সারাদেশ

বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে না: সুজন

ডেস্ক রিপোর্ট: বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে না: সুজন

বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে না: সুজন

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দল না থাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাই। নির্বাচন যে নির্বাসনে চলে গেছে এটা তারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশ, তার কোনো কিছুই উপজেলা নির্বাচনে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আমার মতে এ নির্বাচনটি হলো ভোটার নাই, বিরোধী দল নাই এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নাই। নির্বাচন যে নির্বাসনে চলে গেছে এটা তারই প্রতিফলন। এর মূল কারণ হলো আস্থাহীনতা। অতীতের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার ফলে মানুষ নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে শাহদীন মালিক বলেন, নির্বাচন শুধু নির্বাসনেই যায়নি, আমি বলব নির্বাচনই নাই। নির্বাচন অনুষ্ঠানের কিছু লোক দেখানো অনুশীলন হচ্ছে। ভোটের যে হার দেখানো হচ্ছে, মানুষ তাও বিশ্বাস করছে না। আমরা সামরিক শাসকের অনেক সমালোচনা করি, কিন্তু সামরিক শাসকরা যে স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গেছে, তা এখনো আঁকড়ে ধরে আছি। স্থানীয় সরকারের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা এখনো চালু রাখা হয়েছে। জমিদারি ব্যবস্থার প্রতি আমাদের যে বাসনা, নির্বাচনের মাধ্যমে সে বাসনাই চরিতার্থ করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।

সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলভিত্তিকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনেকটা নির্দলীয় অবয়ব পেয়েছে। কেননা ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। দলীয় কৌশলের কারণে দলটির নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। প্রশ্ন হলো কেন দলটি দলীয় প্রতীক ছাড়া এই নির্বাচন করছে? ধারণা করা হয় যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আগে থেকেই ভেবেছিলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ তাদের সমমনা দলগুলো এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না।

তিনি আরও বলেন, ভোট কম পড়ার হার থেকেই অধিক সংখ্যক প্রার্থী যেন নির্বাচনে অংশ নেয়; প্রার্থী বেশি থাকার কারণে ভোট যেন বেশি পড়ে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আগ্রহী নেতৃবৃন্দ যেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়, নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় বিভাজন যেন দৃষ্টিকটুভাবে দৃশ্যমান না হয় ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কৌশল নিয়েছে। বেশিরভাগ উপজেলাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেনের সভাপতিত্বে ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুজন কোষাধ্যক্ষ জনাব সৈয়দ আবু নাসে বখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ। লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজন-এর প্রধান কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জনাব দিলীপ কুমার সরকার।

সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া ইয়োহেই এর সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে জানান, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় রকমের সফলতা অর্জন করেছে। ১৯৯১ সালে প্রতি ১০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে কুষ্ঠ বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ যা সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বর্তমানে ০.১৮ তে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিরো কুষ্ঠ অর্জনে ইতোমধ্যে বিশদ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য যথা শিগগির সম্ভব কুষ্ঠ শনাক্তকরণ, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, কুষ্ঠ রোগীদের পুর্নবাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় এইজন্য কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মূলে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটা হাসপাতাল নির্মাণে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কুষ্ঠ রোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার নানান পর্যায়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে সেটাও অবহিত করেন।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকারসহ নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

শার্শায় ট্রাক চাপায় কলেজ শিক্ষকসহ নিহত ২

ছবি: বার্তা২৪.কম

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শার নাভারন ফরেস্ট অফিসের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক ও বিদেশি সংস্থার কর্মচারী দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ জুন) ভোরে তারা মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।

নিহতরা হলেন, শার্শা উপজেলার গাতিপাড়া গ্রামের সুলতান আহমদের ছেলে নাভারন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নাসির উদ্দিন (৬২) ও ঝিকরগাছার নাভারন কলোনির শ্যাম গাজীর ছেলে জাপান বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনে নৈশ প্রহরী আলী বক্স (৬৫)। নিহত দু’জনই নাভারন ফরেস্টার পাড়ায় বসবাস করতেন।

নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার বসু জানান, নাসির উদ্দিন ও আলী বক্স ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য রাস্তার পাস দিয়ে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এসময় যশোর থেকে বেনাপোলগামী পণ্য বোঝায় একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্যজন মারা যায়। চাপা দেওয়ার পর ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালক ও সহকারী পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে স্থানীয়দের দাবি সড়কে নিয়ন্ত্রণে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ভাল না থাকায় যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনায় পথচারীরা জীবন হারাচ্ছেন। এনিয়ে এক মাসে উপজেলাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন জীবন হারিয়েছে।

;

৭ দাবিতে ইজিবাইক চালকদের সমাবেশ

ছবি: সংগৃহীত

ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নীতিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ এবং তার আলোকে গাড়ির নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ ৭ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে চালকরা।

মঙ্গলবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এক সমাবেশে এ দাবি জানায় তারা। সমাবেশ শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপি প্রদানের করেন তারা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনারা জানেন রিকশা চালানো কত অমানবিক পরিশ্রমের কাজ। সাম্প্রতিক প্রচন্ড দাবদাহে যারা
মৃত্যুবরণের করেছেন তাদের অধিকাংশ রিকশাচালক। চালকদের এই পরিশ্রম লাঘব করা, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বিবেচনা করে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে রিকশায় ব্যাটারি স্থাপন করা হয়। এখন তার দুর্বলতা কাটিয়ে অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। ফলে দ্রুত এই যানবাহন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ চালক পরিবার এইসব ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার চালানোর উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। এইসব যানবাহন তৈরি, মেরামত, খুচরা যন্ত্রাংশ নির্মাণ, ব্যাটারি, পার্টস বিক্রিসহ নানা ধরনের কাজে আরোও প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের পর্যাপ্ত নগর পরিবহন না থাকায় কোটি কোটি মানুষ এ পরিবহন ব্যবহার করে। দেশে বিপুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ সেক্টরের সাথে যুক্ত মানুষেরা।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত প্রায় ১২ বছর যাবত নীতিমালা তৈরি করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে সংগ্রাম পরিষদ। কিন্তু এখনও নীতিমালা আলোর মুখ দেখেনি। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক বন্ধ ঘোষণা পর ঢাকা মহানগরে রিকশা চালকদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সরকার প্রধান রিকশায় চালকদের দাবি মানতে বাধ্য হন। কিন্তু তারপরেও ঢাকা মহানগরের বেশ কিছু এলাকায় কার্ড/টোকেন ব্যবসায়ীরা পুলিশের সাথে জোগসাজোশ করে রিকশা শ্রমিকদের উপর অবৈধ চাঁদাবাজি করছে।

নেতৃবৃন্দ এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। রিকশা শ্রমিকদের নামে ঢাকা, বরিশাল, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় রিকশা শ্রমিক ও সংগ্রাম পরিষদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের ও সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও গেজেট প্রকাশ ও তার আলোকে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিটসহ সংগ্রাম পরিষদ ঘোষিত ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য জনার্দন-দন্ড টুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সভাপতি ও স্কপের অন্যতম নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক সভাপতি শ্রমিক কর্মচারী অন্যতম নেতা ও সংগ্রাম পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন প্রমুখ।

;

জোর করে এক হাটের গরু অন্য হাটে নিলেই ছিনতাই মামলা

ডিএমপি সদর দফতর

আসন্ন ঈদুল আজহায় রাজধানীর এক পশুহাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। যদি কেউ জোর করে অন্য হাটে গরু নামিয়ে নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ছিনতাই মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরে হাট ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, যদি কেউ এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে গরু আনবেন ব্যবসায়ীরা তারা গাড়ির সামনে গরুর হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।

তিনি বলেন, ঢাকার ভেতরে গরুর হাটে যারা কাজ করবেন তাদের সমন্বয়টা ভালোভাবে হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তাদের মধ্যে যেন সমন্বয় থাকে। ঢাকার ১৯টি হাটের জন্য ১৯টি সমন্বয় সভা করতে হবে। থানার ওসি, ডিসি ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সমন্বয় করবেন।

তিনি বলেন, ১৯টি হাটের পৃথক পৃথকভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করতে হবে। প্রত্যেক গ্রুপে একজন করে পুলিশ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, হাট ইজারাদার প্রতিনিধি যুক্ত থাকবে। এতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন। হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে।

এসময় হাটে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাট ইজারাদারদের পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার। সব সময় হাটে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকারও আহবান জানান তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *