সারাদেশ

নেতাকর্মী কিংবা আমার নয়, উন্নয়ন হবে এলাকার: শফিক চৌধুরী

ডেস্ক রিপোর্ট: নেতাকর্মী কিংবা আমার নয়, উন্নয়ন হবে এলাকার: শফিক চৌধুরী

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশীক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেছেন, সিলেট-২ আসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন হবে। কোন নেতাকর্মী কিংবা আমার কোন উন্নয়ন হবে না, উন্নয়ন হবে এলাকার।

তিনি বলেন, আপনাদের বলেছিলাম ভোট দেন, উন্নয়ন হবে। আপনারা ভোট দিয়েছেন আমরা উন্নয়ন দেব। বিগত ১০ বছর আমরা ছিলাম উন্নয়ন বঞ্চিত। সারাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে ছিল। কিন্তু আমরা উন্নয়ন পেলাম না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আমাকে নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। যার ফলে আপনারা সবাই ঐক্যবন্ধ ভাবে কাজ করে আমাকে নির্বাচিত করেছেন।এই বিজয় আমার নয়, ওসমানীনগর-বিশ্বনাথের।

মঙ্গলবার (১৬জানুয়ারি) বিকালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর মঙ্গলচন্ডী নিশি কান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি প্রবাসীদের উদেশ্যে বলেন, প্রবাসীরা অবৈধ পথে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান। বৈধ পথে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের সব সময় মূলায়ন করেন। প্রবাসীরা যেকোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ করতে পারবেন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জাম চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাছির উদ্দিন খান।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনহার মিয়ার সভাপতিত্বে ও তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলকের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.শাকির আহমদ শাহিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা রবিন পাল।

এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মাহুয়া মারমিন ফাতেমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, প্রবাসী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু

সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা শুরু

বাংলার প্রাচীন রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী ‘লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব ২০২৪’ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্-আল-কায়সার ঐতিহ্যবাহী এ মেলার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার বলেন, বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও সারাবিশ্বে সুপরিচিত লোকজ ঐতিহ্যের কারণে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য সোনারগাঁওকে বিশ্বের সামনে আরও আকর্ষণীয় করে তুলে ধরতে যা যা করার দরকার তার সবই করা হবে।

তিনি বলেন, শান্তিপ্রিয় সোনারগাঁওয়ের মানুষ উন্নয়ন চায়। আগামীদিনে সকলের মিলনমেলা হিসাবে এ স্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সোনারগাঁও বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা যাতে এখানে এসে অপ্রীতিকর অবস্থা ও বিড়ম্বনার শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।

তিনি এসময় অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে হুঁশিয়ারি দেন।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, লোকজ ঐতিহ্য ও শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- সারাদেশের কারুশিল্পীরা এ মেলায় এসে নিজ হাতে কারুশিল্প পণ্য তৈরি, প্রদর্শন ও বাজারজাত করবে। এর মাধ্যমে কারুশিল্পের প্রসারসহ এ সেক্টরে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

তিনি বলেন, কারুশিল্প পণ্য তৈরির কলাকৌশল অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত। ২০১৭ সালে সিলেটের শীতলপাটি বয়নশিল্প এবং সম্প্রতি ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র ইউনেস্কো’র অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানের বিভিন্ন কারুশিল্প পণ্য তৈরির কলাকৌশলকে ডকুমেন্টেশন করা হবে এবং পরবর্তীতে ইউনেস্কো’র অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মেলা পরিদর্শন করেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

;

শারীরিক প্রতিবন্ধী চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই

ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহের ত্রিশালে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাকিব (১৪) নামের এক কিশোর চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিহত রাকিব ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের নদীর পাড় এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি কলা খেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, রাকিব শারীরিক প্রতিবন্ধী, সে হাঁটতে পারে না। গতকাল সোমবার রাকিব অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে রাকিব বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে। কিন্তু কোথাও তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ঘটনার দিন দুপুরের পর স্থানীয়রা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে একটি কলা খেতে রাকিবের মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদোহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ত্রিশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, রাকিবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে, রাকিবের অটোরিকশার কোন সন্ধ্যান মেলেনি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন

ছবি: বার্তা২৪.কম

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া গ্রামে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি ) দুপুর ২ টায় উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া ২নং আবাসনে প্রেমিক রাব্বির বাসার সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে রাব্বির বাড়ির সামনে ভীড় জমায় উৎসুক জনতা।

অনশনকৃত তরুণী জানান, প্রায় ৩ বছর আগে পটুয়াখালী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ওই তরুণীর সঙ্গে একই কলেজের অনার্স পড়ুয়া কলাপাড়ার মহল্লাপাড়া গ্রামের রাব্বির প্রেম হয়। গত বছর তারা নিজেরাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একসঙ্গে বেশ কিছুদিন একসাথে থাকেন।

তিনি বলেন, রাব্বী আমাকে কোনো দিনই তার বাড়িতে নিয়ে যায়নি। আমিও অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করেও রাব্বিকে পাইনি। কয়েকদিন পর রাব্বি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। গত ২১ ডিসেম্বর কুয়াকাটার একটি হোটেলে কাজী ডেকে আবারও কাবিন করেন রাব্বি। আর সেদিন রাতে বাড়িতে না নিয়ে কলাপাড়ার কালভার্ট এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে রাত্রি যাপন করে সকালে ফের লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে আর কোন যোগাযোগ করেনি রাব্বি। শেষে কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে স্বামীর বাড়িতে বিষের বোতল হাতে অনেশন শুরু করেছি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাব্বির বাড়িতে যাওয়ার পর রাব্বির মা তাকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ওই তরুণী।

রাব্বিকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া না গেলেও তার বাবা শাহিন প্যাদা বিয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলেকে কয়েকজন ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে ওই মেয়েটার সঙ্গে কুয়াকাটায় বিয়ে দিয়েছে। আমরা মামলা করেছি। এছাড়া, ওই মেয়ের বেশকিছু আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে আমার কাছে। আমার ছেলে ওই মেয়ের সঙ্গে কোনোদিনও ভাড়া বাসা নিয়ে থাকেনি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

ফেনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভুয়া ডাক্তারের জরিমানা

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে ও ফার্মেসিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওষুধ বিক্রির অপরাধে আবদুল মান্নান নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আব্দুল মান্নান নিজেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পল্লী চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এতদিন চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারবীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত জানায়, আবদুল মান্নান নামে এই ব্যক্তি এমএফপিসি নামে একটি ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অভিযানে তার সনদের মূল কপি, ফটোকপিতে সনদের সিরিয়াল ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যায়নি।

দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, আবদুল মান্নান যে ডিগ্রি ব্যবহার করতেন বাস্তবে এধরনের কোন ডিগ্রি নেই। ব্যবস্থাপত্রে যেসব ওষুধ লিখতেন সেগুলো তার লিখার সুযোগ নেই। এটি সে নিজেও স্বীকার করেছে। এজন্য তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসময় তিনি ফার্মেসিতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে মুরগীর ওষুধ বিক্রিসহ নানা অনিয়মের কারণে তাকে আরও ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারবীন বলেন, আসল সনদ না থাকা, ফটোকপির অসত্য তথ্য, তাপমাত্রা মিটারবিহীন ফ্রিজ, নিয়মবহির্ভূত মুরগীর ঔষধ বিক্রি, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশসহ বিভিন্ন অপরাধে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ও চেম্বার সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

অভিযুক্ত আবদুল মান্নান বলেন, ১৯৭৭-৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১ বছরের এমএফপিসি কোর্স চালু করেছিল। আমি সেই কোর্স সম্পন্ন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলাম।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *