সারাদেশ

গলায় রড ঢুকে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট: গলায় রড ঢুকে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক সংস্কারে ব্যবহৃত লোহার রড গলায় ঢুকে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম লোহাগাড়ার পুটিবিলা ওয়াজ উদ্দীন সিকদার পাড়া এলাকার আবু সৈয়দের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা গোচরা বাজার এলাকায় বসবাস করতেন। চালাতেন একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান।

রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, বন্ধুদের নিয়ে পোমরা হাজীপাড়া এলাকার ওরশে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে দুই বন্ধুসহ বার আউলিয়ার ঢালা এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কটি সংস্কারের জন্য বাঁশ ও লোহার এঙ্গেল দিয়ে দুইদিক থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। দ্রুতগতির মোটরসাইকেল সেখানে গিয়ে পড়লে লোহার রড তার গলায় ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে, অন্যরা প্রাণে বেঁচে গেছে।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সদস্যরা জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতার চেতনা টিকিয়ে রেখেছে: আইজিপি

ছবি: বার্তা২৪

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ২০১৩-১৪ সালে এদেশের উন্নয়নের গতিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র চেষ্টা করেছিল। দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার একটি চক্রান্ত শুরু করেছিল। এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে টিকিয়ে রেখেছেন।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় অঙ্গীকারবদ্ধ। সম্প্রতি, মারামারির ঘটনায় পুলিশ দক্ষতা ও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অসংখ্য প্রশংসা অর্জন করেছে।

কারাগারে রাজবন্দি নেই, আছে বিএনপির অ্যাকটিভিস্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি বলেন, অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনী এখন কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম। এই পুলিশ বাহিনী দেশের মানুষের আস্থার ঠিকানা। তারা যে কোনো ধরনের অপরাধ দমনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। দিন দিন অপরাধের ধরন পরিবর্তনের কারণে নিত্যনতুন অপরাধের সংযোজন ঘটছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

;

প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র সীমান্তে ব্যবহার করছি: বিএসএফ ডিজি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্তে অস্ত্রনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়ে জানিয়ে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়াল বলেছেন, প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র বিএসএফ ব্যবহার করছে। সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষদিন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় অপরাধী চক্র বেশ সক্রিয়। তারা দায়িত্বরত বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যদের ওপরও হামলা চালায়। তাই কখনো কখনো দুই পক্ষকেই আত্মরক্ষায় গুলি চালায়।

গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত হত্যা আবারও বাড়ছে। এমকি নিহত বাংলাদেশির মুখে, বুকে ও শরীরের উপরিভাগে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএসএফ ডিজি বলেন, আপনি বললেন মুখ-মণ্ডল, বুকে ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত থাকে, এটাই কম দূরত্বে এসে হামলা প্রমাণ করে। অপরাধী চক্র দা নিয়ে সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলা চালায়। এজন্য খুব কাছে চলে আসতে হয়; যখন একজন মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে, কেউ দা নিয়ে হামলা করছে, গুলি চালানোর তখন তিনি হাত-পা, শরীরের অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনোযোগ দিতে পারে না।

তবে হ্যা কাছাকাছি চলে আসার কারণে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। খুব কাছ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে অনেক সময় মৃত্যু হতে পারে।

গত ২২ জানুয়ারি যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মো. রইশুদ্দীনের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয় বলে দাবি করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

রইশুদ্দীনের মৃত্যু নিয়ে বিএসএফ ডিজি শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রইশুদ্দীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশকে আমরা জানিয়েছি। ওই দিন আসলে কী ঘটেছিল, আমি আর এ বিষয়ে ব্যাখ্যায় যাবো না।

বিএসএফ ডিজি বলেন, এটা টার্গেট কিলিং নয়। ওই সময় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় উভয় দিক থেকে বিজিবি ও বিএসএফ দ্বিধা সংশয়ে ছিল। তবে রইশুদ্দীনসহ সব সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ক্লোজ মনিটরিং করছি।

;

‘ভবিষ্যতে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে’

ছবি: বার্তা ২৪

সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীক্ষমতার উন্নয়নে নানাবিধ কাজ করে গেছেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন প্রণয়ন করছিলেন। এখন বর্তমানে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৫০টি, ভবিষ্যতে এটির সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। 

শনিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

টুকু বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। এতে করে ছেলে-মেয়ে উভয়ই শিক্ষিত হয়ে উঠবে। বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ জাতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর পরে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় এসেছেন, তখন তিনি একেবারে ইউনিয়ন লেভেল পর্যন্ত নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নেতৃত্ব প্রদানের কাজ করেছেন। শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে গিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা যখন তৎপর হয়ে ওঠে, তখন সরকারের জন্য তা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই চ্যালেঞ্জ শুধু সরকারকেই নয়, অভিভাবকদেরও তা মোকাবিলা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় সভায় হুইপ সানজিদা খানম, ইউএন রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইস, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী আটক 

ছবি: বার্তা ২৪

সাতক্ষীরার দেবহাটায় সাইমা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী তানজিন ইসলাম (২৪) কে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার ও তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতার তানজিন ইসলাম দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে। এছাড়া নিহত সাইমা খাতুনের বাবার বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়ার মৌখালি গ্রামে।

জানা গেছে, শ্বশুর আব্দুস সবুর পরিচালিত পারুলিয়া জামিয়া ইসলামিয়া ফয়জুল উলুম মহিলা মাদরাসায় পড়াশুনাকালীন ৬-৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে সাইমা ও তানজিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরও সাইমা খাতুন পড়াশুনা অব্যাহত রেখেছিলেন। তিনি মাত্র ৮ মাসে কোরআন শরীফ মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হয়েছিলেন বলে দাবি স্বজনদের।

সাইমার মা রাবেয়া খাতুন জানান, রাত ১২টার দিকে মেয়ে সাইমা খাতুন গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে তানজিনের বাবা আব্দুস সবুর তাদেরকে ফোন করেন। ঘণ্টাখানেক পর তারা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে সাইমা খাতুনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে সাইমার মৃত্যু হয়েছে বলে সেসময় তাদেরকে জানান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জামাতা তানজিন তার মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে জানতে পারেন তারা। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে রাত দেড়টার দিকে দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইমার মরদেহ উদ্ধারসহ তার স্বামী তানজিনকে আটক করে। পাশাপাশি ওই রাতে সাইমা ও তানজিনের বাড়িতে অবস্থানরত জিন-ভুতের ঝাড়-ফুক করা আব্দুস সেলিম নামের এক গুণিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।

সাইমার শ্বশুর আব্দুস সবুর জানান, জিনের আছর থাকায় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিলেন তার ছেলে তানজিন ইসলাম। মাসে দু-এক বার উন্মাদ হয়ে উঠতো সে। তখন গুণিন দিয়ে ঝাড়-ফুক করলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যেত তানজিন। শুক্রবার দুপুরে তানজিন আবারও উন্মাদ হয়ে উঠলে ঝাড়-ফুকের জন্য আশাশুনি থেকে গুণিন আব্দুস সেলিমকে বাড়িতে ডাকেন তিনি। স্বাভাবিক হওয়ার পর রাতের খাবার খেলে ছেলে তানজিন ও পুত্রবধূ সাইমা একত্রে ঘুমাতে গিয়েছিল। আর গুণিন আব্দুস সালামকেও রাতে ওই বাড়িতে রাখা হয়েছিল। রাত ১২টার দিকে ছেলে তানজিনের ডাকে ঘুম থেকে উঠে পুত্রবধূ সাইমাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে পুত্রবধূ সাইমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বেয়াইয়ের বাড়িতে ফোন করেন।

দেবহাটা থানার ওসি সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সাইমা খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তানজিন। সাইমার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সাইমার মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *