সারাদেশ

হাব নির্বাচনে তসলিমের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ফোরাম জয়ী

ডেস্ক রিপোর্ট: হাব নির্বাচনে তসলিমের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ফোরাম জয়ী

ছবি: সংগৃহীত

হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি এম.শাহাদাত হোসাইন তসলিমের নেতৃত্বের “হাব সম্মিলিত ফোরাম” পূর্ন প্যানেল ভূমিধস বিজয় লাভ করেছে। হাব নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

হাব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের ২৭টি পদে “হাব সম্মিলিত ফোরাম” এর সকল প্রার্থীগন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ঢাকা আঞ্চলিক পরিষদের ১৩টি ও চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ৭টি পদেও “হাব সম্মিলিত ফোরাম” এর প্রার্থীগন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে। এর আগে সিলেট আঞ্চলিক পরিষদের ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।

শনিবার (২ মার্চ) হাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতু্ন্নেসা মুজিব কনভেনশনে। অন্যদিকে সিলেট ও চট্রগ্রামে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন করা হয়।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসাবে ছিলেন বানিজ্যমন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক (বানিজ্য সংগঠন) ড. জিনাত রেহান, উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, এম এম মোস্তফা জামাল চৌধুরী, মোহাম্মদ মশিউর রহমান।

উৎসবমূখর, স্বচ্ছ ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। দুটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এম.শাহাদাত হোসাইন তসলিম এর নেতৃত্বে “ হাব সম্মিলিত ফোরাম” ও জামাল উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে “ হাব গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ”।

এম.শাহাদাত হোসাইন তসলিম এর প্রাপ্ত ভোট ৪০৪ অপরদিকে জামাল উদ্দিন আহমদ ২২৭ ভোট প্রাপ্ত হন। এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম ১৭৭ ভোট বেশী পেয়ে নির্বাচিত হন। পরাজিত প্রার্থী জনাব জামাল উদ্দিন আহমদ বিজিত প্রার্থী এম.শাহাদাত হোসাইনকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

গৌরীপুরে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত সাত

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পৃথক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে আহতদের সাতজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- গৌরীপুর পৌর শহরের সতিষা মহল্লার ফাতেমা খাতুন (১০), জিনিয়া (৫), পশ্চিম দাপুনিয়া মহল্লার রাফি (৫), রুনা আক্তার (৩০)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মৌফিয়া মজুমদার পূজা জানান, ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালে আসা চারজন একই কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে। এর মধ্যে ফাতেমা ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

;

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের ছাড় নয়: ডিএমপি

উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন।

শনিবার (২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো সনাক্ত হয়নি। সিআইডি এ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে যাদের স্বজনরা মরদেহের সন্ধানে আসবে তাদের ডিএনএ’র সাথে ম্যাচ করিয়ে মরদেহগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসে সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা শুক্রবার (১ মার্চ) চারজনকে আটক করেছি, তারা এখন রমনা থানায় রয়েছে। এই অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করতেছে সব বিষয় আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। এরপর যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যারা আটক আছে তাদেরকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে। 

ফারুক হোসেন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপাল্টন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন।

দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, এ সকল ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশের কাজ হচ্ছে তদন্ত করে দেখা এ ঘটনার পেছনে কাদের দায় আছে বা কারা দায়ভার বহন করবে। সেই বিষয়টা তদন্ত করে খুঁজে বের করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।

;

যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ জনকে গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, শুক্রবার রাতে একদল আপরাধী শহরের রায়পাড়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম সেখানে অভিযান চালায়।

এসময় যশোর রেলস্টেশনের অদূরে একটি দোকানের পেছন থেকে আটক করা হয়, শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার কপিল চন্দ্র সাহা রিপন (২৯), মুন্না ইসলাম সাগর (২১), আমিন (৪৪), বেজপাড়া এলাকার ইমন মোল্লা (১৯), শংকরপুর এলাকার অয়ন (১৯), মুড়লী এলাকার হাসিবুর রহমান রাতুল (১৯), কাজীপাড়ার রাফিদুল ইসলাম রোহান (১৯), শার্শার শিকারপুর গ্রামের নয়ন শেখ (১৯) ও ঝিকরগাছার উজ্জলপুর গ্রামের নয়ন শেখকে (১৯)। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়।

ওসি রুপন কুমার সরকার আরো জানান, আটকের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ০৩টি বার্মিজ টিপ চাকু, ০৪টি গাছি দা, ০১টি চাপট, ০১টি রাম দা, ০১টি সাবল, ০১টি সেলাই রেঞ্জ জব্দ করা হয়। শনিবার এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নুর ইসলাম বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

;

একুশে বইমেলার সমাপনী দিনে পুরষ্কার পেলেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছরের মতোই এবারও বইমেলার শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিগত বছর ও বর্তমান বছরের বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রকাশক ও লেখকদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

শনিবার (২ মার্চ) অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরষ্কার প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয় বাংলা একাডেমির পক্ষ হতে।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ-কে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ। শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাতিহাস বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস-কে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্গি-কে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হয়।

এ ছাড়াও, ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট) এবং বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *