খেলার খবর

সাকিবদের বিপক্ষে জয় দিয়ে আসর শুরু তামিমের বরিশালের 

ডেস্ক রিপোর্ট: লক্ষ্যটা ১৩৫ রানের এবং সহজের কাতারেই। অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাটিং ছন্দে শুরুটাও বেশ ভালো ছিল ফরচুন বরিশালের। তবে ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তা জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তামিমের ৩৫ রানের পর মুশফিকের ২৬, এবং শেষে রিয়াদের ১৯ রানের ক্যামিও। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এই তিন তারকার ব্যাটে চড়ে আরেক তারকা সাকিবের ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পায় ফরচুন বরিশাল। 

আসরের নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। সেখানে ব্যাট করতে নেমে খালেদ আহমেদের পেস তোপে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর। শেষে শামীমের ৩৪ ও মাহেদির ২৯ রানের ভরে শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় দলটি। 

এদিকে লক্ষ্য তাড়ায় করতে নেমে শুরু থেকে বেশ ছন্দে এগোতে থাকেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে ৩২ রানের মাথায় তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রংপুরের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১২ রান করে ফেরেন আফগান ব্যাটার ইব্রাহিম। তবে প্রায় চার মাস পর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রেখেন এগোন তামিম। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। 

এদিকে ব্যাট হারে আরও একবার ব্যর্থ সৌম্য সরকার। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় কেবল ১ রান করে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। থিতু হওয়ার সম্ভাবনা জাগালেও দ্রুতই ফেরেন তিনে নামা মিরাজ (২০)। সেখানে এবার দায়িত্ব নেন মুশফিক এবং তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শোয়েব মালিক। তবে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে মুশফিক ফিরলে বাকি পথ সামান দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে শুরুর ম্যাচেই পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন সাকিব ও হাসান মুরাদ। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর রাইডার্স। ইনিংসের প্রথম বলেই বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইমরানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। পেস তোপে পরের দায়িত্ব নেন ফ্রচুন বরিশালের দেশিয় পেসার খালেদ আহমেদ। নিজের প্রথম ওভারে ওপেনার রনি তালুকদার (৫) ও অভিজ্ঞ সাকিবের (২) উইকেট তুলে নেন এই ডানহাতি পেসার। চাপ কাটিয়ে উঠার আগেই প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আরও এক ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখায় তামিমের দল। এতে ৫ ওভার শেষে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সাকিব-সোহানরা। 

এরপর শামীম হোসেন ও নুরুল হাসান কিছুটা চাপ সামলে নিলেও শতরানের আগেই সাজঘরে ফেরেন শুরুর ৭ ব্যাটার। সেখানে দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও শেখ মাহেদির ১৯ বলের ২৯ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় দলটি। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন খালেদ। দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *