সারাদেশ

নো, আমি এনজয় করছি: পরিকল্পনা মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: নো, আমি এনজয় করছি: পরিকল্পনা মন্ত্রী

ছবি: বার্তা ২৪.কম

পরিকল্পানা মন্ত্রণালয় থেকে চলে যাচ্ছেন মনে কষ্ট আছে কি? এমন প্রশ্নে জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্না বলেন, নো নো, এনজয় করছি। আমি কোথায় যাচ্ছি সংসদে যাচ্ছি। সংসদ সরকারের উপরে। সেখানে আমার দায়িত্ব আছে কর্তব্য আছে সেটা করবো।

বৃহস্পতিবার (১১ই জানুয়ারি) আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে শেষ কর্মদিবসে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

সংসদের বাইরে আর কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দলের একজন কর্মী, টিম প্লেয়ার যখন দলের প্রধান যেখানে দায়িত্ব দিবেন সেটা করবো।

আজ শেষ কার্যদিবসে এই সময় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কৌশলাদী বিনিময় করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের নতুন যে মন্ত্রী দায়িত্বে আসবেন তার প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানে নতুন যে আসবে তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোন মতামত নিলে উনাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নয়। নতুন যে আসবে তাকে অভিনন্দন জানাই। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। যিনি আসবেন তাকে স্বাগত জানাবো। এখানের কাজের পরিবেশ আছে। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান। এখানে কাজ উপভোগ করার মতো। কাজের পরিবেশ ভালো সব কিছুই প্রাণবন্ত। এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ এখানে আশা অনেক বেশি। এখানে নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনেক আর্থ-সামাজিক বিবর্তন হয়েছে। এখানে প্রকল্প পাশ করা হয় ও তৈরি করা হয়। এখানের সব প্রকল্পই মানুষের কল্যাণে হয়। সবাই খুব অভিজ্ঞ ও ভালো মানুষ। সবাই আমরা দেশের কল্যাণে কাজ করবো। এখানে একটা একাডেমিক পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত। দেশের সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টিভির-পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে প্রকল্প পাশ হয় এটা সবাই দেখতে চায়।

মন্ত্রী পরিষদ প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, চমৎকার মন্ত্রী সভা করেছে সরকার। প্রত্যেকে কাজের মানুষ। বাস্তবতার নিরিখে আমি এখানে কাজ করছি। এই মন্ত্রণালয়ে সবাই ভালো কাজ করে।

পরিবেশবাদী নাগরিক সংগঠন ‘ধরা’র আত্মপ্রকাশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন “ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)র আত্মপ্রকাশ হয়েছে। নতুন সংগঠনটির আহ্বায়ক- গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী ও সদস্য সচিব- ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরিফ জামিল সদস্য সচিব।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদী এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করা হয়। সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করেন ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওয়াটার কিপার্সের সমন্বয়ক শরিফ জামিল বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে।  জনগণের জীবন-জীবিকার ক্ষতি, ব-দ্বীপ বাস্তুসংস্থানের ধ্বংস সাধন, তীব্র পানি ও বায়ু দূষণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের বাস্তুচ্যুতি, লবণাক্ততা, সুপেয় পানির সংকট, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এসব সমস্যা মোকাবেলায় মানুষ ও সংগঠন সমূহের সম্মিলিত ভাবে কাজ করা প্রয়োজন। এই লক্ষেই আমাদের সংগঠন ধরার আত্নপ্রকাশ হচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আমরা কেউই পরিবেশ নিয়ে একা কিছু করতে পারি না। সেই জায়গা থেকেই আমরা সংগঠন করেছি। আমি অনেক শক্ত কথা বলে থাকি, কারণ আমার পেছনে অনেক মুখ আছে যারা কথা বলে, আমাকে সাহস দেয়। এই জন্য আমরা সবাই মিলিত হয়েই কথা বলি। আমাদের এই সংগঠন সেভাবে এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর প্রেসিডেন্ট ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে আছি, যেখানে উন্নয়ন এবং পরিবেশকে মুখোমুখি দাড় করানো হচ্ছে। আমরা বৈশ্বিকভাবে টেকসই নিয়ে কথা বলি। আবার আমরা নদী ধ্বংস করি, বন ধ্বংস করি। এখন পরিবেশ রক্ষায় আইন থাকলেও সেগুলো মানা হয়না। সবাই এখন চাইলেই পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে পারিনা। আমরা এখন ধরার মাধ্যমে পৃথিবী রক্ষার কথা বলব।

শরিফ জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, রোমান ক্যাথলিক চার্চ আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবেশ নিয়ে কাজ করা পরিবেশকর্মীর।

;

লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় ৫ বছরের সাজা

ছবি: বার্তা ২৪

লক্ষ্মীপুরে ইয়াবা ট্যাবলেট রাখার দায়ে খোরশেদ আলম এক মাদক ব্যবসায়ীর ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একই মামলায় জসিম নামে এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত খোরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন না, জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। অপর আসামি জসিম আদালতে উপস্থিত ছিল।

খোরশেদ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার বান্ধুনীমুড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। জসিম রামগঞ্জ পৌরসভার কলছমা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ২১ জুন রাতে পৌরসভার কলছমা গ্রামের মান্দার বাড়িতে অভিযান চালায় রামগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়কালে খোরশেদ আলম ও তার ছোট ভাই সোহেল আলমকে আটক করা হয়। তাদের দুইজনের কাছ থেকে ১১০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় জসিম নামে আরেকজন৷

এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান বাদি হয়ে আটককৃত খোরশেদ, সোহেল ও পলাতক জসিমের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পংকজ কুমার সাহা। তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৭ আগষ্ট তিনি আদালতে প্রতিবেদন দেন। পরে মামলায় দ্বিতীয় আসামি সোহেল আলম মারা গেলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি খোরশেদ আলমের সাজা এবং অপর আসামি জসিমকে খালাস দিয়েছেন।

;

হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বধুলাল দাশ (৪২) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বধুলাল দাশ উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের হেলারকান্দি গ্রামের মহালাল দাশের পুত্র।

জানা যায়, বুধবার রাতে উপজেলার বড়কান্দি গ্রামে বাউল গানের আসর শেষে রাত ২ টার দিকে বধুলাল দাশ বাড়ি ফেরার পথে ৪-৫ লোক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বধুলাল দাশের চাচাতো ভাই প্রমুদলাল দাশ জানান, সম্প্রতি একই গ্রামের বাবুল মিয়ার সাথে বধুলাল দাশের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় এর জেরে রাতে বধুলাল দাশকে একা পেয়ে বাবুল মিয়াসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই ওয়াহেদ গাজী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

৬ লাখ টাকা বিল পরিশোধে চাপ দিচ্ছে হাসপাতাল, দাবি আয়ানের বাবার

ছবি: বার্তা ২৪

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিহত শিশু আয়ানের পরিবারকে ৬ লাখ টাকা বিল পরিশেধের জন্য চাপ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ইউনাইটেড হাসপাতাল প্রভাবশালী হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বিচার পাওয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শামিম আহমেদ বলেন, ‘৩১ তারিখের মেডিকেল হিস্ট্রি তারা আমাদেরকে দেয়নি। সেটা গায়েব করে ফেলেছে। আমাদের আত্মীয়স্বজনকে হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শেষ দুইদিন আইসিইউ-র সামনে অতিরিক্ত গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে, আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।’ 

‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেক পাওয়ারফুল। আমাদের মতো সাধারণ জনগণ বিচার পাবে, এমন আশা করাও বোকামি। আমি সরকারের কাছে আবেদন করবো, আপনারা ব্যবস্থা নিন। আমরা সাধারণ জনগণ রাস্তায় প্রতিবাদ—মানববন্ধন করেই যাবো; কাঙ্ক্ষিত বিচার পাবো না। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তারা যাতে বাঁচতে না পারে, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই। আমার ছোট্ট বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে আপনি ব্যবস্থা নিন।’ 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, ‘আয়ানের এই অপমৃত্যুর মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার দৈন্যতা প্রকাশ পেয়েছে। আয়ানের জায়গায় আজকে আমি, আপনি, আমাদের পরিবারের যে কেউ থাকতে পারতো। দেশের এই দৈন্য চিকিৎসার বিরুদ্ধে তাই আমাদের সবাইকে সজাগ হতে হবে।’ 

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *