আন্তর্জাতিক

সিলেটে ব্যাপক উন্নয়ন হবে, আমাকে সুযোগ দিন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামীতে নির্বাচিত হলে সিলেটের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। আপনারা আমাকে আবারও সুযোগ দিন।

তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার বড়ভাই (আবুল মাল আব্দুল মুহিত) এখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছিলেন আর আপনারা ভোট দিয়েছেন বলে তিনি জনগণের জন্য সৎ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করেছ্নে। আমিও আমার বড়ভাইয়ের মতো কাজ করতে চাই। তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দলে দলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে দুষ্টু লোকদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।

মোমেন বলেন, আজকে আমরা মহা আনন্দিত। আমাদের দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহেনাকেও আমি অভিনন্দন দেই। তাঁদের জন্য দোয়া করি। এই দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিছু কুলাঙ্গারদের কারণে তার স্বপ্নের অনেক কাজ করতে পারেননি। কিন্তু বন্ধবন্ধু দিয়ে গেছেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে হবে। আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখতে চাইনা, আমরা আমাদের সন্তানের মৃত্যু দেখতে চাইনা। এজন্য শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।

ড. মোমেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহেনাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটবাসীর প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি সিলেটের উন্নয়নে সবসময় নজর রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণে গত ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে খনন কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে সিলেটে শহর রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। সিলেটে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে তিনি। ইনশাল্লাহ সরকার গঠনের পরপরই আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের কাজটিও শুরু হবে।

জনসভায় উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। গত কয়েক বছরে এটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশে। শুধু তাই নয় এখন নারীর ক্ষমতায়নের ফলে তারা জজ, সচিব, রাষ্ট্রদূত, সেনাবাহিনী-পুলিশ ও অন্যান্য শীর্ষপদে আসীন হচ্ছেন। আগে বিভিন্ন সার্টিফিকেট-কাগজাদিতে আমাদের শুধু পিতার নামই লেখা হত। প্রধানমন্ত্রী পিতার নামের সাথে মাতার নাম অর্ন্তভুক্ত করে নারী জাতিকে সম্মান জানিয়েছেন।

জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ।

সিলেটের এই জনসভার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি হজরত শাহজালাল ও শাহপরান (র.)-এর মাজার জিয়ারত করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *