কৃষ্ণসাগরের মাইন পরিষ্কার করবে তিন ন্যাটো মিত্র দেশ
ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষ্ণসাগরে ভাসতে থাকা মাইনগুলো পরিষ্কার করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া।
দেশ তিনটি আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, ওই মাইনগুলো জাহাজ চলাচলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার ইস্তাম্বুলে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাঞ্জেল তিলভার এবং বুলগেরিয়ার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আতানাস জাপ্রিয়ানভের সঙ্গে দেখা করার পর বলেছেন, ‘এই চুক্তিটির অধীনে মাইন মোকাবিলার জন্য তিন ন্যাটো মিত্রের মধ্যে একটি মাইন কাউন্টারমেজারস টাস্ক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
জাপ্রিয়ানভ বলেছেন, ‘মাইনগুলো বন্দর, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং মূল জলের অবকাঠামোর জন্য বিপদজনক।’
রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাঞ্জেল তিলভার বলেন, রাশিয়ার আন্তর্জাতিক আইনের মানদণ্ডের প্রতি অবজ্ঞা এবং কৃষ্ণসাগরে এর আগ্রাসন কেবল একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়, বরং বৈশ্বিক সমস্যাও।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে সামুদ্রিক মাইনগুলো ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরের রপ্তানি রুটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওই মাইনগুলোর জন্য গত ডিসেম্বরে শস্য লোড করার জন্য দানিয়ুব নদী বন্দরে যাওয়ার জন্য একটি বাল্ক ক্যারিয়ারসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটেছে।
তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘চুক্তি মোতাবেক প্রতিটি দেশ তিনটি মাইনহান্টিং জাহাজ এবং একটি কমান্ড-কন্ট্রোল জাহাজ এই উদ্যোগের জন্য বরাদ্দ করবে।’
এ ছাড়াও তিন দেশের নৌ কমান্ডাররা অপারেশন চালানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করবেন বলে জানা গেছে।
গত সপ্তাহে তুরস্ক বলেছিল, তারা ইউক্রেনকে দান করা যুক্তরাজ্যের দুটি মাইনহান্টার জাহাজকে কৃষ্ণসাগরে তার জলপথে ট্রানজিট করার অনুমতি দেবে না।
কারণ, এটি ১৯৩৬ সালের মন্ট্রেক্স কনভেনশন লঙ্ঘন করবে, যা বসফরাস এবং দারদানেলেস প্রণালীর যুদ্ধকালীন উত্তরণ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে দুটি প্রণালী দিয়ে রাশিয়া বা ইউক্রেনের জাহাজের যাতায়াত বন্ধ করার জন্য কনভেনশন প্রণয়ন করে কৃষ্ণসাগরের বাইরের রাজ্যগুলোকে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে নিষেধ করেছিল তুরস্ক।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।