আন্তর্জাতিক

অভিজ্ঞতা অর্জনে বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন চাকরি

ডেস্ক রিপোর্ট: ২৮ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ শুরু হয়েছে গত ২১ জানুয়ারি। প্রতি বছরের মতো এবারো মেলায় খণ্ডকালীন বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল গুলো ঘুরে দেখা যায় বাহারী পোশাকে নিজেদের দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এসব বিক্রয়কর্মীরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেদের হাত খরচসহ অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে কর্পোরেট দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করাই মূল লক্ষ্য এসব শিক্ষার্থীদের।

মঙ্গলবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি ) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিসিসিএফইসি) পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলা ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের জন্য সেলস এক্সিকিউটিভ, ব্যান্ড প্রমোটর বা বিক্রয়কর্মী পদে সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা।

যোগ্যতাভেদে এসব প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পাস বা স্নাতক পাস হলেই মিলছে খণ্ডকালীন চাকরি। বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হলে সহজেই ২০-৩০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক মিলে যায় এসব প্রতিষ্ঠানে। তবে যদি আগে কোনো প্রতিষ্ঠান, শোরুম, মেলায় বা কোনো ইভেন্টের কাজে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং বেতনও ভালো পাওয়া যায়। মেলা শেষে আবার অনেকের পারমানেন্ট চাকরিও মিলে যায়।

কে ওয়াই টোনের ব্র‍্যান্ড প্রোমোটর হিসেবে কাজ করছেন সাবরিনা হোসেন সাদিয়া। সাবরিনা ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি স্থান এখানে পড়াশোনা করে আসলে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেওয়া প্রায় অসম্ভব। এই কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজকে বেছে নিয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আমাদের বাস্তবভিত্তিক কাজ শেখার অপরচুনিটি খুবই কম। এখানে কাজের মাধ্যমে আমার অনেকের সাথে পরিচয় হচ্ছে। এখানে আর্কিটেক্ট আছে, ইঞ্জিনিয়ার আছে, মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট আছে। যাদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি। যা আমাদের পড়াশোনার কাজেও লাগছে। এখান থেকে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারছি। এই অভিজ্ঞতা আমার ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে কাজে লাগবে।

মেলা থেকে তার আয় সম্পর্কে জানতে চাইলে অনেকটা হেসে বলেন, আসলে সাধারণত মেলায় যারা কাজ করছে তারা প্রতিষ্ঠানভেদে মাসিক ১৫হাজার থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারছে। এক কথায় বলা যায়। একজন স্টুডেন্ট এর চলার জন্যে যে খরচ দরকার তা মোটামুটি চলে আসে।

মেলায় ইগলু আইসক্রিমের প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৩০জনের অধিক ব্র‍্যান্ড প্রোমোটর দাঁড়িয়ে। এদের মধ্যে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের ছাত্রী হীরামনি জানান, মেলা উপলক্ষে এক মাসের এই খণ্ডকালীন কাজে এবারই প্রথম অভিজ্ঞতা তার। প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাসা থেকে গাড়িতে করে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। আর মাস শেষে এখানে পজিশন ভেদে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন। সকাল দশটা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত কাজ করা হয় সাধারণ। তবে শুক্রবার ও শনিবার মেলায় দর্শনার্থী বেশি হওয়ার কারণে দুইদিন রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। তবে এখানের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে চাকরি জীবনে অনেক কাজে দিবে বলেও তার প্রত্যাশা।

 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *