সারাদেশ

অন্য পুরুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট: অন্য পুরুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় নার্স হাফিজা খাতুনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী কবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ জানয়ারি) বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার রাতেই তাকে জীবনননর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

রবিবার সকালে নিহত হাফিজা খাতুনের বাবা শমসের আলী বাদী হয়ে জামাই কবির হোসেনের নামে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানে হয়।

আটক কবির হোসেন জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের জাকের আলীর ছেলে। এদিকে, বেলা তিনটার দিকে হাফিজার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে সন্তোষপুরে তার বাবার গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।

পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা খাতুন প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনকে বিয়ে করেন। তিনি জীবননগর হাসপাতাল রোডে আখ সেন্টারের পাশে অবস্থিত মা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্সের চাকরি করতেন।

স্বামী থাকা সত্ত্বেও জীবননগরের তসলিম নামের এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা এবং দেখা করতেন হাফিজা। বিষয়টি কবির জেনে ফেলায় প্রায়ই ঝগড়া হতো।

সর্বশেষ গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাদের ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় ক্লিনিকের ছাদে ওই ছেলেকে দেখে রেগে যান কবির। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্লিনিকের ২য় তলায় গিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখে স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে হাফিজার গলা কেটে পালিয়ে যান কবির। আর হাফিজা দৌঁড়ে নিচে নেমে রিসিপশনের সামনে পড়ে যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তারেক জুয়ায়েদের নেতৃত্বে বেলা তিনটায় লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। হাফিজার গলার বামপাশে গভীর ক্ষতচিহ্নসহ বাম হাতের কবজিতে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, বেলা ১১টার দিকে হাফিজার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কবিরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। বিকালে কবিরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

‘রমজানে পণ্যের সংকট হবে না’

ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে অনেক ধরনের গুজব ছিল, সেসব মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ভালো একটি সরকার আমরা পেয়েছি। নির্বাচন শেষে সবাই আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে দেশে কোনও পণ্য সংকট হবে না।’

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দিরাই উপজেলার পুরোনো নগদিপুর বাজার মাঠে সালমান এফ রহমানকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার বাসিন্দা ও লন্ডনপ্রবাসী সমাজসেবক জিল্লুর হোসেন এমবিই এ আয়োজন করেন।

সালমান রহমান বলেন, ‘এখন আমাদের দায়িত্ব দেশের ভালো অর্থনৈতিক অবস্থাটা ধরে রাখা। করোনা এবং ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধের কারণে যে চ্যালেঞ্জগুলো এসেছে, সেগুলো মোকাবিলা করা। সে জন্য কিছু সংস্কার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে দেশে কোনো পণ্য সংকট যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভারত আমাদের পণ্য দিয়ে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তবে দিরাই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতার কথা জেনে খুবই অবাক হলাম। উপজেলার সব রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ পল স্টুয়ার্ট ক্রলি, এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম, আরআর গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. সুমন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল প্রমুখ।

;

মোংলা বন্দরে ইনারবার ড্রেজিং বন্ধ : হুমকির মুখে নৌ চ্যানেল

ছবি : সংগৃহীত

বালু রাখার জায়গা নিয়ে জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের নৌ চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন করে জায়গা না পাওয়ায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে নিয়মিত বন্দরের নৌ চ্যানেল ড্রেজিং করা না হলে দেশি-বিদেশি বড় জাহাজ প্রবেশে বাধা সৃষ্টির আশংকা করছেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা।

বিষয়টি স্বীকার করছে বন্দর কর্তৃপক্ষও। তারা বলছে, ড্রেজিংয়ের বালু বা পলি মাটি রাখতে নতুন জায়গা পেতে সময় লাগলেও আপাতত পুরোনো জায়গায় মাটি ফেলে সংকট দূর করা হবে। বিষয়টি খুবই গুরত্ব সহকারে দেখছে তারা।

এদিকে পুরোনো জায়গা মোংলার জয়মনি এলাকায় বালু ফেলার নীতিগত সিন্ধান্ত নেওয়া হলেও তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় ড্রেজিং প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে গেছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া নাব্যতা সংকটের কারণে বন্দর জেটিতে আসতে পারছেনা ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরের পশুর নদের (নৌ চ্যানেল) হাড়বাড়িয়া এলাকা থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত এলাকার নাম ‘ইনার বার’। ইনার বারের ২৩ দশমিক চার কিলোমিটার এলাকায় ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের উদ্ধোধন করা হয় ২০২১ সালের ১৩ মার্চ। ওই বছরের ১০ এপ্রিল ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। সে সময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৭৯৩ কোটি টাকা।

ড্রেজিং করা বালু বা পলি মাটি ফেলার জন্য মোংলা উপজেলায় ৭০০ একর জমি ও খুলনার দাকোপ উপজেলায় বানিশান্তা এলাকায় ৩০০ একর জমি হুকুম দখল করা হয়। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার জমিতে বালু ফেলা হয়।

কিন্তু পশুর নদীর পশ্চিম পাশে খুলনার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তায় তিন ফসলি জমিতে বালু ফেলা ঠেকাতে আন্দোলন করেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। তাদের আপত্তির মুখে সেখানে বালু ও মাটি ফেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই বছর ধরে ড্রেজিং বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের শানবান্ধা মৌজায় ২৬২ একর জমিতে বালু ফেলানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হলে সেখান থেকে ভূমি মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০২২ সালের জুন মাসে। এ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৪ শতাংশ।

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে ৯৯২ কোটি টাকায়, যা গত বছরের ৪ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক্স) শেখ শওকত আলী বলেন, ‘ইনার বারের গভীরতা সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় মিটার। ড্রেজিং করে সাড়ে আট মিটার করার কথা। ড্রেজিং করা স্থানগুলো থেকে যে পরিমাণ পলি অপসারণ করা হয়েছিল, গত প্রায় দুই বছরে তার ৭০ ভাগ পলি আবার জমা হয়েছে। এ অবস্থা ড্রেজিং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ড্রেজিং কাজ বন্ধ থাকায় এতদিনে পলি পড়ে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ড্রেজারের তেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে।’

বালু ফেলা জায়গা সংকটের বিয়য়ে তিনি বলেন, নতুন করে কোন জায়গা না মেলায় পুরোনো জায়গা জয়মনি এলাকায় আপাতত বালু ফেলা হবে। এই কার্যক্রম আগামী সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দরে ইনার বারে প্রায় দুই বছর ড্রেজিং বন্ধ থাকার বিষয়ে উদ্ধেগ জানিয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এ্যাশোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মোংলা বন্দরের সবচেয়ে বড় সমস্য নাব্যতা সংকট। বন্দর সচল রাখতে হলে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের বিকল্প নাই। ড্রেজিং স্থায়ীভাবে বন্ধ হলে বড় কন্টেইনার জাহাজ আসতে পারবেনা। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আসা কয়লাবাহী বড় জাহাজ আসাও বন্ধ হয়ে যাবে। বন্দর ঘিরে রেললাইনসহ বড় মেগা প্রকল্প কোন কাজেই আসবেনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘রেলের মালামাল আসে কন্টেইনারবাহী জাহাজে করে। ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সেই কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসতে পারবেনা। তাই দ্রুত ইনার বারে ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন করা প্রয়োজন।’

;

গুলি করে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ১ রোহিঙ্গাকে হত্যা

ছবি : সংগৃহীত

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক রোহিঙ্গাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে গুলি করে এবং পরে তার হাত পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাকে হত্যা করা হয়। ওই রোহিঙ্গার নাম মোহাম্মদ ইয়াছিন।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াছিন ওই ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ১৫ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) নেতা মৌলভী মঞ্জুরের আধিপত্য থাকার কারণে আরসা ওই ক্যাম্পে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। মঞ্জুরের ওপর ক্ষোভ মেটাতেই আরসা তার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

ঘটনাটি নিশ্চিত করে এপিবিএন-৮ এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর জানান, একদল অস্ত্রধারী হামলা চালিয়ে ওই যুবককে হত্যা করে। তবে কারা হামলা চালিয়েছে সেই বিষয়ে এপিবিএন এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।

স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে ইয়াছিনের বাসার সামনে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। এ সময় অস্ত্রধারীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। পরে অস্ত্রধারীরা ধারালো দা দিয়ে প্রথমে তার হাত কেটে নেয়, এরপর হাটুর উপর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে একটি পা। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর চলে যায় অস্ত্রধারীরা।

এই ঘটনায় পুরো ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

;

সবার সঙ্গেই সরকারের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের সরকার বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ সব দেশের সাথেই আমাদের চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ সমন্বয়কের সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতকালে চীন ও নেপাল উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে তুলে দেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাক্ষাত নিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। চীন থেকে আমরা বেশি আমদানি করি, কম রপ্তানি করি। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির আলোচনায় চীন বাংলাদেশ থেকে পাট, চামড়া, মাংস, সী-ফুড, মাছ এবং আম আমদানিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। জুলাই বা আগস্ট মাসে আমরা আম রপ্তানি শুরু করতে পারি। চীন একটি বড় বাজার।’

তিনি আরও বলেন, সেখানে আমাদের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমাদের জনগণও তাদের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন কক্সবাজারে স্থানীয়রাই সংখ্যালঘু, রোহিঙ্গা বেশি। নিরাপত্তা, মাদকসহ নানা সমস্যা সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। চীন এ বিষয়ে কাজ করছে এবং প্রত্যাবাসন যাতে শুরু হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে একমত হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বৈরী পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ‘চীন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সুবিধাজনক সময়ে সেটি হওয়ার জন্য আলোচনা চলছে।’

জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর গুয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব তার চিঠিতে ও আমার সঙ্গে কাম্পালায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুণনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বিশ্বনেতাদের কাছেও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। কিন্তু এর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে বিবৃতি দেয়, মাঝেমাঝে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এটি নিয়ে আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল উৎস থেকে তারা যে সংবাদ পায়, সেটি যেন না হয়। আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত মানুষকে দগ্ধ করা, ২৮ অক্টোবরের ঘটনাপ্রবাহ সেগুলো যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টে আসেনি, সেটি আমি তাকে জানিয়েছি। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর সেদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি বেশি নিবদ্ধ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তুর্জাতিক সহায়তাও অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমি বলেছি, রোহিঙ্গা ইস্যু যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্পটলাইটে থাকে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন, এটি নিয়ে জেনেভায় আন্তুর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে এবং এ নিয়ে বৈঠক আসন্ন।’

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সঙ্গে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, যাতায়াত বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উত্তরের সীমান্ত থেকে নেপাল মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে। ১ লাখ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতার সম্ভাবনার দেশ নেপালের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আমাদের বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি হয়েছে, এর ট্যারিফ নিয়ে আলোচনা চলছে।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *