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন কোম্পানি ইসরায়েলের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধেছে এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে কোকাকোলা অন্যতম। যদিও কোকাকোলা ইতোপূর্বে এ তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করে।

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে অর্থায়ন করছে না কোকাকোলা তা প্রমাণ করতে কোকাকোলা বাংলাদেশ ইউটিউবে একটি ভিডিও রিল আপলোড করে।

এতে দেখানো হয়, এক দোকানদার একজন ক্রেতার কাছে জানতে চান, তিনি কোকাকোলা নিতে চান কিনা। এর উত্তরে ক্রেতা জানান, তিনি কোকাকোলা পান করা বন্ধ করেছেন। কারণ, এটি ‘সেই দেশ’ থেকে এসেছে (যদিও তিনি ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেননি)। ক্রেতার কথার জবাবে দোকানদার তাকে জানান যে, ‘এটি সেই জায়গা’ (ইসরায়েল) থেকে নয়। এসময় তিনি সামাজিক গণমাধ্যম ঘেটে বলেন, এটি তুরস্ক এবং স্পেনসহ ১শ ৯০টি দেশে ১শ ৩৮ বছর ধরে পান করা হয়েছে।

কিন্তু সে ভিডিও রিলে এ তথ্য জানানো হয়নি যে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের সংসদ দেশটির রেস্তোরাঁগুলোত ‘কোকাকোলা’ এবং ‘নেসলে’ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

রোববার (৯ জুন) টি২০ বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচে উপলক্ষে ভিডিও রিলটি আপলোড করা হয়। ইউটিউবে রিলটি প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল কোকাকোলার ভাষায় ‘অপতথ্য রোধ’ করা।

কিন্তু তথ্য গোপন করার কারণে বাংলাদেশে সমালোচনা শুরু হয়। এতে করে বাংলাদেশে কোকাকোলা বিক্রি ২৩ শতাংশ হ্রাস পায় বলে ‘দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট’-এর খবরে বলা হয়।

বিজ্ঞাপনের রিলে অংশগ্রহণকারী অভিনেতা এবং পরিচালক ‘জনগণের অনুভূতিতে আঘাত’ লাগায় ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।

বিজ্ঞাপনের প্রযোজক এবং অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘এই বিজ্ঞাপনে ইসরায়েলের পক্ষ টানিনি এবং আমি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে নই’!

 ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করা শরাফ আহমেদ জীবনের বক্তব্য ১০ জুন রাতে শরাফ আহমেদ জীবন তার ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমি একজন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিগত দুই দশক ধরে আমি নির্মাণ ও অভিনয়ের সাথে জড়িত।

সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ আমার সাথে তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং অভিনয় করার জন্য নিয়োগ করেছিলো। আমি শুধুমাত্র তাদের দেয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞাপনটি প্রচার হবার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারো বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র।

ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। এখানে আমি কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নেইনি এবং আমি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে নই। আমার হৃদয় সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে’।

অন্যদিকে, শিমুল শর্মা ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, তিনি ‘না বুঝেই’ বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন এবং ‘আমি বুঝতে পারছি, এটি আমার ভক্ত, আমার পরিবার এবং দেশের জনগণকে আঘাত করেছে! আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ভবিষ্যতে আমি দেশের মূল্যবোধ, মানবাধিকার এবং জনগণের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কাজ করবো’!

;

গ্রিক মালিকানাধীন জাহাজে হুতিদের হামলা

ছবি : সংগৃহীত

লোহিত সাগরের বন্দর হোদেইদাহের কাছেই একটি গ্রীক মালিকানাধীন পণ্যবাহী জাহাজে ছোট জলযান এবং ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

কার্গো জাহাজটিতে বুধবারের (১২ জুন) ওই হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আল জাজিরা জানিয়েছে, জাহাজটির মালিকানার সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুদ্ধরত ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং এর সবচেয়ে জনবহুল এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা।

এরই মধ্যে তারা একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, অন্য একটি জাহাজ জব্দ করেছে এবং বেশ কয়েকটি আক্রমণে তিন জন নাবিককে হত্যা করেছে।

হুথিরা বলেছে, ‘টিউটর নামধারী কয়লাবাহী গ্রিক মালিকানাধীন জাহাজটির ওপর মনুষ্যবিহীন সারফেস বোট, ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জাহাজটি গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’

মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বুধবার জানিয়েছে, জাহাজটি হোদেইদাহ থেকে প্রায় ৬৮ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে হামলার শিকার হয়।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) ওই হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতিতে বলেছে, মানুষবিহীন সারফেস ভেসেলের প্রভাবে জাহাজটির ইঞ্জিন রুমের ক্ষতি হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্রিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জাহাজটি দুইবার হামলার শিকার হয়। তবে, এতে কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জাহাজটি ভারতে যাচ্ছিল।’

হুথিরা বুধবার বলেছে, তারা ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে যৌথভাবে ইসরায়েলের আশদোদ এবং হাইফা শহরের সাইটগুলোকে লক্ষ্য করে দুটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।

;

হাঙ্গেরিকে ২১৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে ইইউ আদালত

ছবি : সংগৃহীত

হাঙ্গেরিকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো বা ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ আদালত।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্লকটির আশ্রয় আইন অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এবং অবৈধভাবে অভিবাসীদের নির্বাসনের জন্য ওই জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।

২০১৫ সালে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপে প্রবেশ করার পর থেকে হাঙ্গেরির অভিবাসী বিরোধী সরকার শরণার্থীদের সেদেশে প্রবেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়।

হাঙ্গেরি তার সীমান্তের বেড়া তৈরি করে এবং জোরপূর্বক অনেককে প্রবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জারি করা রায়ে ইউরোপীয় বিচার আদালত বলেছে, আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হাঙ্গেরিতে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদনকারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২০ সালের রায় মেনে চলতে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বুদাপেস্ট।

বৃহস্পতিবারের রায়ে আরও বলা হয়েছে, হাঙ্গেরির সাধারণ ইইউ নীতির প্রয়োগের ব্যর্থতা ইইউ আইনের একটি অভূতপূর্ব এবং অত্যন্ত গুরুতর লঙ্ঘন।

হাঙ্গেরি সরকারের এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে ওই রায়ের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রাজি হননি।

হাঙ্গেরি সরকার এ বিষয়ে পূর্বে যুক্তি দিয়েছিল যে, ২০২০ সালের রায়টি বিতর্কিত ছিল। কারণ, তারা ইতিমধ্যে তথাকথিত ট্রানজিট জোন বন্ধ করে দিয়ে ভবিষ্যতে আশ্রয় আবেদনকারীদের বাধা দেওয়ার জন্য নিয়মগুলোকেও কঠোর করেছে।

হাঙ্গেরির বর্তমান আইন অনুযায়ী, শরণার্থী শুধুমাত্র তাদের সীমানার বাইরে প্রতিবেশী সার্বিয়া বা ইউক্রেনের দূতাবাসগুলোতে আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ জমা দিতে পারবে। তাই যারা সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, যিনি প্রায়শই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয় নিয়ে ব্রাসেলসের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন, তিনি ২০২১ সালে বলেছিলেন যে, ইউরোপীয় আদালত তাদের আইন পরিবর্তন করার নির্দেশ দিলেও তারা বিদ্যমান শাসনব্যবস্থা (আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে) বজায় রাখবে।

;

কিউবায় পৌঁছেছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিতে চালিত একটি ডুবোজাহাজ এবং একটি রণতরিসহ চারটি নৌযান কিউবাতে পৌঁছেছে।

জাহাজগুলো নোঙর করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত হাভানা বেতে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কিউবায় জাহাজগুলো নোঙর করা হয়েছে যুদ্ধজাহাজ পাঠানো মস্কোর শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা হতে পারে।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, অ্যাডমিরাল গোরশকভ নামের জাহাজ এবং কাজান নামক ডুবোজাহাজ-এ দুটোতেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র জিরকনসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র বহন করা হয়।

রাশিয়ার এই দুটি সামরিক নৌযান এর আগে আটলান্টিক মহাসাগরে ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে।

তবে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাহাজগুলোর কোনোটির ভেতরই পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং এগুলো সেখানে পাঁচ দিন অবস্থান করবে।

তবে জাহাজগুলোর অবস্থানের কারণে ওই অঞ্চলের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হবে না বলে নিশ্চিত করেছে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জাহাজগুলো কিউবার কাছাকাছি পৌঁছালে সি ড্রোন ব্যবহার করে সেগুলোকে নজরে রেখেছিল মার্কিন নৌবাহিনী।

বুধবার (১২ জুন) ভোরে রাশিয়ার জাহাজগুলো হাভানা বেতে প্রবেশ করে। এগুলো ঢোকার সময় ২১টি তোপধ্বনি দেওয়া হয়।

এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক সফর। জাহাজের নাবিকেরা যেন বিশ্রাম নিতে পারেন এবং স্থানীয়ভাবে সুপরিচিত জিনিসগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে।

রাশিয়া এর আগেও কিউবায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল। এই দুই দেশই দীর্ঘদিনের মিত্র। হাভানায় সফর শেষ করে রাশিয়ার জাহাজগুলো ভেনেজুয়েলাতে যেতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাহাজগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করছেন না তারা। কারণ, তারা মনে করেন পারমাণবিক-চালিত ডুবোজাহাজটিতে পারমাণবিক অস্ত্র নেই।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *