সারাদেশ

ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট: জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত প্রদক্ষেপগুলো, ইবনে সিনা ট্রাস্ট সদাসর্বদা মানুষের পাশে থেকে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসকদের কর্মদক্ষতাকে আরো বৃদ্ধির জন্য ও জনসচেতনতার জন্য ভাসকুলার সার্জারী বিভাগের পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ অর্থ্যাৎ হৃদরোগ এবং রক্তনালী ব্লকজনিত কারণে ঘটে এসকল ঘটনা। রক্তনালী ব্লক হলে হাটতে গেলে পায়ে ব্যথা হয়।

একটি পর্যায়ে গ্যাংরিন বা পচন ধরে। চিকিৎসার একটি পর্যায়ে পা কেটে ফেলতে হয়। রোগী পঙ্গুত্ববরণ করেন। এভাবে প্রতিবছর হাজারো রোগীকে পা কেঁটে ফেলতে হবে। ধূমপান, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, বাড়তি ওজন কারণ পরিশ্রমের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে রক্তনালী ব্লক হতে পারে। রক্তনালীর আল্ট্রাসনোগ্রাম, এ্যানজিওগ্রাম পরীক্ষা করে ব্লক নিরুপণ করা যায়। কাঁটা ছেঁড়া না করে স্টেন্ট বা রিং পরিয়ে রক্তনালী চালু করা যায়। এছাড়াও রয়েছে রক্তনালী বাইপাস অপারেশন। ধূমপান বর্জন, ওজন নিয়ন্ত্রন, প্রতিদিন ৪০ মিনিট  হাটাহাটিতে সুস্থ্যতার নিয়ম মেনে চললে রক্তনালী ব্লক তথা গ্যাংরিন প্রতিরোধ করা যায়। কখনো কখনো রক্তজমাট বেধে রক্তনালী ব্লক হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাত্র ০৪-০৬ ঘন্টার মধ্যে রক্তনালী চালু না করলে পা নষ্ট হতে পারে।

ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, মাল্টিপারপাস হলে ২৮ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে সকাল ১০টায় ভাসকুলার সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জিএম মকবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে “আরটারিয়াল গ্যাংরিন” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ডা. নাজমুল হাসানের  সঞ্চলনায় উক্ত কর্মশালায় ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি ছিলেন- আমেরিকান ভাসকুলার সার্জন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম. আবিদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. মুহিবুল আজিজ। কি-নোট স্পীকার ভাসকুলার সার্জন ডা. একেএম জিয়াউল হক।

আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ডাইরেক্টর এডমিন অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ডাইরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. পারভেজ কবির (অব.), ডেপুটি ডাইরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস মেজর ডা. মিজানুর রহমান (অব.), মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আবু খলদুন আল মাহমুদ, হাসপাতালের সিনিয়র এজিএম এন্ড এডমিন ইনচার্জ মোহাম্মদ নূরে আলম (সবুজ), কলেজের এজিএম এন্ড এডমিন ইনচার্জ আমিনুর ইসলাম ও ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, চিকিৎসক, ম্যানেজমেন্টের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী এবং সকল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে সহযোগীতায় ছিলেন ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *