সারাদেশ

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল

ডেস্ক রিপোর্ট: পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনকালীন পদে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে পঞ্চগড় সুগার মিল মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার অংশ নেবেন। এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ ঘোষণা দেন। তবে মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে রাতেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট।

প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স সফল করতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক পথসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেলমন্ত্রীর নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এমতাবস্থায় তার পক্ষে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি তার জায়গায় আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল পরবর্তী আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

এসময় পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান ভুঈয়া মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ূন কবীর উজ্জ্বল সহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে রাতেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, রেলমন্ত্রীর এ ঘোষণা মনগড়া। এটি কোন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে রয়েছি। একই সাথে নির্বাচন কেন্দ্র করে আমার সাধারণ সম্পাদকের পদ হারালে রেলমন্ত্রী সভাপতি’র পদ ও নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তাসহ সভাপতি পদ হারাবে। মন্ত্রী যেটি বলেছেন সেটি একতরফা হয়ে গেছে। এমনটি হলে সারাদেশেই হবে। তবে এটার কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা এটা। আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণে যদি আমার পদ যায়, তাহলে তাদের পদও যাওয়ার কথা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল জনসভা সফল করতে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক পথসভায় এ ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী।

জামালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাঙচুর

ছবি: বার্তা২৪.কম

জামালপুর-৫ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু’র ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাঙচুর করা হয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ফুলবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রের চেয়ার ভাঙচুর করা হয় এবং চেয়ার নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একদল দুবৃর্ত্ত হঠাৎ করেই পশ্চিম ফুলবাড়িয়া বউবাজার এলাকায় ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে আসে এবং অকথ্য ভাষায় প্রার্থীসহ সকল সমর্থকদের গালিগালাজ করতে থাকে।

একপর্যায়ে তারা সেই প্রচারকেন্দ্রের চেয়ার ভাঙচুর করে ও কিছু চেয়ার সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক সাবেক কাউন্সিলর মো. সুরুজ্জামান, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল বারেক, মো. আমিনুর ইসলামসহ অনেকেই।

জামালপুর সদর থানার এসআই মাজাহার ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। কারা এ কাজের সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জামালপুর-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র  সংসদ সদস্য প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং তার কর্মী সমর্থকদের কোনো গণ্ডগোলে না জড়িয়ে ধৈর্যের সাথে নির্বাচনী প্রচার করতে আহ্বান করেন।

;

কুষ্টিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের গাড়ী ভাঙচুর: কারাদণ্ড

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের সমর্থকের গাড়ী ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮ দিকে ২৪ ঘণ্টার কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফের একটি নির্বাচনী উদ্বোধন উপলক্ষে সভা চলছিল। এ সভায় যোগ দিয়েছিলেন কুমারখালী উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর।

সভাস্থলের পাশেই এই দুই নেতার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট রাখা ছিল। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক নন্দলালপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) শরিফুল ইসলাম নেতৃত্বে কয়েকজন ওই গাড়ি দুটি ভাঙচুর করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সভার লোকজন তাদের ধাওয়া দিয়ে ইউপির সদস্য শরিফুল ইসলামকে ধরে মারপিট করে পুলিশে দেন। অন্যরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে শরিফুলকে ২৪ ঘন্টার কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সহকারী রিটানিং অফিসার ও কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, নন্দলালপুরে কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের একটি সভা চলাকালে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক ওই প্রার্থীর সমর্থকের ২টি গাড়ী ভাঙচুর করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় শরিফুল নামে এক ইউপি সদস্যকে ধরে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ জানান, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কুমারখালী-খোকসার জনগন তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এ কারণে, ওই প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্রায় প্রতিদিনই তার (আব্দুর রউফ) লোকদের মারপিট ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।

;

হরতালে বাস-ট্রাক ভাঙচুর, ৩৮৩ জনের নামে মামলা গ্রেফতার ৩

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপির ডাকা ২৪ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে মিছিল থেকে বাস-ট্রাক ভাঙ্গচুরের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৩৮৩ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে নাশকতা আইনে পলাশবাড়ী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জের অভিরামপুর গ্রামের সেলিম আকন্দের ছেলে সজিব মিয়া (২০), পলাশবাড়ি উপজেলার রামপুর গ্রামের শাপুল সরকারের ছেলে ফেরদাউস সরকার (১৯) ও একই উপজেলার একই গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে রাহুল কবির (৩০)।

মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপু্রে জুনদহ এলাকায় একটি বাস, দুটি মালবাহী ও একটি পণ্যবাহী কার্গো ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। এসময় তারা ইট-পাটকেল ছুড়ে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নামীয় ৮৩ জনসহ আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এসময় ঘটনাস্থল থেকে একজন এবং রাতে অভিযান চালিয়ে আরও দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর সাথে জড়িতদের অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;

বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে দলীয় পদ হারালেন এমপি জাফর

জাফর আলম

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সংসদ সদস্য জাফর আলমকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য রাখায় ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপি’কে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার সভাপতির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হল এবং কেন তাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল। ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যদি জবাব না দেওয়া হয় তবে তাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরাবরে সুপারিশ করা হবে।”

জানা গেছে, গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অন্যায় করেছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কঠোর ভাষায় বক্তব্য রাখেন।

এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

উল্লেখ্য, তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *