সারাদেশ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৭ নেতা কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৭ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৭ নেতা কারাগারে

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে তারা জামিন আবেদন করলে বিচারকরা জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জামিন না পাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা আবদুস সাত্তার, চকবাজার থানা যুবদল নেতা সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, শহিদুল করিম শহিদ, বাকলিয়া থানা যুবদল নেতা মোহাম্মদ শফিক ও ১৯ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদল নেতা আলী আজগর।

এদিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ।

নগর যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ সাগির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুবদল নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা, বানোয়াট, গায়েবি মামলায় গণগ্রেফতার, হয়রানির পাশাপাশি এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত গণহারে জামিন নামঞ্জুর করে মৌলিক অধিকার হরণ করছে। ডামি ও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জনগণের ওপর ভয়াবহ জুলুম-নির্যাতন ও দুঃশাসন অব্যাহত রেখেছে।

‘সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি দুর্বল নয়। এই দলটি বিপুল জনসমর্থিত একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতাকর্মীদের ওপর যতই দমনের স্টিম রোলার চালানো হোক না কেন, চলমান গণ-আন্দোলনের ঢেউকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। তীব্রতর আন্দোলনের মাধ্যমেই ডামি সরকারকে নতুন নির্বাচনে বাধ্য করা হবে।’

তারা অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৭ নেতৃবৃন্দসহ দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

নীতিমালা ছাড়া ‘মৃত্যুদণ্ড’ সংবিধানের সাংঘর্ষিক নয় কেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নীতিমালা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ইশরাত হাসান নিজেই। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড অন্য শাস্তি থেকে আলাদা। তাই কখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে সে বিষয়ে নীতিমালা থাকা দরকার, যাতে আইনে আছে বলে চাইলেই কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না যায়।’

পরে ইশরাত হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭,২৭, ৩১,৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমনকি বাংলাদেশ একাধিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে, যেখানে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের ১১২টি দেশ এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। এসব যুক্তিতেই রিটটি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর শাস্তিসংক্রান্ত ৫৩ ধারায় বলা হয়েছে, প্রথমত শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যু’। আর ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৩৬৮ (১) ধারায় মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কারও মৃত্যুদণ্ড হলে তাঁকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

;

নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আইনজীবীদের কালো পতাকা মিছিল

ছবি: বার্তা ২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপিপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ কালো পতাকা মিছিল-সমাবেশ করেন তারা। এর আগে দুপুর ১টা হতেই সমিতির সামনে এসে জড়ো হন আইনজীবীরা।

মিছিলটি আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে শুরু হয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গন ঘুরে ফের একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা কালো পতাকা ও বিভিন্ন শ্লোগান লেখা ব্যানার বহন করছিলেন।

মিছিল ও সমাবেশের নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। শতাধিক আইনজীবী এ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছে। তারা এ সরকার মানেন না। দেশে দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম করার চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।

;

বিএনপি নেতা স্বপন আরও ৫ মামলায় গ্রেফতার, জামিন শুনানি বিকেলে

ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার পৃথক পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্বপনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নাশকতার ৫ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নাশকতার এই পাঁচ মামলার জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রাজধানীর পল্টন থানার তিন মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা থানার দুই মামলায় স্বপনকে গ্রেফতার দেখানো হয়৷ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য আদেশ দেন।

গত ৯ নভেম্বর ৬ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বছরের ২ নভেম্বর দিবাগত রাত গুলশানের বাসা থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।

;

শীর্ষ সন্ত্রাসী-জঙ্গি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি নয়: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ আসামি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ মার্চ রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নাজমুল মৃধার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটকারী ছাত্রদল নেতার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর কারাবন্দী যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমান অসুস্থ হলে তাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনেন বিএনপির আইনজীবীরা। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনা হয়।

এ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে পড়ে শোনান সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সেদিন এ বিষয়ে আবেদন আকারে আসতে বলেছিলেন আদালত। ওই সময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *