সারাদেশ

‘উনপুরুষ’-এ সমকামী, বাই সেক্সুয়ালদের কথা রয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘উনপুরুষ’-এ সমকামী, বাই সেক্সুয়ালদের কথা রয়েছে

সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা / ছবি : নূর এ আলম

১৯৮৬ থেকে থিয়েটার চর্চা করছেন সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে অনেক সাড়া জাগানো নাটকে অভিনয় করে হয়েছেন প্রসংশিত। ঢাকার মঞ্চে সেই গুটিকয়েক অভিনেত্রীর একজন তিনি, যিনি একক নাটকে (গহনযাত্রা) অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিচ্ছেন। নাটকটির নাম ‘উনপুরুষ’। এই নাটক নিয়েই তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ ‘উনপুরুষ’ নাটকটি নিয়ে জানতে চাই…

অপু মেহেদীর লেখা ‘উনপুরুষ’ নাটকটি আমার নির্দেশনায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক। এটি ‘নবরস’ নামের নতুন একটি দলের প্রথম প্রযোজনা। অধিকাংশ নবীন শিল্পীদের নিয়েই কাজটি করেছি। এই নাটকটিতে সমকামী এবং বাই সেক্সুয়াল মানুষের কথা রয়েছে। নাটকটির স্ক্রিপ্ট যখন আমার হাতে আসে তখন আমার আশেপাশের অনেকের সঙ্গে আমি গল্পটির মিল খুঁজে পাই। ১৯৮৬ সাল থেকে থিয়েটার চর্চা করছি। তার আগে থেকেই নৃত্যচর্চা করে আসছি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের অনেক পুরুষ সহকর্মী, বন্ধু এমনকি এখন আমার অনেক ছাত্রকে কাছ থেকে দেখছি। এজন্য কাজটি করার পেছনে আমার আলাদা আগ্রহ জন্মে।

সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা / ছবি : নূর এ আলম ‘উনপুরুষ’-এর মাধ্যমে সমাজে কি বিশেষ কোন বার্তা দিতে চাইছেন?

অবশ্যই এই নাটকটির মাধ্যমে আমরা সমাজের কাছে, মানুষের কাছে এক ধরণের বার্তা পৌঁছাতে চাই। নাটকটি দেখলে সবাই বুঝতে পারবেন, আমাদের সমাজের হিজড়া সম্প্রদায় কিংবা এল.জি.বি.টি কমিউনিটির মানুষরা কি ধরনের যন্ত্রণা, অপমান আর সংগ্রাম নিয়ে জীবনযাপন করে। আমরা যদি সত্যিই মানবিক মানুষ হই, তাহলে আমাদের মধ্যে তাদের প্রতি সহানুভূতি জন্মাবে। তাদেরকে আমরা যে দৃষ্টিতে দেখছি সেটি ঠিক না। তারাও ভালোবাসার পাবার অধিকার রাখে। তাদের সঙ্গেও সবার সহানুভূতিশীল আচরন করা উচিত। এই মানবিকতার জায়গা থেকে আমি নাটকটি মঞ্চে আনতে চেয়েছি। এটা একজন সচেতন মানুষ ও একজন শিল্পী হিসেবে আমার সামান্য চেষ্টা। যা দেখে যদি কারও মনোভাব বদলায় তবেই আমাদের সার্থকতা।

সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা / ছবি : নূর এ আলম নাটক নির্দেশনা দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?

জার্নিটা অনেক বেশি কষ্টের। কারণ এতোদিন ‘পদাতিক নাট্য সংসদ, টিএসসি’র মতো বড় একটি দলে কাজ করেছি। সেখানে অনেক লোকবল। ফলে কোন কাজ করতে গেলে অনেক সাপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু ‘নবরস’ দলটি একেবারেই নতুন। স্বাভাবিকভাবেই লোকবল অনেক কম। ফলে বাইরের দল থেকেও কিছু শিল্পী নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তাদের সঙ্গে সময় মিলিয়ে নাটকটি মঞ্চে আনার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। সবার সহযোগীতায় শেষ পর্যন্ত আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। এজন্য খুব ভালো লাগছে। সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা / ছবি : নূর এ আলম নাটকটি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে কবে?

আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি (মঙ্গল ও বুধবার) রাজধানীর নাটক সরণির (বেইলি রোড) মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে প্রদর্শনী হবে নাটকটির। প্রদর্শনী শুরু হবে সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে। ‘উনপুরুষ’ নাটকের কলাকুশলী হিসেবে আছেন- আলো ও মঞ্চ পরিকল্পনা-সাইফুল ইসলাম, পোষাক উপদেষ্টা-ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সঙ্গীত পরিকল্পনা-এবি সিদ্দিক। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ওয়াজিদ, কাশিফ আলফি আহমেদ, নূর-এ-খোদা মাশুক সিদ্দীক, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জিসান আদিত্য জয়, নুসরাত জাহান বন্যা, সাদিকা মালিহা শখ, সবুজ খান, সুকন্যা সাকিরা, গোলাম মোর্শেদ, সানি, বন্যা, শখ প্রমূখ। প্রদর্শনীর দিন কাউন্টার ছাড়াও ০১৭১১৮৯২৩০৯ ও ০১৭৮১১৬৬৫৯৮ নাম্বারে যোগাযোগ করে নেয়া যাবে অগ্রিম টিকিট।

রোকেয়া প্রাচীর ‘সাবিত্রী’র প্রিমিয়ার

‘সাবিত্রী’ সিনেমার নাম ভূমিকায় রোকেয়া প্রাচী

মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ের কঠিন বাস্তবতাকে ঘিরে নির্মিত সিনেমা ‘সাবিত্রী’। সরকারি অনুদানে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পান্থ প্রসাদ। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এই ২২তম আসরে ৭৪টি দেশের ২৫০টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগে প্রিমিয়ার হবে ‘সাবিত্রী’ সিনেমাটির।

সাবিত্রী নামের এক বীরাঙ্গনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা চা শ্রমিককে কেন্দ্র করে এগিয়ে গেছে সিনেমার গল্প। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘মাটির ময়না’খ্যাত গুণী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল সাবিত্রীর জীবন। তেমনি স্বাধীন দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়, তখন তার সাক্ষী হতে গিয়ে সাবিত্রী ও তার যুদ্ধশিশু মঙ্গলকে টিকে থাকার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত লড়াই করে যেতে হয়েছে। একাত্তর ও বর্তমান সময়ের মিশেলে সিনেমাটির গল্প লিখেছেন তুষার আবদুল্লাহ।

‘সাবিত্রী’ সিনেমায় অনন্ত হীরা সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা পান্থ প্রসাদ বলেন, ‘সাবিত্রী’র সাথে আমাদের পুরো টিমের অক্লান্ত পরিশ্রম, ঘাম জড়িয়ে আছে। সিনেমাটির কাজ করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়তে হয়েছিল, তার মধ্যে হানা দিয়েছে করোনা। সবমিলিয়ে কাজটি শেষ করতে সময় লেগে যায়। এ সিনেমায় আমরা দুটি সময়কে পাশাপাশি ধরে গল্প বুনেছি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ এবং একুশ শতকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রেক্ষাপটে এক যুদ্ধসন্তান ও তার মায়ের সামজে টিকে থাকার সংগ্রাম এবং এক নিগুঢ় অন্তর্বেদনার গল্প রূপায়িত হয়েছে ‘সাবিত্রী’ সিনেমায়।

২৪ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি অডিটরিয়ামে দেখানো হবে সিনেমাটি। রোকেয়া প্রাচী ছাড়াও এই সিনেমায় , অভিনয় করেছেন অনন্ত হীরা, বৈশাখী ঘোষ, নার্গিস, সৈকত সিদ্দিকী, শাহরিয়ার বকুল, বৈদ্যনাথ সাহা, শ্যামল, আরতী প্রমুখ। বহতা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির চিত্রগ্রহণ করেছেন ড্যানিয়েল ড্যানি ও কমল চন্দ্র দাস। সম্পাদনা, শব্দশৈলী ও রঙ বিন্যাস করেছেন সুজন মাহমুদ।

;

মাহিন খানের শো স্টপার হয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেন রুনা

র‌্যাম্প মাতালেন রুনা খান / ছবি : নূর এ আলম

গতকাল ২০ জানুয়ারি শেষ হয়ে গেল দেশের ফ্যাশন অঙ্গনের অন্যতম বড় ইভেন্ট ‘খাদি ফ্যাশন উইক’। রাজধানীর গুলশানের আলোকি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ফ্যাশন উইক আয়োজন করে বাংলাদেশ ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল। সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনারদের পাশাপাশি তরুণ ডিজাইনাররাও তাদের ডিজাইন শোকেস করার সুযোগ পেয়েছেন এখানে।

দেশি বিদেশি ডিজাইনারের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন কিউ প্রদর্শিত হয়েছে। ফ্যাশন শোটি কোরিওগ্রাফি করছেন বিখ্যাত মডেল ও গ্রুমার আজরা মাহমুদ।

দেশের প্রথমসারির র‌্যাম্প মডেলদের পাশাপাশি শেষ দিনে চমক ছিল বাংলাদেশ ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিলের সভাপতি ও আইকনিক ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খানের ফ্যাশন কিউ। তার ডিজাইন তো বরাবরের মতো মুগ্ধতা ছড়িয়েছেই। সেই সঙ্গে তিনি শো স্টপার হিসেবে হাজির করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খানকে।

ফ্যাশন রানওয়েতে মাহিন খানের পোশাকে রুনা খান /  ছবি : নূর এ আলম ‘খাদি ফ্যাশন উইক’-এর মাধ্যমে বেশ লম্বা সময় পর র‌্যাম্পে উঠলেন নন্দিত এই অভিনেত্রী। তিনি পরেছিলেন নীল কটন শাড়ি। সঙ্গে ডিপ নেকের মানানসই কালো ব্লাউজ আর স্ট্রেইট হেয়ারে রুনাকে র‌্যাম্পের মঞ্চে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য মনে হয়েছে।

এ বিষয়ে রুনা খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই আয়োজনের অংশ হয়ে আমার আনন্দ ও গর্ব হচ্ছে। কারণ এখানে দেশি ফ্যাশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমিও দেশি ফ্যাশনকে নিজের মধ্যে ধারণ করি। দেশি ম্যাটারিয়ালের পোশাকই বেশি পরি। খাদি একেবারেই আমাদের দেশিয় ফ্যাব্রিক। ডিজাইনার মাহিন খানকে ধন্যবাদ, তার মতো আইকনিক ডিজাইনার আমাকে শো স্টপার হিসেবে নির্বাচন করেছেন বলে। আমি বরাবরই তার পোশাক পছন্দ করি। এজন্য আরও আগ্রহ নিয়ে কাজটি করেছি। দারুণ সময় কেটেছে।’

‘খাদি ফ্যাশন উইক’-এর মঞ্চে রুনা খান /  ছবি : নূর এ আলম মাহিন খান বলেন, ‘আমি বরাবরই সাসটেইনেবল ফ্যাশন নিয়ে কাজ করি করি। এবারের ‘খাদি ফ্যাশন উইক’-এর থিমও তাই। ভবিষ্যতের ফ্যাব্রিক কি হতে পারে সেটিই শোকেস করেছি আমরা। শো দেখার পর অনেক গুণীজনের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি আমরা। আর অভিনেত্রী রুনা খানকে আমার ফ্যাশন কিউতে পেয়ে খুব ভালো লেগেছে।’

;

১ কোটির প্রস্তাব ফিরিয়ে জাহাঙ্গীরকে বেছে নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

শুটিংয়ের ফাঁকে ইলিয়াস কাঞ্চন ও হাসান জাহাঙ্গীর

এখন অভিনয় নিয়ে তেমন ব্যস্ততা নেই প্রখ্যাত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের। তিনি মূলত নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন আর শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বেশি ব্যস্ত। মাঝেমধ্যে টক শোতেও দেখা যায়।

তবে গতকাল নতুন একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হলেন এই অভিনেতা। আবরার টুরস এন্ড ট্রাভেলসের এই বিজ্ঞাপনটি নির্মান করেছেন হাসান জাহাঙ্গীর। নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন নির্মাণেও রয়েছে তার ব্যস্ততা। এবার নির্মাণ করলেন ১২১ নাম্বার বিজ্ঞাপন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি গৎবাধা কাজ ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগেই। কিছুদিন আগে একটি বিজ্ঞাপনে আমাকে এক কোটি টাকা অফার করেছিল কিন্তু করিনি। সেটি ছিল একটি পাথরের আংটির বিজ্ঞাপন। আমি লোভী হলে বিজ্ঞাপনটি করে ফেলতাম। প্রোডাক্ট পছন্দ হয়নি, স্ক্রিপ্ট ভালো ছিল না তাই করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসান জাহাঙ্গীরের সাথে আমি আর প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামান ভাই একসঙ্গে কাজ করি ২০০০ সালের আগে। সেই থেকে আমাদের হৃদ্যতার সম্পর্ক। তারপর মাঝে মাঝে কাজ করেছি। অনেকদিন পর তার এই বিজ্ঞাপনে অভিনয় করলাম। অত্যন্ত বিনয়ী এবং কাজ জানা একজন ভালো নির্মাতা। আবরার ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এজেন্সির বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপটি আমার পছন্দ হয়, তাই অফারটি ফিরিয়ে দিতে পারিনি। আশা করি বিজ্ঞাপনটি সবার পছন্দ হবে।’

শুটিংয়ের ফাঁকে ইলিয়াস কাঞ্চন ও হাসান জাহাঙ্গীর হাসান জাহাঙ্গীর এর আগে আমেরিকায় শুটিং করেছেন আবুল হায়াতকে নিয়ে গোল্ডেন এইজ হোম কেয়ারের বিজ্ঞাপন। দুবাই, কুয়েত, আমেরিকা, কানাডা, লন্ডন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে নিয়মিত নাটক, ডকুমেন্টারি এবং বিজ্ঞাপন নির্মাণ করছেন। আগামী ঈদ পর্যন্ত আরো হাফ ডজন বিজ্ঞাপন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি রয়েছে ওয়েব সিরিজ, ঈদের সাত পর্বের নাটক, একক নাটক সহ সিরিয়াল নাটকের শুটিং।

আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে নতুন একটি প্রতিদিনের ধারাবাহিক নাটকের শুটিং। অভিনয় করছেন অন্য নির্মাতাদের কাজেও। এনটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে মারুফ রেহমান ও শহিদুল নবী টিমের ‘প্রবাসী পরিবার’ এবয় বৈশাখী টিভিতে ‘ফ্যামিলি ডিসটেন্স’। ‘বোধ’ এবং ‘আস্থা’ নামের দুটি একক নাটকের শুটিংও শেষ করেছেন সম্প্রতি।

;

হঠাৎ ঢাকায় এসে গাইলেন স্বস্তিকা

ঢাকায় স্বস্তিকা মুখার্জী

হুট করেই ঢাকায় পর্দাপণ ভারতের এ সময়ের অন্যতম শক্তিমান অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী। শুধু তাই নয়, রীতিমতো গানও গেয়েছেন।

অনেকেই হয়ত জানেন না, স্বস্তিকা অভিনেত্রী হলেও ছোটবেলা থেকে গান শিখেছেন। ফলে গানে তার রয়েছে ভালোই দক্ষতা। হিন্দুস্থান রেকর্ডসের জন্য রবীন্দ্রনাথের একাধিক গান কণ্ঠে তুলেছিলেন স্বস্তিকা। গেয়েছেন কিছু চলচ্চিত্রেও।

গতকাল ২০ জানুয়ারি গানবাংলা টেলিভিশন ও টিএম নেটওয়ার্কের হেড কোয়ার্ডটারে এসে উপস্থিত হন ‘তাসের ঘর’খ্যাত নায়িকা। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও সংগীত পরিচালক তাপসের সঙ্গে পিয়ানোতে তাল মিলিয়ে গাইলেন আড্ডা দিলেন গভীর রাত অব্দি।

টিএম নেটওয়ার্কের হেড কোয়ার্ডটারে তাপস ও স্বস্তিকা  তাপসের ফেসবুক ওয়ালে ধরাও পড়লো তাদের আড্ডার একটু মুহূর্ত। স্বস্তিকা গাইছেন রবীন্দ্রনাথের, “না নাগো না, ভাবনা করো না, যদিবা নীশি যায়, যাবো না, যাবো না” গানটি। যারা জানেন না স্বস্তিকা গাইতেও জানেন তাদের জন্য রহস্যই থাকুক।

তবে হুট করে ঢাকায় কেন এলেন স্বস্তিকা? বাংলাদেশের রঙিন পর্দাকে আরও রঙিন করতে? নাকি অন্য কিছু? তবে কি গাইতে এলেন স্বস্তিকা? তাপসের সঙ্গে সুরে মগ্ন মুহূর্তটি দেখে তেমনটা মনে হতেই পারে কারো কারো।

তবে টিএম নেটওয়ার্ক সূত্র জানায়, মূলত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক তাপসের সঙ্গে গান ও চলচ্চিত্র নিয়ে আন্তরিক আলাপ-আড্ডায় এসেছিলেন স্বস্তিকা। কথা হয়েছে দুই বাংলার সংগীত ও চলচ্চিত্রশিল্পের মেলবন্ধন নিয়ে।

টিএম নেটওয়ার্কের হেড কোয়ার্ডটারে তাপস ও স্বস্তিকা  এদিকে, এমন সময় স্বস্তিকা ঢাকায় এলেন যখন কলকাতা থেকে বেনারশী শাড়ি পরে হাতে গিটার ও রঙিন মাইক হাতে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ঘোষণা করলেন তার নতুন গান ‘ভাল্লাগছে না’ মুক্তির। যৌথ কথামালায় তাপসের সুরে গানটি শিগগিরই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মিমির ইউটিউব চ্যানেলে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *