খেলার খবর

মাশরাফি-সাকিব ছাড়াও ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে যত মুখ 

ডেস্ক রিপোর্ট:  

ক্রিকেটে মাঠে মাশরাফির পর, রাজনীতির মাঠে মাশরাফি। ক্রিকেটের মাঠে সাকিবের পর, রাজনীতির মাঠে সাকিব। এই দুই লাইনে একটা আপেক্ষিক মিলও আছে। ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে অধিনায়ক সাকিব এসেছিলেন মাশরাফির হাত ধরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই সিরিজে প্রথম অধিনায়ক হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মোর্তুজা। তবে চোটের কারণে সিরিজের শুরুতে ছিটকে যান তিনি। এবং দায়িত্ব আসে সাকিব আল হাসানের হাতে, ঠিক মাশরাফির মতোনই, প্রথমবারের মতো। 

এবার রাজনীতির মাঠেও মাশরাফির পরই এলেন সাকিব। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হলেন সংসদ সদস্য। এবং দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন মাশরাফি। তবে ক্রিকেটার থেকে সংসদ সদস্য, এতে মাশরাফি-সাকিবই প্রথম নন। এর আগে দুবার সংসদ সদস্যের পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার নাইমুর রহমান দুর্জয়। 

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তালিকাটি এই তিনজনকে ঘিরে হলেও উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোতে এমন চিত্র অনেক আগে থেকেই। 

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতির অঙ্গনে, সেখানে ক্ষমতা বা দায়িত্ব বিচারে যেই নামটি সবার ওপরে থাকবে, ইমরান খান, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ক্রিকেট ছাড়ার পর নিজের রাজনৈতিক দলই খুলে বসেছিলেন ইমরান। শেষ পর্যন্ত যা এসেছিল ক্ষমতাতেও।  

তালিকায় পিছিয়ে নেই লঙ্কান ক্রিকেটাররাও। দেশটির ক্রিকেটের দুই সাবেক তারকা অর্জুনা রানাতুঙ্গা ও সনাৎ জয়সুরিয়া। খেলার মাঠের যাদের অবদান চোখে পড়ার মতো। ক্রিকেট অধ্যায়ের শেষে এই দুই তারকায় জড়িয়েছেন রাজনীতিতে। ২০০১ সালে অবসরের পরপরই রাজনীতিতে নাম লেখান ১৯৯৬ আসরের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গা। একে একে দায়িত্ব সামলান শ্রীলঙ্কা সরকারের মিনিস্ট্রি অব পেট্রোলিয়াম রিসোর্সেস ডেভলেপমেন্ট, মিনিস্টার অব পোর্টস অ্যান্ড শিপিং এবং ডেপুটি মিনিস্টার অব ট্যুরিজমের। এবং ২০১৯ সালে ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন মিনিস্ট্রির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। 

এদিকে, ২০১০ সালে জাতীয় নির্বাচনে নিজ শহর মাতারা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন জয়সুরিয়া। 

সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে ভারত। যেই তালিকায় একে একে আছেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারি, বিনোদ কাম্বলি, কীর্তি আজাদ, চেতন চৌহান, নভোজিৎ সিং সিধুসহ আরও অনেকে। এর মধ্যে মনোজ তিওয়ারির রাজনৈতিক দায়িত্বটাও অনেকটা ক্রিকেট সম্পৃক্ত।  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে রয়েছেন তিনি। 

২০১৯ সালে দেশটির লোকসভার সদস্য হন গৌতম গম্ভীর। একই সালে পাঞ্জাবের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছিলেন নভোজিৎ সিং সিধু। এর আগে তিনি ছিলেন সংসদ সদস্য হিসেবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *