সারাদেশ

রাজধানীতে জামায়াতের মিছিলে হামলা ও আটকের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীতে জামায়াতের মিছিলে হামলা ও আটকের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। ফার্মগেট ও উত্তরায় জামায়াতের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের যৌথ হামলায় দুইজন আহত ও পাঁচ জনকে আটকের অভিযোগ এনেছে দলটি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার রোববার (১৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলা ও আটকের বিষয়টি দাবি করেন। 

হরতালের সমর্থনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও মহানগরী মজলিশে শূরার আরেক সদস্য এফ আহমেদের নেতৃত্বে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা অঞ্চলের উদ্যোগে বাড্ডা এলাকায় বিক্ষোভ ও পিকেটিং করে নেতাকর্মীরা।

এদিকে মোহাম্মদপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে সকালে হরতালের সমর্থনে নেতাকর্মীদের মিছিল বের করতে দেখা যায়। ঢাকা মহানগরী উত্তরের শূরার সদস্য মশিউর রহমান এ মিছিলের নেতৃত্ব দেন।

এছাড়া রাজধানীর কাফরুল, গুলশানে, পল্লবী, উত্তরায়, দক্ষিণখান-বিমানবন্দর সড়কে, মতিঝিলে, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, বাসাবো মুগদা সড়ক ও হাজারীবাগ সড়ক এলাকায় মিছিল ও পিকেটিং করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু আ. লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি

ছবি: বার্তা২৪

দ্বিতীয় দিনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল দশটায় গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রির জন্য ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভাগ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলা আর রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালের বিভাগের জন্য তৃতীয় তলা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সকল বিভাগের মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়া হচ্ছে নিচ তলায়।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ প্রথম দিনে সরাসরি ও অনলাইনে মিলে ১০৬৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে। যা থেকে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগামী মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিক্রি করবে দলটি। 

;

ফখরুলসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে সুইডেন বিএনপির সমাবেশ

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবিতে দেশবাসীকে আহুত রোববার (১৯ নভেম্বর) ও সোমবার (২০ নভেম্বর) ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালনের আহবান জানিয়েছেন সুইডেন বিএনপির সিনিয়র নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, এমদাদ হোসেন কচি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী স্টোকহোমে সুইডেন বিএনপির এক সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন বলেন, ভোট চোরের বিরুদ্ধে বিএনপির হরতাল চলছে এবং চলবে। নতুন তফসিলের মাধ্যমে দেশে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দিতে হবে। না হলে বিক্ষুব্ধ এই জনতা ঘরে ফিরে যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোও বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। কিন্তু বর্তমান সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে সব মহলের দাবিকে অগ্রাহ্য করে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

সুইডেন বিএনপি মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু বলেন, আসুন আগামীকাল ১৯ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর হরতাল পালন করে এই সরকারকে জানিয়ে দেই জনগণের দাবি মানতে হবে। এই একতরফার নির্বাচন জনগণ মানে না। জনধিকৃত ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই অবিলম্বে এই তফসিল বাতিল করতে হবে। অন্যথায় হরতালসহ দেশে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ঘোষিত এই একতরফা তফসিল বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।

সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদ হোসেন কচি বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে একতরফা নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। তারা আওয়ামী লীগের কথার প্রতিধ্বনি করে সাংবিধানিক পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে। এমন নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।

সভায় উপস্থিত সুইডেন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলধারার বিরোধীদল ও দেশের অধিকাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনে আগ্রহী নয় জেনেও এ আজ্ঞাবহ দলকানা কমিশন তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেদেরকে দলীয় দাসে পরিণত করেছে। বিরোধী দলগুলোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন:প্রতিষ্ঠা ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে মানুষের জনসমর্থন দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ এ অবস্থায় ঘরে বসে থাকতে পারে না।

;

বিএনপিসহ বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু

বিএনপিসহ বিরোধীদের ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু

পাঁচ দফা অবরোধের পর সরকার পদত্যাগের একদফা দাবি এবং তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল চলবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।

হরতালের আগের রাতেই রাজধানীর আগারগাঁও, গুলিস্তান, ধানমণ্ডি ও কালশিতে চারটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই বাসে আগুন দেওয়া শুরু করে হরতাল সমর্থনকারীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুরের তালতলা মোড়ে বিহঙ্গ পরিবহনের একোটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

রাত ৮টার পর গুলিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। কাছাকাছি সময় কালশি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা বসুমতি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা।

রাতে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জ থেকে গাবতলী যাওয়ার পথে ধানমন্ডি এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে গতকাল শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার এই হরতাল হচ্ছে অধিকার আদায়ের হরতাল। এই হরতাল হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে হরতাল, গণতন্ত্রকামী মানুষকে অন্যায়ভাবে জুলুম-নিপীড়ন-নির্যাতন করে ফরমায়েশি রায়ে শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হরতাল। এই হরতাল অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে। জনগণের মালিকানা জনগণকে ফেরত দিতেই এই দুর্বার আন্দোলন।

এদিকে বাস টার্মিনালগুলো ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রী তুলনামূলকভাবে কম। যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার কোন বাস সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে রাজধানীতে গণপরিবহন পরিবহন ছিলো চোখে পড়ার মতো।

কাউন্টার ম্যানেজারেরা বলছে, মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করছে তাই যাত্রী সংকট। অন্ততপক্ষে বিশজন যাত্রী না পেলে বাস ছেড়ে যাওয়া লোকসান।

অন্যদিকে যাত্রীদের অভিযোগ বাস মালিকেরা দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাবার কথা বললেও দূরপাল্লার বাস পাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে ভাড়াও বেশি খরচ হচ্ছে। বাস না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়েই ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছেন।

;

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনের আয় ৫ কোটি ৩২ লাখ

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ প্রথম দিনেই ১০৬৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে।

এর মধ্যে সরাসরি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১০৫০ জন আর অনলাইনে ১৪ জন। ওই মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে দলটির আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার বিকালে (১৮ নভেম্বর) প্রথম দিনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষে এই তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

তিনি জানান, প্রথম দিনেই ১০৬৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৮টি, সিলেট বিভাগে ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৬৯টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।

ফরম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

পরে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। এরপর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *