সারাদেশ

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পাবেন যেসব সুবিধা

ডেস্ক রিপোর্ট: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নিরঙ্কুশ জয়ের পর ইতিমধ্যে শপথ নিয়ে নিয়েছেন বিজয়ী সংসদ সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা বঙ্গভবনে সন্ধ্যায় শপথ নেবেন। শপথের পর তাদের দায়িত্ব বণ্টন করবের প্রধানমন্ত্রী|

এ উপলক্ষ্যে প্রায় ১৪০০ অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বঙ্গভবন। 

নতুন মন্ত্রিসভার শপথ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। যে সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাদের সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ-সদস্যগণের মধ্য হতে নিযুক্ত হবেন এবং অনধিক এক-দশমাংশ সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হতে পারিবেন। এবং সংসদ ভেঙ্গে যাওয়া এবং সংসদ-সদস্যদের অব্যবহিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তীকালে এই অনুচ্ছেদের (২) বা (৩) দফার অধীন নিয়োগ দানের প্রয়োজন দেখা দিলে সংসদ ভেঙে যাবার আগে যাঁহারা সংসদ-সদস্য ছিলেন, এই দফার উদ্দেশ্য সাধনে তারা সদস্যরূপে বহাল থাকবেন।

আওয়ামী লীগ সরকার গত ৩ মেয়াদে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। এর আগে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ৩২ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করার ১৮ দিন পর মন্ত্রিসভায় আরও ছয় জন যোগ হন। এরও প্রায় আড়াই বছর পর আরও দুজনকে মন্ত্রী করা হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সেই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিসভার আকার আরও বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জন ছিলেন।

এবারও ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ নেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন তাদেরকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে টেলিফোন করা হয়েছে।

নতুন মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। শপথগ্রহণ শেষে নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ শপথবাক্য স্বাক্ষর করবেন।

তিনি আরও জানান, শপথের পর প্রধানমন্ত্রী দফতর বণ্টন করবেন। পরে প্রজ্ঞাপন আকারে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ইতিমধ্যে দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য নতুনদের মধ্যে শপথ নিতে ফোন পেয়েছেন- ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আব্দুস শহীদ, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আবদুছ সালাম, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ডা সামন্ত লাল সেন ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সিমিন হোসেন রিমি, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম।

এদিকে এখন পর্যন্ত ফোন পেয়েছেন যারা; তারা হলেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র, আবদুছ সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ডা সামন্ত লাল সেন ও স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ পাঠ করান।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *