আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলের কিছু কর্মকাণ্ড বিপরীতমুখী হতে পারে: ওবামা

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সোমবার (২৩ অক্টোবর) বলেছেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের কিছু পদক্ষেপ, যেমন গাজার জন্য খাদ্য ও পানি বন্ধ করার জন্য ফিলিস্তিনিদের মনোভাব কঠোর করতে পারে এবং ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন দুর্বল করতে পারে।’

রয়টার্স জানিয়েছে সক্রিয় বৈদেশিক নীতি সংকটের বিষয়ে বিরল মন্তব্যে ওবামা বলেছেন, ‘যেকোনও ইসরায়েলি সামরিক কৌশল, যা যুদ্ধের মানবিক মূল্যকে উপেক্ষা করে, তা শেষ পর্যন্ত পাল্টা আঘাত করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গাজায় অবরুদ্ধ বেসামরিক জনসংখ্যার খাদ্য, জল এবং বিদ্যুৎ বন্ধ করার ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করারই আভাস দেয় না; বরং এটি প্রজন্মের জন্য ফিলিস্তিনিদের মনোভাবকে আরও কঠোর করতে পারে এবং ইসরায়েলের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থন হ্রাস করতে পারে। এ ছাড়াও ওই ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে শত্রুরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে।

গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ওবামা হামাসের হামলার নিন্দা করেছেন এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি এই ধরনের যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন।

প্রসঙ্গত, ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন গাজায় ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী দল হামাসের সঙ্গে সংঘাতের শুরুতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু, বিমান হামলায় ফিলিস্তিনিদের হতাহতের ঘটনা ঘটলে তিনি দ্রুত ইসরায়েলকে সংযম করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ওবামা প্রশাসন ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনায় একটি শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।

২০২১ সালের গোড়ার দিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাইডেন দীর্ঘ দিন স্থবির থাকা আলোচনা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করেননি এই কারণে যে, উভয় পক্ষের নেতারা খুব অস্থির।

সোমবার এক বিবৃতিতে ওবামা স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যখন যুদ্ধে লিপ্ত ছিল তখন আমাদের উচ্চ মূল্যবোধ থেকে ছিটকে পড়েছিল।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *