সারাদেশ

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট: অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর

বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) অনিবন্ধিত সব মোবাইল ফোন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে জানানো হয়, মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকের মালিকানা নিশ্চিত করা, নকল ও নিম্নমানের হ্যান্ডসেট উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ রোধ করা এবং এই শিল্পে শৃঙ্খলা আনতে বিটিআরসিতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।

দেশে উৎপাদিত, সংযোজিত এবং আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ডাটাবেজ এবং স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিটিআরসিতে রয়েছে উল্লেখ করে নিবন্ধনহীন সব মোবাইল ফোন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

আগামী পাঁচ বছরে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর ভিত্তি তৈরিতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ও বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বিটিআরসির প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘বঙ্গবন্ধু চা ভবন’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত চা বোর্ডের

‘বঙ্গবন্ধু চা ভবন’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত চা বোর্ডের

চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে চা শিল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকাস্থ মতিঝিলে চা বোর্ডের নিজস্ব ভূমিতে ‘বঙ্গবন্ধু চা ভবন’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চা বোর্ড।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বোর্ডের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনলাইনে অনুষ্ঠিত চা বোর্ডের ৯০তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়্যারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম।

এছাড়াও সভায় বাংলাদেশ চা বোর্ড ও এর আওতাধীন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট, টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়াম এবং চা বোর্ড পরিচালিত বাগান বিষয়ে নির্ধারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বোর্ডের সদস্যরা দেশের চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, সমস্যা, সম্ভাবনা এবং এ শিল্পের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মোহাম্মাদ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় বোর্ডের সদস্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো: হাবিবুর রহমান যুক্ত ছিলেন।

এছাড়াও মো: কামরুল আমিন, সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন); মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য), নাহিদ আফরোজ, যুগ্মসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; মো: আমিনুর রহমান, উপসচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়; মো: জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট; প্রধান বন সংরক্ষকের প্রতিনিধি চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব বিপুল কৃষ্ণ দাস; বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান; টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান শাহ মঈনুদ্দিন হাসান এবং ন্যাশনাল ব্রোকার্সের চেয়ারম্যান এম সাইফুল ইসলাম সংযুক্ত ছিলেন।

;

অস্ত্র বিক্রি করতে এসে গ্রেফতার দুই বন্ধু

ছবি: বার্তা ২৪.কম

লক্ষ্মীপুরে একটি গুলি ভর্তি বিদেশি পিস্তল বেচাকেনা করতে এসে ফরহাদ হোসেন ফাহিম (২৩) ও হাছান গাজী শাকিল (২২) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এরআগে বিকেলে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চরমন্ডল গ্রাম থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

আটক ফাহিম রামগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে ও শাকিল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের জাহাঙ্গীর গাজীর ছেলে।

থানা পুলিশ জানায়, আটক ফাহিম অস্ত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে আসে। শাকিল অস্ত্রটি বিক্রি করিয়ে দেবে বলে তাকে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে তারা বিষয়টি জানিয়েছে। অস্ত্রটির মূল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ এক রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, অস্ত্রটি বিক্রির উদ্দেশ্যে আটক যুবকরা ঘটনাস্থল আসে। তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

কেন বোয়িং ম্যাক্স প্লেনে টিকিট বুকিং দিচ্ছেন না যাত্রীরা 

কেন বোয়িং ম্যাক্স প্লেনে টিকিট বুকিং দিচ্ছেন না যাত্রীরা 

মাঝ আকাশে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ উড়োজাহাজের দরজা খুলে যাওয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচল খাতে ঝড় বইছে। সম্প্রতি আলাস্কা এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি নিয়ে বিশ্বের বিমান চলাচল খাত নড়েচড়ে বসেছে। ঘটনাটি নিয়ে প্রতিদিনই নিত্যনতুন সংবাদও তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওই মডেলের ১৭১টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করেছে। এতে শতশত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী।

এই ঘটনায় বোয়িংয়ের প্রধান ভুল স্বীকার করে শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে দরজা খুলে যাওয়ার ঘটনাটির সমাধানের আশ্বাস দিলেও আকাশপথে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও শঙ্কা কাটছে না।

আলাস্কা এয়ারলাইন্সের ওই ঘটনার পর ম্যাক্স ৯ পরিদর্শনের সময় ঢিলে হয়ে যাওয়া স্ক্রু পেয়েছে পরিদর্শক দলটি, যা যাত্রীদের মনে আস্থাহীনতা তৈরি করেছে। বিশ্বখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের এই ঘটনায় আবারও সবাই নতুন করে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজে বিশেষ করে ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ মডেলে চড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে গেছে। কারণ এরই মধ্যে যেসব যাত্রী আকাশপথে ভ্রমণে টিকিট কিনছেন বা বুকিং দিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ কোন মডেলের উড়োজাহাজে চড়তে হবে তা যাচাই করতে ভুলছেন না।

বোয়িংয়ের প্রধান যাত্রীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছেন বললেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল টেকনোলজি কোম্পানি বুকিং হোল্ডিংস বলছে, ভ্রমণকারীরা টিকিট কেনা কিংবা বুকিংয়ের ক্ষেত্রে উড়োজাহাজের মডেল সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে।

ইন্টারনোভা ট্রাভেল গ্রুপও ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে একই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে। পিটার নামে ওই কোম্পানির এক এক্সিকিউটিভ বলছেন, যেসব ভ্রমণকারী আলাস্কা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বোয়িংয়ের দরজা খুলে যাওয়া সম্পর্কে জানেন, তারা জানতে চাইছেন – যে উড়োজাহাজে তারা যাবেন সেগুলো কি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ মডেলের কিনা?

২০১৮ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার এবং ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন যাত্রী নিহত হন। এই দুটি দূর্ঘটনাতেই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজে ঘটেছিল। ওই ঘটনার পর বোয়িং একটি বড় ধরনের ধাক্কা খায়। এরপর সুনির্দিষ্ট ওই উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও উৎপাদন বন্ধ ছিল। এরপর বোয়িং পরিস্থিতি সামলে যখন যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে তখন আরেকটি ধাক্কা এলো। বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধারাবাহিক দূর্ঘটনায় বোয়িংয়ের ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজের ওপর যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন হবে।

;

পতেঙ্গায় পোড়ানো হল ৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিস, নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের এক যৌথ অভিযানে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আকমল আলী এবং কর্ণফুলী নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ। এছাড়াও অভিযানে নৌ-পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও ফোর্সরা অংশ নেন।

নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, নগরের পতেঙ্গা থানার সি-বিচ এলাকা, ইপিজেডের আকমল আলী সাগরপাড় এবং কর্ণফুলী নদী এলাকায় টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ কোটি টাকা মূল্যের দুই লাখ মিটার চরঘেরা জাল, ৪ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি বেহুন্দী জাল এবং ২০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০টি বাঁশের খুঁটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাল ও সামগ্রীর সর্বমোট মূল্য ৩ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে সরকার। সারাদেশে অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, খুঁটি জাল, চরঘেরা জাল, মশারি জাল ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘চরঘেরা জাল, বেহুন্দী জাল ও কারেন্ট জালসহ যেসব নিষিদ্ধ জাল আছে সেগুলো ধ্বংসে আমাদের এ অভিযান মাসব্যাপী ৩ ধাপে চলবে। আজকেও আমরা বিভিন্ন জায়গায় কোস্টগার্ডসহ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ কোটির অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার করেছি। উদ্ধারকৃত চরঘেরা জাল, বেহুন্দী জাল ও বাঁশ উপস্থিত জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রচলিত নিয়ম মাফিক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, সারাবছর আমাদের দেশীয় মাছসহ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা অভিযান পরিচালনা করে থাকলেও এই মাসটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমরা অভিযানগুলো পরিচালনা করছি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *