সারাদেশ

ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার ১১৪, এজাহারে নাম নাই অধিকাংশের

ডেস্ক রিপোর্ট: ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার ১১৪, এজাহারে নাম নাই অধিকাংশের

বগুড়ায় ভাঙচুরের ও অগ্নিসংযোগের ছবি- বার্তা২৪.কম

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বেলাই গ্রামের কৃষক নুর মোহাম্মদের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৫)। তিনি কৃষি কাজ করেন। ২২ জুলাই বিকেলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে ধরে আনে। তার বাবা থানায় খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ জানায় বড় ছেলে আব্দুল আলিমকে থানায় হাজির করে দিলে নাসিরকে ছেড়ে দেয়া হবে।

আব্দুল আলিম কিচক ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক। তিনি পলাতক থাকায় তাকে থানায় হাজির করতে ব্যর্থ হন বাবা। একারণে ছোট ভাই নাসিরকে আটকের পর পাঠানো হয় বগুড়া সদর থানায়। সেখান থেকে পরদিন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ গেটে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চালান দেয়া হয় নাসির উদ্দিনকে। তার মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবি আব্দুল বাছেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, নাসির উদ্দিনকে আটকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বগুড়া শহরের গালাপট্টি এলাকায় হোটেলে বসে ভাত খাচ্ছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবি মাছুদুল হাসান টুকু। এমন সময় ডিবি পুলিশের ৪ থেকে ৫ জন সদস্য তাকে ঘিরে রাখে। ভাত খাওয়া শেষে ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। টুকুর ছোট ভাই  রিবন বলেন , আদালতের কাজ শেষ করে হোটেলে ভাত খেতে বসছিলেন টুকু। ভাতের প্লেট থেকে ধরে নিয়ে যান ডিবি। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ডিবি অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের মামলায় তদন্তে তার নাম পাওয়া গেছে।

সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়ার তাইর গ্রামের বাদল মন্ডল জানান, তার ভাই মনোয়ারুল ইসলাম বিটু (৬৫) দীর্ঘদিন ধরে কিডনী ও ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। সোনাতলা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ছিলেন অনেক আগে। অসুস্থতার কারনে রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতেই থাকেন। বুধবার রাতে থানা পুলিশ ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায় বিটুকে। পরদিন পাঠিয়ে দেয়া হয় বগুড়া সদর থানায়। পরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার সদর থানায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে অনুসন্ধনে জানাগেছে, প্রতি রাতেই বিভিন্ন থানা পুলিশ বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। যেখানে যাকে পাচ্ছেন ধরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বগুড়া সদর থানায়।  সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে চালান দিচ্ছে। অথচ বগুড়ায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে সরাসরি জড়িতরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। যারা ধরা পড়ছে তাদের অধিকাংশই শুধুমাত্র বিএনপি জামায়াতের  রাজনীতি করার কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে দাবী করা হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে। আর পুলিশ বলছে যাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের নামে মামলায় না থাকলেও তদন্তে নাম পাওয়া গেছে।

গত ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় ব্যাপক ভাঙচুর,হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হয় এবং আহত হন আরও ১২০ জন। আন্দোলনকারীদের বাহিরে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ বগুড়া সদর থানায় মামলা হয় ১৪ টি। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে ৮ টি। বাকী মামলা গুলো করেন রেলওয়ে ২ টি, আওয়ামী লীগ নেতা ২ টি, পোস্ট অফিস ১ টি এবং মুক্তি যোদ্ধা সংসদ ১ টি। এসব মামলায় বিএনপি- জামায়াত ছাড়াও বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রেলওয়ে, পোস্ট অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৮৬ জনকে বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হচ্ছে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা। বাকী গুলো বিএনপি- জামায়াতের হলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যড আব্দুল বাছেদ বলেন, আমি বিএনপির রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করে থাকি। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন থানা পুলিশ ১১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে ৭২ জন। জামায়াতের ৩০ জন,বাকী ১২ জন সাধারন মানুষ, যারা কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নাই।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত স্নিগ্ধ আকতার বলেন, এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এজাহারের বাহিরে যাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে মামলা তদন্তে তাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে সাধারন মানুষদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন।

ঐক্যবদ্ধ আ.লীগকে কেউ হারাতে পারে না: নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম বলেছেন, তৃণমূলের কর্মীরাই আওয়ামী লীগের শক্তি। সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তৃণমূলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ঢাকা ৮ আসনের অন্তর্গত পাঁচটি থানা ও নয়টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলার জনমানুষের দল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণি, পেশা, ধর্মের মানুষ আওয়ামী লীগ করে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের শক্তি। দেশের যেকোনো দুর্দিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থাকে। সাম্প্রতিক বিএনপি জামাত জঙ্গিবাদী শক্তির নৈরাজ্যের সময়ও তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকে জানমালের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চটা করেছে। নেতৃত্বের দ্বিধাগ্রস্ততা বা দ্বন্দ্বের কারণে কোথাও কোথাও তারা প্রয়োজনমতো দাড়াতে পারেনি তবে সামগ্রিকভাবে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থেকে নৈরাজ্য রুখে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সবাইকে দল ও দেশের প্রয়োজনে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সভায় ঢাকা ৮ আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম সাম্প্রতিক বিএনপি জামাত জঙ্গিবাদী শক্তির নৈরাজ্যের সময় ঢাকা ৮ আসেনর অন্তর্গত থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, সবাই মাঠে ছিল বলেই মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ এলাকায় এবার নৈরাজ্যবাদী শক্তি নৈরাজ্য করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা ৮ আসেনর অন্তর্গত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, বিএনপি জামাত জঙ্গিবাদী শক্তি এখনো ঘাপটি মেরে আছে। সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। তাদের নৈরাজ্য করার কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। তারেক রহমান লন্ডনে বসে নতুন নতুন চক্রান্ত করছে। জনগণ কষ্ট পেলে তারেক রহমান আশার আলো দেখে। দেশ অস্থিতিশীল হলে তারেক রহমান অবৈধ পথে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। দেশ ও জনগণ ভালো থাকলে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভালো থাকেন। তাই আওয়ামী লীগের সবাইকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব নৈরাজ্য রুখে দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য কামাল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, মিরাজ হোসেন, দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

;

রংপুরে সহিংসতার ঘটনায় ১২ মামলা, গ্রেফতার ১৭৫

রংপুরে সহিংসতার ঘটনায় ১২ মামলা, গ্রেফতার ১৭৫

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রংপুরে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১২টি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগর এলাকা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ২০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ৮ দিনে গ্রেফতার হলো ২ কাউন্সিলরসহ ১৭৫ জন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি ক্রাইম ও মিডিয়া উৎপল রায়।

মামলায় বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীসহ শতাধিকের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েক’শ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

আন্দোলনের সময় সহিংসতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ভিডিও দেখে দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানান উৎপল রায়।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রেফতার সংখ্যা দেড় শতাধিক। এ পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ৮টি মামলা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৪টি মামলা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যা যাচাই-বাছাই শেষে গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সহিংসতার ঘটনায় রংপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা পুলিশের গ্রেফতার সংখ্যা ৪২ জন। এছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় র‌্যাব-১৩ এর পক্ষ থেকেও গ্রেফতার রয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলনের সময় রংপুরের সহিংসতায় তাজহাট থানা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবন, মেট্রোপলিটন ডিবি কার্যালয়, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাড়ি, জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের দলীয় কার্যালয়, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সমবায় মার্কেট, জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মার্কেট, বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস, মৎস অফিস, ঢাকা ব্যাংকের বুথসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।

;

পাঁচদিনে বরিশালে বিএনপি ও জামায়াতের ১১০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার

ছবি: বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী গ্রেফতার

মহানগর জামায়াতের আমির ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে বরিশাল নগর ও জেলার ১০ উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের ১১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের মামলার আসামি হিসেবে মহানগর জামায়াতের আমির জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূইয়া জানিয়েছেন, মেট্রোপলিটন এলাকার চার থানার পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। যারমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা রয়েছে।

পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মী : কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে বরিশালে বিএনপির নেতাকর্মী প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছিল মাত্র একদিন। গত ১৯ জুলাই নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কে মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলেও
আওয়ামী লীগের হামলার মুখে পরে। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন মহানগর বিএনপি আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারসহ অনেকে। ওইদিনের পর থেকেই জেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের আর দেখা যায়নি। এরইমধ্যে বরিশালে সহিংসতার পাঁচ মামলায় অজ্ঞাতনামা দুই সতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। কারফিউ জারির পর জেলাজুড়ে এখন চলছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। তাতে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ফলে গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

;

রাতে ঢাকাসহ ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

ঝড়ের পূর্বাভাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকাসহ ১০ জেলার ওপর দিয়ে রাতের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে ঢাকা ছাড়াও ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া সংস্থাটি।

লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ছাড়াও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *