সারাদেশ

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট: সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বুধবার (২৪ জুলাই) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধার নেওয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটায়। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবারের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার ব্যাংকগুলো খুলেছে। শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংস হওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেয়া হয়।

এছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড রেপোর আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদী ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবার ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাতদিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদী টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকের মুনাফার হার সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ২৮ দিন মেয়াদী ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বুধবার (২৪ জুলাই) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধার নেওয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটায়। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবারের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার ব্যাংকগুলো খুলেছে। শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংস হওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেয়া হয়।

এছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড রেপোর আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদী ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবার ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাতদিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদী টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকের মুনাফার হার সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ২৮ দিন মেয়াদী ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

;

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বুধবার (২৪ জুলাই) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধার নেওয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটায়। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবারের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার ব্যাংকগুলো খুলেছে। শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংস হওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেয়া হয়।

এছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড রেপোর আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদী ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবার ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাতদিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদী টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকের মুনাফার হার সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ২৮ দিন মেয়াদী ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

;

সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

টানা পাঁচ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে টাকার স্বল্পতা ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বুধবার (২৪ জুলাই) ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ধার নেওয়া এই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা মেটায়। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ টাকার চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ব্যাংক শাখার পাশাপাশি এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবারের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গত বুধবার ব্যাংকগুলো খুলেছে। শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটি ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংস হওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এই নিলামে ৭ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদী রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেয়া হয়।

এছাড়া, বুধবার ১৮০ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড রেপোর আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদী অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। পাশাপাশি ১৪ দিন মেয়াদী ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবার ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাতদিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদী টাকা ধারের সুদহার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এ ছাড়া, অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।

এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকের মুনাফার হার সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। ২৮ দিন মেয়াদী ইসলামী ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

;

আন্দোলনের পর গ্যাস সংকটে ব্যাহত শিল্প উৎপাদন

ছবি: গ্যাস কূপ

রাজধানী ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় গ্যাস সংকট আবারও বেড়ে গেছে। যেখানে ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) চাপ পাওয়ার কথা সেখানে পাওয়া গেছে আড়াই থেকে ৪ পিএসআই।

জেনারেটর চালাতে গেলে কমপক্ষে ৬ পিএসআই চাপ প্রয়োজন। সেই চাপ না থাকায় অনেক বিড়ম্বনায় শিকার হন শিল্পো উদ্যোক্তারা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের কারণে বন্ধ থাকা শিল্প কারখানা খুললেও স্বস্তি পাচ্ছেন না। অনেক এলাকায় গ্যাসের চরম সংকটের খবর পাওয়া গেছে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। তবে ঢাকার তুলনায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা ভালো থাকার খবর পাওয়া গেছে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প এলাকায় অবস্থিত একটি শিল্প কারখানার জেনারেল ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করাল শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, জেনারেটর চালাতে গেলে কমপক্ষে ৬ পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) চাপ প্রয়োজন হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ থেকে ৪ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে। বিকেলের পর সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া, গাজীপুর এলাকায় ৪ থেকে ৫ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ৩ থেকে ৪ পিএসআই চাপ পাওয়া গেছে। আমাদের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ১৫ পিএসআই চাপ পাওয়ার কথা। চাপ কম থাকায় যানবাহনে গ্যাস দিতে সময় লাগছে বেশি এতে করে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৩ থেকে ৪ পিএসআই চাপ থাকলে সিলিন্ডারে এক-তৃতীয়াংশের বেশি লোড হওয়ার কথা না। তবে যদি একটু সময় নিয়ে সিএনজি দেওয়া হয় তাহলে কিছুটা বেশি পাওয়ার কথা।

একদিকে দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন কমে আসছে, অন্যদিকে আমদানিকৃত গ্যাসের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এক সময় দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে দৈনিক ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যেতে। মজুদ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। উৎপাদন কমতে কমতে ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। সংকট সামাল দিতে বিদেশ ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এলএনজি আকারে) গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে।

দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হয়। ঘুর্নিঝড় রিমালে সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই এফএসআরইউটি (ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারাদেশেই তার প্রভাব পড়েছে। ১৫ জুলাই নাগাদ চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেরামত না হওয়ায় এখনও সার্ভিসের বাইরে রয়েছে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ৩০ জুলাইয়ের দিকে আসতে পারে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে অনেক ঝুঁকি। সমাধান হচ্ছে ল্যান্ডবেজড এলএনজি টার্মিনাল। আমাদের সেদিকে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি আমদানির উপর নির্ভরশীল হতে চাই না, তবে সবপথ খোলা রাখতে চাই। এজন্য এলএনজি আমদানির পাশাপাশি দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জোর দেওয়া হচ্ছে। ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছি এতে সাড়ে ৬শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে, আবার একই সময়ে কিছু কূপের উৎপাদন কমে যাবে। আরও ১০০ কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগে লক্ষ্য ছিল শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আমরা সফল হয়েছি। এখন লক্ষ্য হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। এটা করতে হলে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

মজুদ বিবেচনায় সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ড বিবিয়ানার উৎপাদন প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। ২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর গ্যাস উত্তোলন করা হয় ১৩৩৪.৯ মিলিয়ন ঘনফুট। পরের বছর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর উৎপাদন নেমে আসে ১২৪৬.৮ মিলিয়নে। আর বর্তমানে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুটের আশপাশে রয়েছে। দেশীয় গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন হ্রাসের জন্য অনুসন্ধানে স্থবিরতাকে দায়ী করে আসছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *