কালাই

কালাইয়ে সৈয়দ আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট:

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামে বৃদ্ধ সৈয়দ আলী (৭০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গত রবিবার (৩ ডিসেম্বর) তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। 

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম।

গ্রেফতারকৃত তিন ঘাতক কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামের আবু তালেব ফকিরের ছেলে (গ্রাম পুলিশ) সুজন মিয়া (২৩), মোবারক আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াজেদুল (৩৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৫)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর রাতে আসামি হারুন ধারালো ছুরি নিয়ে গাছ বেয়ে বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর মেইন দরজা খুলে দিলে সুজন এবং ওয়াজেদুল বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন ঘরের দরজা খোলা ও লাইট জ্বালানো। তখন আসামিরা বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর ঘরে গিয়ে দেখে তিনি ঘুমিয়ে আছেন। তখন আসামিরা লাইটের সুইচ বন্ধ করতে গেলে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর। ঘরে কে এই বলে চিৎকার দিলে আসামি হারুন গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে তারপর ওয়াজেদুল দুই পা এবং সুজন দুই হাত ধরে রাখে। তারপর হারুনের কাছে থাকা ধারালো ছুরি সুজনের কাছে দিয়ে ঘরে থাকা বাক্স ভাঙতে যায় হারুন। বাক্সের লক ভেঙে দুই লাখ টাকা ও দলিল একটি ব্যাগে নিয়ে নেয়। এসময় সৈয়দ আলী চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রাম পুলিশ সুজন ভিকটিম সৈয়দ আলীর গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে কন্ঠ নালী কেটে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে আসামি সুজন আবারো বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর গলার বাম পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং মৃত্যু হয়। এরপর টাকা ও দলিলের ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় আসামিরা। গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও দলিলের ব্যাগ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া লুন্ঠিত দুই লাখ টাকা আসামি সুজন ৭৫ হাজার,  হারুন ৭৫ হাজার টাকা এবং ওয়াজেদুল ৫০ হাজার টাকা করে ভাগাভাগি করে নেয়। আসামিদের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ এবং বাকি টাকা তারা খরচ করেছে বলে জানায়।

মো: চঞ্চল বাবু/ডেইলি জয়পুরহাট

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ডেইলি জয়পুরহাট-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *