সারাদেশ

যশোরে আইডিয়ার বাজারে ৩৯০ টাকায় মিলছে গরুর মাংস! 

ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরে আইডিয়ার বাজারে ৩৯০ টাকায় মিলছে গরুর মাংস! 

ছবি: বার্তা ২৪

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৯০ টাকা দিয়ে ৫ শত পরিবারের মাঝে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিয়েছে যশোরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থা। মধ্যবিত্তের মাংসের বাজার শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ বাজারে প্রত্যেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত ক্রেতা গরুর মাংস কিনতে পেরেছেন ৩৯০ টাকা কেজি দরে। 

শনিবার (৬ এপ্রিল) শহরের খড়কী এলাকায় অবস্থিত আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার নিজস্ব কার্যালয় বসেছিল এই ভিন্নধর্মী বাজার।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাজারে ৭৫০ টাকা কেজি দরের মাংস আইডিয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ৩৯০ টাকায় বিক্রি করছে। অর্থাৎ জনপ্রতি ৩৬০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ৫০০ পরিবারের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়েছে এই সংগঠনটি।

এদিকে ৩৯০ টাকা দিয়ে গরুর মাংস কিনতে পেরে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।

শহরের খড়কি এলাকার জাহাঙ্গীর বলেন, একমাত্র ছেলের সংসারেই আমার এখন সময় কাটে। আগে গাড়ি মেরামতের কাজ করতাম। এখন কিছু করতে পারি না। ছেলে দিনমজুর, সেই আমারে দেখে শুনে রেখেছে।

তিনি বলেন, গরুর গোস্ত বহুদিন খায়নি। খাবো কি করে, দাম তো অনেক। ৬ মাস আগে ৫০০ গ্রাম গোস্ত কিনেছিল ছেলেডা, তখনই দুই তিন পিস খাইলাম। আজ আইডিয়াতে বাজার দামের চেয়ে অর্ধেক দাম দিয়ে এক কেজি কিনলাম। বাড়ির পাশে একজনের ফ্রিজ আছে; সেখানে রেখে ঈদের দিন খাবো।

আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সরকারি অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন বলেন, ঈদ মানে আনন্দের দিন, কিন্তু এই ঈদ তখনই সুখের হবে যখন আমরা মধ্যবিত্ত নিম্ন-মধ্যবিত্ত প্রতিবেশীর সাথে ভালো খাবার খেতে পারব। নিম্নবিত্তরা চাইতে পারে, উচ্চবিত্তরা কিনতে পারে কিন্তু মধ্যবিত্তরা তাদের অভাবকে সম্মানের কারণে দূর করতে পারে না। তাই আমরা নিজেরা স্বেচ্ছায় ঠকে যেয়ে এই কাজটি করার চেষ্টা করছি।

যুবককে পা কেটে খুন, হাত কাটা আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

যুবককে পা কেটে খুন

কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক যুবকের হাতের কবজি ও আরেকজনের পা কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পা কেটে নেওয়া যুবক ফজলে হাসান রিয়াদ (৩০) মারা যান।

এর আগে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

একই ঘটনায় মো. ছোটন (৩৫) নামের একজনের বাম হাতের কবজি কেটে নেওয়া হয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে বদরখালী জেটিঘাট স্টেশন থেকে মাতারবাড়ি পাড়া থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে টুটিয়াখালী পাড়ায় ফিরছিলেন ছোটন ও ফজলে হাসান রিয়াদ। টুটিয়াখালী পাড়ায় পৌঁছালে মসজিদের পাশের একটি দোকান থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে জিদানের হাঁটুতে গুলি লাগে। মোটরসাইকেল থামিয়ে কারা গুলি করেছে, তা দেখতে যান ছোটন ও রিয়াদ। এ সময় তাদের ওপর হামলা করে দুজনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে ছোটনের বাম হাতের কবজি ও রিয়াদের ডান পা কেটে মোটরসাইকেলের পাশে রেখে দিয়ে হামলাকারীরা চলে যান।

পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে রিয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত রিয়াদ বদরখালী ইউনিয়নের মগনামাপাড়ার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে এবং মো. ছোটন বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র ও পুলিশ বলছে, টুটিয়াখালী পাড়ায় দুটি বাহিনীর আধিপত্য আছে। তার মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ করেন মো. ছোটন। আরেকটি নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় নজরুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিসে খুন হন টুটিয়াখালী পাড়ার জয়নাল আবেদীন। সেই মামলার ১ নম্বর আসামি ছোটন। কয়েক দিন আগে ওই মামলায় জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হন ছোটন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রিয়াদ মারা গেছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আহত ছোটনের বাম হাতের বিচ্ছিন্ন কবজি জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দুটি পক্ষই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

;

নিঃসন্তান দম্পতির কোলে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতক

নিঃসন্তান দম্পতির কোলে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্রিজের নিচ থেকে কুঁড়িয়ে পাওয়া সেই নবজাতককে নিঃসন্তান দম্পতির কোলে তুলে দিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড। পুত্র সন্তানটির নাম রাখা হয়েছে ‘আবু সুফিয়ান’।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে একজন মসজিদের ইমামের পরামর্শে এই নাম রাখা হয়েছে বলে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন শিশুটির লালন-পালনের দায়িত্ব নেওয়া পরিবারটি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে এই দম্পতির কাছে নবজাতককে তুলে দেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড।

গত বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের অভিরামপুর এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের একটি ব্রিজের নিচ থেকে কাপড়ে মোড়ানো সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া ফুটফুটে এই নবজাতককে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে সকাল ১০ টার দিকে ওই শিশুকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে দুপুর ১ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

পরে ফুটফুটে এই নবজাতককে লালন-পালনের জন্য স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত একই এলাকার দুই ব্যক্তি সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে ‘নবজাতককে কাকে দেওয়া যাবে’ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পরদিন বৃহস্পতিবার উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের বৈঠক আহ্বান করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। পরে ওই দিন বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাখার বুরুজ ইউনিয়নের ছোট অভিরামপুর গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি সাদেকুজ্জামান সবুজ ও শিমা আক্তারের হাতে নবজাতকটিকে তুলে দেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া।

এসময় শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জুয়েলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ওইদিন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নবজাতকের জন্য ঈদের উপহার সামগ্রী দেন গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা-৪) আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ আবুুল কালাম আজাদ এমপি। এসময় শিশুটির যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় সহযোগিত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জুয়েল মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, কুড়িয়ে পাওয়া একদিনের নবজাতককে সাদেকুজ্জামান সবুজ ও শিমা দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, শিশুটি ভালো আছে।

এসময় তিনি বলেন, একই গ্রামের দুইজন শিশুটিকে লালন পালনের জন্য চেয়েছিলেন। পরে পুলিশি তদন্ত এবং শিশুটির সার্বিক সুরক্ষা বিবেচনায় সব প্রক্রিয়া শেষে স্বচ্ছল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে গোবিন্দগঞ্জ শিশু কল্যাণ বোর্ড। শিশুটির সার্বিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। আগামী ছয়মাস পর্যন্ত শিশুটিকে সপ্তাহে দুইদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনতে বলা হয়েছে।

শিশুটির দায়িত্ব নেওয়া সাদেকুজ্জামান সবুজ মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা ১৪ বছর নিঃসন্তান। শিশুটিকে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা আজ সকালেই ওর নাম রেখেছি আবু সুফিয়ান। আমরা অবু সুফিয়ানকে বড় আলেম বানানোর স্বপ্ন নিয়েই বড় করব। 

;

কেএনএফ নির্মূলে সরকার বদ্ধপরিকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। এদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কেএনএফের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র কেএনএফের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে। এদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্ঠা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্ঠা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে। এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এমভি আবদুল্লাহ’র আশেপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামূখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোন ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিল না।

একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলতেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হরর সিনেমা যখন দেখা হয় তখন দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তারাই তো দৈত্য। হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোন সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুদদার চেষ্টা করেছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য। এবং সেটির সাথে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখে সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোর হস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

;

কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে ঈদযাত্রা

ছবি: বার্তা২৪.কম

কাটফাটা রোদ উপেক্ষা করেই উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছুটে যাচ্ছেন ঘরমুখী মানুষ। দেশের উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার প্রবেশদ্বার গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় শনিবার (৬ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নাড়ির টানে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সকালে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও দুপুর গড়াতে বাড়তে থাকে চাপ। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই যাত্রীরা ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।

অহিদুল্লাহ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, গরমে কষ্ট হলেও দুদিন আগেই ছুটি নিয়ে আগে ভাগেই বাড়ি চলে যাচ্ছি।

হাবিবা খাতুন নামে এক যাত্রী বলেন, দুদিন পর এমন অবস্থা হবে যে বাড়ি যাওয়া আর যুদ্ধ করা একই কথা। তাই গরমে সন্তানদের নিয়ে আগে আগেই চলে যাচ্ছি। স্বামী কারখানা বন্ধ হলে চলে আসবে।

গাজীপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাজিউর রহমান জানান, চন্দ্রা এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ত্রিমুখী যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের সময় উত্তরের পথে চাপ বেশি থাকে। তাই পরিবহন ও যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *