সারাদেশ

তালতলীতে খুটা জাল দিয়ে মাছ শিকারের দাবিতে জেলেদের মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট: তালতলীতে খুটা জাল দিয়ে মাছ শিকারের দাবিতে জেলেদের মানববন্ধন

ছবি: বার্তা২৪.কম

বরগুনার তালতলীতে পায়রা নদীতে গত ৫০ বছর যাবত খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে জেলেরা। তবে কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সেই খুটা-জাল উচ্ছেদ করে দেওয়াতে বিপাকে পড়েছে জেলেরা। এই খুটা-জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলেরা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে বগীরহাট বাজারের পায়রা নদীর পাড়ে জেলেরা মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে এ মানববন্ধন করেন জেলেরা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঐ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫০ বছর যাবত এই পায়রা নদীতে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছেন জেলেরা। তবে কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা মৎস্য অফিস পায়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে খুটা-জাল উচ্ছেদ করে দেন। এতে কয়েক শত জেলেদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।

জেলেরা আরও বলেন, তালতলী উপজেলার সীমানায় এ অভিযান চালানো হলেও বরগুনা সদর উপজেলার সীমানায় খুটা-জাল দিয়ে ওখানকার জেলেরা মাছ শিকার করছেন। একই নদীতে দুই রকম নিয়ম চলতে পারে না। এটা মনগড়া সিদ্ধান্ত, যা সাধারণ জেলেদের পথে বসাবে। তাই মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ সবার আমাদের দাবি অবিলম্বে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকারের অনুমতি দিতে হবে।

জেলে বাদল বলেন, নদীতে এমন অভিযানে আমাদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের পড়নে কাপড় নেই, পেটে ভাত নেই। কিভাবে ছেলেদের লেখাপড়া করাবো সেই চিন্তায় আছি। আমাদের দাবি যাতে পায়রা নদীতে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পারি।

আরেক জেলে চুন্নু সিকদার বলেন, আমরা পড়াশুনা করি নাই, এই নদীতে মাছ শিকার করে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে হয়। আমার তিনটা কিস্তি আছে। কোনো সতর্কতা ছাড়াই নদীতে এমন অভিযানে নির্স্ব হয়ে গেছি। আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি কিস্তির জন্য। তিনি আরও বলেন, একই নদীতে দুই নিয়ম কিভাবে হয়। বরগুনা সদরের পাড়ের জেলেরা খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন আমরা কেন বঞ্চিত হতে যাবো। আমাদের দাবিও মানতে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বার্তা২৪.কমকে বলেন, খুটা-জাল সম্পূর্ণ অবৈধ। জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নদী উন্মুক্ত থাকবে। খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পারবে না। এই অবৈধ দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, অবৈধ খুটা-জাল উচ্ছেদ অভিযানে কোনো পূর্ব সর্তকতার দরকার নেই।

আড়ম্বর ছাড়া আন্তরিকতায় র‌্যাব-২

আড়ম্বর ছাড়া আন্তরিকতায় র‌্যাব-২

ব্যানার নেই, নেই ক্যামেরার আলোক ঝলকানি, আবার কোন আড়ম্বরও নেই। ধীরে গড়ছে চাকা, বয়োবৃদ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কাউকে দেখলেই থেমে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। বিরিয়ানির প্যাকেট ধরে দিয়েই আবার চাকা গড়তে শুরু করলো। ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডে ইফতার বিরতণে র‌্যাবের এমন আয়োজনে অনেকেই মুগ্ধতার কথা জানালেন। আসলে দান এমনই হওয়া উচিত। দাতা আর গ্রহীতা ছাড়া আর কারো বুঝে উঠবার আগেই ঘটনার পরিসমাপ্তি।

অনেকেই তো এমন ঘটা করে আয়োজন করেন, যেখানে বিশাল সামিয়ানা টেনে ত্রাণ কিংবা বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এমনও ঘটনার নজির রয়েছে বিতরণকৃত বস্ত্রের চেয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের খরচ বেশি। আবার মিডিয়াকে ডেকে ফলাও করে প্রচার। আবার কেউ কেউতো সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ দিয়ে নিজের মহত্ব জাহির করতে ব্যস্ত। সর্বত্রই যেনো অশুভ প্রতিযোগিতা বিরাজমান।

ইফতার বিতরণে তাদের বাছাই করার ধরণও অনুসরণযোগ্য। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ধানমন্ডি (৯/এ) মিনাবাজারের সামনে বেশ কয়েকজন ভিক্ষুক থেকে বেছে এক বৃদ্ধাকে ইশারা দিলেন থামার জন্য। বয়সের ভারে শরীর কুঁজো হয়ে গেছে, মুখের চামড়া গেছে কুচকে। তবুও পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে রাস্তায় বের হতে হয়েছে তাদের। 

র‌্যাবের হাতছানি দেখে বৃদ্ধা খানিকটা ভয় পেলেন বোধ হয়। কিছুটা ইতস্ত বোধ করছিলেন দাঁড়াতে, আশপাশের দোকানিরা তাকে অভয় দিলেন। বৃদ্ধা দাঁড়াতেই পিকআপ থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট হাতে নেমে এলেন নাজমুল হাসান নামের একজন কর্মকর্তা। বৃদ্ধার হাতে প্যাকেট তুলে দিয়েই সটান চলে যেতে ধরলেন। এবার তার পথ আগলে মিনিট দুয়েক আলাপ হলো।

তখন জানা গেলো র‌্যাব-২ এর অধিনাক মোঃ আনোয়ার হোসেন খান নির্দেশে তারা পথে পথে ঘুরে খাবার বিরতণ করছেন। তাদের এই কার্যক্রম চলে প্রতি শুক্রবার করে। পুরো রমজান মাস জুড়েই থাকছে তাদের এই আয়োজন। কথা বলার সময় পাশ দিয়ে একজন প্রতিবন্ধী শিশু যাচ্ছিলেন, র‌্যাব সদস্যদের দৃষ্টি এড়ালো না। তারা তাকে ডেকে আন্তরিকতার সঙ্গে খাবার তুলে দিলেন।

কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাড়িটি আবার গড়তে গড়তে ধানমন্ডি-২৭ দিকে চলে গেলো। কিন্ত ‍র‌্যাবের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলো আরও কয়েক মিনিট ধরে। প্রায় সকলেই বলতে থাকলেন দান করতে হলে এভাবেই করা উচিত। অন্তত র‌্যাবের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

;

গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৩ বছর বয়সে গোলাম আরিফ টিপুর ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধের এই প্রয়াত সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক, প্রাজ্ঞ আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপুর অবদান দেশের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।

;

১৪ লাখ টাকা চুক্তিতে পুলিশে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি, প্রতারক গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

সাতক্ষীরায় ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মো. এনামুল হক (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি শাখা।  এসময় তার কাছ থেকে একশ টাকার মূল্যের তিনটি নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও জনৈক মোঃ ইয়াছিন আলীর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর চাকুরী প্রক্রিয়ার অনলাইন অ্যাডমিট কার্ড জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন তৈলকুপি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার এনামুল হক খুলনার ফুলতলার দাউকোনা গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা শাখার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ এর নেতৃত্বে একটি দল পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করার সময় এনামুল হককে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে একশ টাকার মূল্যের তিনটি নন-জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও জনৈক মোঃ ইয়াছিন আলীর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর চাকুরী প্রক্রিয়ার অনলাইন অ্যাডমিট কার্ড জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতার এনামুল হক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সাক্ষী ফিরোজা বেগম এর ছেলে মোঃ ইয়াছিন আলীকে সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা পূর্বকভাবে ১৪ লাখ টাকা চুক্তি করে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও দুটি ব্যাংকের শূন্য চেকে স্বাক্ষর করে নেয়। এনামুল হক দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ইসলামী নীতি-নৈতিকতা ধারণ করে ভোক্তার অধিকার রক্ষার আহ্বান

ছবি: বার্তা২৪.কম

ইসলামী নীতি-নৈতিকতা ধারণ করে ভোক্তার অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, পণ্যের অবৈধ মজুতদারি থেকে বিরত থেকে সৎ উপায়ে ব্যবসা করার জন্য ইসলামি নীতি-নৈতিকতা ধারণ করতে হবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় ও কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিভাগীয় কমিশনার ভোক্তার চারটি অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি ভোক্তার চারটি মৌলিক অধিকার বিস্তৃত করে নীতি-নৈতিকতার দিক থেকে প্রত্যেককে সৎ হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ভেজাল ও অবৈধ মজুতদারি প্রতিরোধ, বাজার ব্যবস্থার সার্বিক তদারকির পাশাপাশি ভোক্তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা প্রত্যেককেই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, ওষুধের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধিকরণ, রোগীর পরীক্ষায় ডাক্তারের কমিশন, কোচিং বাণিজ্য, রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী ফেলে রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে খুব দ্রুত মনিটরিং করা হবে। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন ।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তা সমাধানের আশ^াস দেন। সভায় বক্তারা ভোক্তার বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলে ধরে আলোচনা করেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কল্যাণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকুসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। এর আগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি, ভোক্তার স্বার্থে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি।’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *