হুতিদের ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ডেস্ক রিপোর্ট: লোহিত সাগরে টহলরত মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে চালানো একাধিক ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড।
এক্স-এ দেওয়া বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইয়েমেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে দেশটির হুতি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন এলাকা থেকে চালানো একাধিক ড্রোন হামলা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস থমাস হাডনার থেকে গুলি করে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানায়, হুতি বিদ্রোহীদের এসব ড্রোন হামলায় মার্কিন জাহাজ এবং ক্রুদের কোনও ক্ষতি হয়নি।’
প্রসঙ্গত, হুতিরা নিজেদেরকে ইরানের মিত্র ও প্রতিরোধ অক্ষের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা ইসরায়েল অভিমুখে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
হুতিরা ইসলামি কট্টরপন্থী গ্রুপ হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছে।
এদিকে গত রবিবার হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের প্রবেশপথে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট একটি পণ্যবাহী জাহাজ এবং এটির ২৫ জন আন্তর্জাতিক ক্রুকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে এক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগরে একটি ইসরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজ আটক করেছে বলে গত রবিবার এক বিবৃতিতে জানায় হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।
তারা ওই জাহাজটি আটক করে ইয়েমেনের উপকূলে নিয়ে যায়। তবে জাহাজটির মালিকানা অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।
খবরে বলা হয়েছে ইয়াহিয়া সারি ওই বিবৃতিতে বলেন, হুতি গোষ্ঠী গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
এছাড়াও তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের মালিকানাধীন সব জাহাজ বা এর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল বাহিনী তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে। তাই তিনি ইসরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজগুলোতে অন্যান্য দেশের নাবিকদের কাজ না করার জন্য আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, ইসরায়েল এটিকে ইরানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল একটি আন্তর্জাতিক জাহাজের বিরুদ্ধে ইরানের ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাহাজটি একটি ব্রিটিশ কোম্পানির মালিকানাধীন এবং একটি জাপানি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। ইরানের নির্দেশে হুতিরা ওই জাহাজটিকে আটক করেছে। জাহাজটিতে ইউক্রেনীয়, বুলগেরিয়ান, ফিলিপাইন্স এবং মেক্সিকোসহ বিভিন্ন জাতীয়তার প্রায় ২৫ জন ক্রু থাকলেও সেখানে কোনও ইসরায়েলি ক্রু নেই।
এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ওই ঘটনার সঙ্গে তেহরান কোনওভাবে জড়িত নয়। কোনও ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।