সারাদেশ

দিল্লিতে গাইতে গিয়ে সম্মানিত মেহরীন

ডেস্ক রিপোর্ট: দিল্লিতে গাইতে গিয়ে সম্মানিত মেহরীন

সংগীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদ

নতুন বছরের প্রথম শোটাই ভারতের নয়াদিল্লিতে করলেন জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদ ও তার ব্যান্ড ‘আনাড়ি’। গত ১১ জানুয়ারি ভারতের প্রেস্টিজিয়াস ইনার হুইল উইমেন্স অর্গানাইজেশনের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি যান এবং সেখানের মঞ্চ মাতান।

ইউফোরিয়ার শতবর্ষপূর্তিতে নিজের বাংলা গান ছাড়াও ইংরেজি ও হিন্দি গান গেয়ে দিল্লির দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন মেহরীন। পরদিন এই আয়োজনের সমাপনী দিনে তাকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানস্থলে মেহরীন বলেন, ‘ইনার হুইল ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট মিসেস ট্রিশের কাছ থেকে দারুণ প্রশংসা পেয়েছি, যা আমাকে আনন্দিত ও উৎসাহিত করেছে।’

মেহরীন মাহমুদ ও তার ব্যান্ড ‘আনাড়ি’ শুধু শো নয়, ইউফোরিয়ার শতবর্ষপূর্তির থিম সংটাও করেছেন মেহরীন। মেহরীনের লেখা ও শরদিন্দু মুনের সুরে ইংরেজি এই থিম সংটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গায়িকা বলেন, কর্মজীবী মহিলাদের নিয়ে এই গান। ‘ইনার হুইল উইল লাইট ইওর ফায়ার, ইনার হুইল উইল লাইট ইউ হাইয়ার’—এটিই গানের প্রতিপাদ্য।
পরদিন সকালে ইনার হুইল উইমেন্স ক্লাব ইন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মেহরীনকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানান প্রীতি গুগনানি।

মাহিরা কখনোই উপেক্ষার পাত্রী ছিলেন না : ফাওয়াদ খান

সুপারস্টার ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খান

পাকিস্তানি শোবিজের সবচেয়ে বড় দুই সুপারস্টার ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খান। বলিউডে শাহরুখ খান, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, আনুশকা শর্মা কিংবা ঐশ্বরিয়া রায়ের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে তাদের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে আরও কয়েকগুণ।

বাংলাদেশেও এই তারকার অগণিত ভক্ত। ফাওয়াদ ও মাহিরা ২০১১ সালে ‘হামসফর’ সিরিয়ালে প্রথম জুটি বেঁধেছিলেন। তখনই দর্শক নজর কাড়তে সক্ষম হন তারা। এরপর ছোট পর্দার পাশাপাশি সিনেমাতেও একসঙ্গে কাজ করেন এ দুই তারকা; যার সুবাদে দর্শক বারবার পর্দায় তাদের জুটি হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।

সুপারস্টার মাহিরা খান কিন্তু বাদ সেধেছেন অভিনেতা ফাওয়াদ খান নিজেই। মাহিরার সঙ্গে কাজ করবেন না বলেও সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন নির্মাতাদের। যদিও এ দুই তারকার মধ্যে কখনও কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হয়নি। এরপরও ফাওয়াদের কাছে উপেক্ষিত থেকে গেছেন মাহিরা; যা অনেকের কাছেই এক রহস্য।

সুপারস্টার ফাওয়াদ খান পাকিস্তানের অন্যতম আবেদনময় পুরুষ অবশেষে এতদিন পর একটি পডকাস্টে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন ফাওয়াদ। স্বীকার করেছেন, মাহিরা কখনোই তার কাছে উপেক্ষার পাত্রী ছিলেন না।

সরাসরি বলেছেন, ‘যারা ভাবেন, মাহিরাকে আমি পছন্দ করি না বলেই একসঙ্গে অভিনয় করতে চাইনি, তাদের ধারণা ভুল। আমাদের কখনও সম্পর্কের অবনতি ঘটেনি। কোনো কিছু নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিও তৈরি হয়নি; বরং আমাদের মধ্যে অন্য রকম এক বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে।’

সুপারস্টার ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খানের রসায়ন এখনো নজর কাড়ে ভক্তদের তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেই সম্পর্ক যেন ফিকে না হয়ে যায়, সে কারণেই একটা দূরত্ব রেখেছি। আমি দেখেছি, যাদের সঙ্গে কারও নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরি হয়, তাদের সঙ্গে বেশি কাজ করলে সম্পর্কটা ততটাই জটিল হয়ে ওঠে। সেটি কখনও চাইনি বলেই মাহিরার সঙ্গে একের পর এক কাজ করার আপত্তি ছিল আমার।’

;

দুই বাংলায় একসঙ্গে মোশাররফ করিমের ‘হুব্বা’

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল আজিজ ও মোশাররফ করিম

নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিমের জনপ্রিয়তা এখন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে কলাকাতাতেও সমপরিমান। কারণ তিনি সেখানেও নিয়মিত কাজ করছেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ব্রাত্য বসু পরিচালিত এ অভিনেতার সিনেমা ‘হুব্বা’। নতুন খবর হলো- একই দিনে ছবিটি বাংলাদেশেও মুক্তি পাবে।

সিনেমাটি বাংলাদেশে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া জানিয়েছে, বাংলাদেশে মুক্তির জন্য অনুমতি পেয়েছে ‘হুব্বা’। এক ফেসবুক পোস্টে তারা জানায়, ১৯ জানুয়ারি আপনারা দেখবেন ‘হুব্বা’, আপনার নিকটস্থ প্রেক্ষাগৃহে।

এরপর আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ করিমও। তিনি ছবিটি নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

জাজের কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘সিনেমাটি মুক্তির জন্য আমরা অনুমতি পেয়েছি। বাংলাদেশে ‘হুব্বা’ প্রদর্শনীতে আর কোনো বাধা নেই। আশা করছি, ক্রাইম থ্রিলারভিত্তিক সিনেমাটি এ দেশের দর্শককে মুগ্ধ করবে।’

পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবনের ঘটনাবলি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হুব্বা’। ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন এই ব্যক্তি। খুন, মারামারি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে তার দাপট ছিল।

‘হুব্বা’ সিনেমার পোস্টার /   ছবি : সংগৃহিত অসংখ্য মামলার এই আসামি একপর্যায়ে নির্বাচনেও দাঁড়ান! বৈচিত্র্যে ভরা সেই চরিত্রেই মোশাররফ করিম কাজ করলেন।

সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। এ ছাড়াও রয়েছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনস।

;

ইসলামের পক্ষে সরব জায়েদ খান!

জায়েদ খান / ছবি : সংগৃহিত

ভাইরালের দাদা’খ্যাত চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিভিন্ন ভিডিও হরহামেশাই আলোচনা-সমালোচনা আর মজার খোরাক দেয়। সম্প্রতি তেমনি একটি ভিডিওতে দেখা যায়- জায়েদ খান ইমামদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আর এতেই শুরু হয়েছে নতুন করে তাকে নিয়ে সমালোচনা। কেন জায়েদ খান ইমামদের বিরুদ্ধে কথা বললেন? এমনকি অনেকেই জায়েদ খানকে বয়কটের ডাকও দিয়েছেন।

তবে আজ রবিবার বিকেলে জায়েদ খান বললেন, একটি ভিডিও কেটে অংশবিশেষ ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমি মূলত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীতে যে কিছু কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে সেই কথা বলেছি। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইমাম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে পত্রিকায়, যারা বলাৎকারের মতো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বলেছি।’

গণমাধ্যমকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই নায়ক বলেন, ‘একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে- জায়েদ ভাই, আপনার এতো গুলো প্রেম, এতো গুজব এসব কেমন লাগে? আমি তার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, নায়ক বলেই তো গুজব ছড়ায়। নায়ক হয়েও যাতে নামে গুজব না ছড়ায় তা করতে হলে মসজিদের যারা ইমাম আছে তাদের মতো টুপি দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। ভদ্র নম্র হয়ে জীবনযাপন করতে হবে, বাসায় থাকতে হবে।’

জায়েদ খান /  ছবি : সংগৃহিত বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘তার মানে ইমামদের আমি ভালো হিসেবে বিবেচনা করেছি। ইমামরা ভালো হয়, নামাজ পড়ায়। তাদের পেছনে সমস্ত জ্ঞানী গুণী মানুষরা নামাজ পড়ে। তাদের পেছনেই তো সেজদা দেই আমরা, আমি কিন্তু ভালো উদ্দেশ্যে বলেছি। তবে কিছু কিছু ইমাম দেখবেন কিছু মসজিদে, যারা শিশু বলাৎকারের মতো গর্হিত কাজও করে থাকে। কিছু কিছু মানুষ এমন সব সমাজেই আছে। তাদের উদ্দেশ্যে ওই কথাগুলো বলেছিলাম। সেখানে সকল ইমাম নয়, আলেমের কথা তো ওঠেই নাই। আমি ইসলাকমের পক্ষে, যারা ইসলাম বিরোধী কাজ করে আমি তাদের বিপক্ষে। দ্যাটস ইট।’

জায়েদ খান এও জানান, আমার হজে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ইনশাল্লাহ সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।

;

ছেলেসহ হাসপাতালে ভর্তি পরীর বিশেষ বার্তা

পরী ও রাজ্য (বামে), হাসপাতালে ভর্তি রাজ্য (ডানে)

গ্রামের বাড়ি বরিশালে বেশ মজা করেই কটা দিন কাটালেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি। সেই আনন্দ, হৈ হুল্লোড় আর ঘোরাঘুরির ছবি ও ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করেছেন তার দেড় কোটি ফলোয়ারসমৃদ্ধ ফেসবুক পেজে। কিন্তু কাজের টানে তো রাজধানীতে ছুটে আসতেই হয়। ফিরছিলেন গত ১১ জানুয়ারি।

আর সেদিনই বাঁধল বিপত্তি। তাই ১১ জানুয়ারী রাত থেকেই এই নায়িকা তার একমাত্র পুত্রসন্তান রাজ্যসহ হাসপাতালে ভর্তি।

খবরটি একটু আগেই পরীমনি নিজেই জানিয়েছেন তার সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যর হাতে ক্যানোলা পরানো একটি ছবি পোস্ট করে একটি বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন পরী।

পরীমনি তিনি লিখেছেন, ‘শীতকালে সবাই খাবার-দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস- শীতের সময় এসব থেকে সেফ থাকা মুশকিল।’

এরপরই তিনি নিজের ঘটনাটি শেয়ার করেন। পরী লিখেছেন, ‘বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমান মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিলো। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুন্য (পরীর ছেলের ডাক নাম) এখনো হসপিটালাইজড!’

খুনসুটিতে ব্যস্ত পরী ও রাজ্য অবশেষে পরী তার নতুন সিনেমা ‘কাগজের বউ’ নিয়ে বলেন, ‘‘নানুবাড়ি থেকে ভীষণ রকম গুড এনার্জী নিয়ে ফিরেছিলাম। জমে থাকা কাজগুলো একটানা শেষ করব ভাবছিলাম। গতকাল আমার ওয়েব ফিল্ম কাগজের বৌ-এর প্রেস মিট ও প্রিমিয়ার ছিলো এফডিসিতে। থাকতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হচ্ছিল খুব। কিন্তু সকাল থেকে অনেক সাংবাদিক ভাই বন্ধু মেসেজে, ফোনে কাগজের বৌ-এর প্রশংসা করলেন! আমার, তায়েব ভাই, ইমনের নতুন কেমেস্ট্রি আর অভিনয় এর ভালোলাগা প্রকাশ করলেন! আমার পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী মেসেজে লিখলেন, ‘কি যে সুন্দর ছবি বানিয়েছি নিজেরই তো বিশ্বাস হচ্ছে না!’ আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে এসবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকবেন সবাই।’’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *