খেলার খবর

ফেডারেশনগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট: নবনিযুক্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার দশ দিনের মধ্যেই ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসেছেন। 

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে নয়টি ফেডারেশন (অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, ক্যারম, বাস্কেটবল, ভারত্তোলন, শুটিং, আরচ্যারি, টেবিল টেনিস ও ভলিবল) ও একটি সংস্থা (মহিলা ক্রীড়া সংস্থা) আমন্ত্রিত ছিল। টেবিল টেনিস ও ভলিবল ছাড়া বাকি সাতটি ফেডারেশন ও সংস্থা তাদের সংকট, সম্ভাবনা ও বর্তমান পরিস্থিতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন। 

ক্রিকেট বাদে বাংলাদেশের প্রায় সকল খেলাই অবকাঠামো অথবা আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক মন্ত্রী আগত ফেডারেশনগুলোর বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। আলোচনা শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আর্থিক যে সাহায্য প্রয়োজন মনে করেছিলাম এর তুলনায় অনেক কমই তারা বলেছে। ফেডারেশনগুলোর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।’ 

তিনি আরও বলেন, শুটিং ও আরচ্যারি কমপ্লেক্সের বিষয়টি আলোচনাধীন। বিসিবি শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম করছে। সেখানে কয়েকটি ফেডারেশন যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাস্কেটবলের কোর্ট ও ফেডারেশনের নিজস্ব অফিসও সম্পর্কে পাপন বিশেষভাবে বলেন, ‘বাস্কেটবলের একটা সমস্যা ছিল। সেটা সমাধানের পথে। আবাহনী কমপ্লেক্সে তাদের কোর্ট থাকবে। সেটা তাদেরই থাকবে। ফেডারেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য করেই ক্লাব ব্যবহার করবে।’

ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নেয় না। এছাড়া বাকি সব ফেডারেশনই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুদানের মুখাপেক্ষী। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বাজেট হয় সরকারি জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে। ক্রীড়াঙ্গনে এক দশকের বেশি সময় কাটানো নাজমুল হাসান  পাপনের সেটিও জানা, ‘আমি আসলে আর্থিক বিষয়টি কম বলছি ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করে। তাই বলে একেবারে কমও নয়। বর্তমান বাজেটে হয়তো এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আগামী বাজেটে অবশ্যই এগুলো সংস্থান করার চেষ্টা করব।’ 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেট ১৩০০ কোটি টাকার মতো। সরকারি নিয়মে একটি মন্ত্রণালয়ের বাজেট একটি নির্দিষ্ট শতাংশের উপর বৃদ্ধি করা যায় না। এই বিষয়টি স্মরণ করে নতুন মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি বাজেটের মাধ্যমে সবকিছু সংস্থান না হলে বাইরের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সেগুলো পূরণ করব। তাদের যে চাহিদাগুলো সেগুলো পূরণ হওয়ার মতো।’

ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে সভার পরপরই জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কড়ায়-গন্ডায় হিসাব নিব। যাদের সহযোগিতা করা হবে তাদের মনিটরিংয়ের আওতায় রাখা হবে।’

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের অন্যতম শীর্ষ ফেডারেশন ফুটবল ও হকির সঙ্গে মত বিনিময় করবে নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী।  আজকের সভায় ফেডারেশনগুলোর সাধারণ সম্পাদক/সভাপতি, ট্যাকনিক্যাল ব্যক্তিত্ব ও বাজেট কর্মকর্তা একজন করে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *