খেলার খবর

উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান হলেন যারা

ডেস্ক রিপোর্ট: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ভোটগ্রহণ স্থগিত, আটকসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তবে দেশের কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। সারা দেশে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপের ৮৭ উপজেলায় প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এদিকে ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

৮৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা:

নীলফামারী: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নীলফামারী সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চন্দ্র চক্রবর্তী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪৬ ভোট।

ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান।

বগুড়া: তৃতীয় ধাপে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, সদর উপজেলার মোট ১৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের ফলাফলে শুভাশীষ পোদ্দার লিটন আনারস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৮৫ ভোট।

রাঙামাটি: তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রাঙামাটির লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লংগদু উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে চার হাজার ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন।

মোট ২৩টি ভোটকেন্দ্রে আনারস প্রতীকে বাবুল দাশ বাবু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮২৬ ভোট।

অন্যদিকে নানিয়ারচর উপজেলার ১৪টি ভোটকেন্দ্রের সবকয়টির ফলাফলে ৬ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের অমর জীবন চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জ্যোতিলাল চাকমা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬২ ভোট।

খাগড়াছড়ি: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলায় বিমল কান্তি চাকমা কাপ পিরিচ প্রতীক ১০ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংজরী চৌধুরী আনারস প্রীতিকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৫২ ভোট।

ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ।

ফরিদপুর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫০৮ ভোট।

অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাওসার ভুইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৩০ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে তৃতীয় ধাপের দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ডামুড্যা উপজেলা পরিষদে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন জেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ গোলন্দাজ। অন্যদিকে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা হেলিকপ্টার প্রতীকের মো. মোশাররফ সরদার।

শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রশিদ গোলন্দাজ ২৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. আলমগীর পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭১৫ ভোট। অন্যদিকে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশারফ হোসেন (হেলিকপ্টার) প্রতীক, ২০ হাজার ১৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন দুলাল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৫ ভোট।

নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৭৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সাংসদের স্ত্রী ফেরদৌসী ইসলাম। তিনি শিবপুর উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সহধর্মিণী।

টাঙ্গাইল: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তোফাজ্জল হোসেন তোফা, দেলদুয়ার উপজেলায় মাহমুদুল হাসান মারুফ ও নাগরপুর উপজেলায় কেএম সালমান শামস বিজয়ী হয়েছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন তোফা ৪২ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৮ ভোট। দেলদুয়ার উপজেলায় মাহমুদুল হাসান মারুফ ২৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিফোন প্রতীকে এম শিবলি সাদিক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৪ ভোট। নাগরপুর উপজেলায় কেএম সালমান শামস আনারস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুছ ছামাদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮১৭ ভোট।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মশিউর রহমান বাবু ও আমিনুল ইসলাম লাল্টু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে স্ব স্ব উপজেলা রিটার্নিং অফিস থেকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এস এম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।

এদিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টু ৪৭ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টু পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৪১ ভোট।

মানিকগঞ্জ: ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের সুদেব কুমার সাহা এবং সাটুরিয়া উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের মো: শাহজাহান আলী।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের সুদেব কুমার সাহা পেয়েছেন ৩৪ হাজার ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাপ পিরিচের মো: ইসরাফিল হোসেন পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট। এছাড়া এই উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের আব্দুল লতিফ তোতা। আর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের সুমি গাজী।

সাটুরিয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছে মো. শাহজাহান আলী। তিনি পেয়েছেন মোট ২২ হাজার ৮৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন লাল মিয়া কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬১ ভোট। পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান হয়েছেন মাইক প্রতীকের মো. সোহেল মল্লিক আর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রজাপতি প্রতীকের মুন্নী আক্তার।

যশোর: যশোরের অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় ভোট উৎসবে চেয়ারম্যান পদে সরদার অলিয়ার রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বুধবার এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নির্বাচনে অভয়নগরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ডা. সাফিয়া খানম এবং বাঘারপাড়ায়  ভাইস চেয়ারম্যান পদে এনায়েত হোসেন লিটন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোরের অভয়নগর উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সরদার অলিয়ার রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫০ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে রবিন অধিকারী ব্যাচা পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২১ ভোট। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমান অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী জিয়াউল করিম খান সাজু ও বাঞ্চারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মত মো. সিরাজুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৩৪ ভোট।

এদিকে জেলার বাঞ্ছারামপুরে তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম (ঘোড়া)। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ৮৩ হাজার ৮৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম তুষার (আনারস) পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।

নোয়াখালী: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে একেএম সামছুদ্দিন জেহান, মো. শাহেদ শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল।

সদর উপজেলায় একেএম সামছুদ্দিন জেহান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকে এম এইচ শওকত রেজা চৌধুরী আরমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪১৪ ভোট।

অন্যদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. শাহেদ শাহরিয়ার দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৯৩ ভোট। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নাটোর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আহম্মদ আলী ঘোড়া প্রতীকে ২০ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আতিয়ার রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯০৩ ভোট।

অন্যদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ২৪৭ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আনিছুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৩৪ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  মো. আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গাইবান্ধা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে রেজাউল করিম রেজা ও মোস্তফা মহসিন।

রেজাউল করিম রেজা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ২১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শাহ্ মো. ফজলুল হক রানা পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৯০ ভোট। অপরদিকে মোস্তফা মহসিন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ১১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খয়বর হোসেন সরকার হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯১৮ ভোট।

ফেনী: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনী সদর উপজেলায় দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৩ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৯ ভোট।

অন্যদিকে সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন হাজার ৮৬ হাজার ১৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মজিবুল হক মানিক পেয়েছেন ৭০৯ ভোট।

নির্বাচনে দাগনভূঞা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চতুর্থবারের মতো জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী বিজন ভৌমিক পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৬ ভোট।

দিনাজপুর: তীয় ধাপে দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইমদাদ সরকার। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩১৩ ভোট।

চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাবু সুনিল কুমার শাহা। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৯ ভোট।

খানসামা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুজ্জামান শাহ্। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩  হাজার ৯৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাকেশ গুহ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৭৮ ভোট।

নেত্রকোণা: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৩০ হাজর ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম খান সোহেল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মদন উপজেলায় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইফতেখারুল আলম চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৬৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কুদ্দুস আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৬৯ ভোট।

রাজশাহী: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোহনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের আফজাল হোসেন বকুল। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ-পিরিচ প্রতীকের আবদুল মোমিন শাহ পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট।

অপরদিকে, পবা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমদাদুল হক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৯৮ ভোট।

লালমনিরহাট: তৃতীয় ধাপে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কামরুজ্জামান সুজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ৪১ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে অ্যাড. ইকবাল হোসেন মামুন পেয়েছেন ৯ হাজার ৪০৭ ভোট।

রংপুর: রংপুরের গঙ্গাচড়া  উপজেলায় মোকারম হোসেন সুজন ঘোড়া প্রতীকে ২৯ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০৮ ভোট। 

অন্যদিকে, সদর উপজেলায় মো. ইকবাল হোসেন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ কাপ-পিরিচ মার্কায় পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৩৭ ভোট।

নওগাঁ:  রাণীনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সদস্য রাহিদ সরদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান কৈ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪৮ ভোট।

অন্যদিকে, আত্রাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবাদুর রহমান কৈ মাছ প্রতীকে ২১ হাজার ৪৭৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান পলাশ জোড়া ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭৮ ভোট।

ঠাকুরগাঁও: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে পীরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ১২ হাজার ৪৮৫ ভোটের ব্যবধানে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আখতারুল ইসলাম। তিনি ৬০ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজওয়ানুল হক বিপ্লব ঘোড়া প্রতীকে ভোটে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩১৫। এছাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সমবায়-বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য সুকুমার রায় আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪১৬ ভোট। 

সিলেট: তৃতীয় ধাপে সিলেটের তিনটি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে তিনটি উপজেলায় ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বালাগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া আনারস প্রতীক নিয়ে ২১ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোহাম্মদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোস্তাকুর রহমান মফুর। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ২৯৩ টি ভোট পেয়েছেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে আশফাকুল ইসলাম সাব্বির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে ১২ হাজার ১৯৭টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন কাপ পিরিচ প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭৭ভোট।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ১৯৩টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন শালিক পাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮হাজার ৫৬০ ভোট।

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল (তিনি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের আপন ছোট ভাই)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান (আনারস) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭১২।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *