বিনোদন

কোভিডের জন্য পিছিয়ে পড়েছি, দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবো : দীপ

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢালিউডে নায়ক হিসেবে আভিষেক হচ্ছে ছোটপর্দার অভিনেতা দীপের। প্রশংসিত নির্মাতা রাশিদ পলাশের ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমাটি আসছে ঈদুল আযহায়। এই সিনেমা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন দীপ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ

‘ময়ূরাক্ষী’ দিয়ে আপনার অভিষেক হচ্ছে বড়পর্দায়। অনুভূতি কেমন?

যে কোন শিল্পীরই বড়পর্দায় নিজেকে দেখার স্বপ্ন থাকে। সেদিক থেকে আমি সৌভাগ্যবান যে একটি সিনেমার একক নায়ক হিসেবে বড়পর্দার যাত্রা শুরু হচ্ছে। তার চেয়ে আরও ভালো লাগছে যে একটি ভালো মানের ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে আমার অভিষেক হতে যাচ্ছে।

দীপ /  ছবি : নূর এ আলম

দিনশেষে সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন, সে কথা আমি আবারও প্রমাণ পেয়েছি। কেউ কেউ হয়তো জানেন, আমি একটি সরকারি অনুদানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, শুটিংও করেছিলাম কিছুদিন। হুট করেই আমাকে ছবিটি থেকে সরে যেতে বলা হয়। অথচ আমার কোন ভুল ছিল না। যাই হোক, সে সময় খুব খারাপ লেগেছিলো। পরে ছবিটি দেখার পর মনে হয়েছে মাল্টিকাস্টিং-এর ওই ছবিটিতে আমি যে চরিত্রটি করেছিলাম সেটি না করাই ভালো হয়েছে! এখন ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবিতে একক নায়ক হিসেবে যে চরিত্রটি করছি সেটি বরং আমার ক্যারিয়ারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্বাস করি।

দীপ /  ছবি : নূর এ আলম

আসলেই কি শোবিজ ক্যারিয়ারে ‘ভাগ্য’ বলে কোন বিষয় থাকে?

অবশ্যই থাকে। অনেকে অনেক মেধাবী হওয়ার পরও ঠিকঠাক সুযোগটি হয়তো পান না সহজে। আবার অনেকে মধ্যমমানের মেধাবী হয়েও সঠিক সুযোগ দ্রুত পেয়ে শোবিজে দ্রুত নিজের শক্ত অবস্থান করে নেন। আবার এর ব্যতিক্রম লোকও আছে, যেমন আমি। কোভিডের আগে আমি একে একে চার পাঁচটি বড় বাজেটের ভালো পরিচালকের ছবিতে সুযোগ পাই, আন্তর্জাতিক প্রকল্পও ছিল একাধিক। কিন্তু কোভিডে পুরো বিশ্ব যখন রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে গেল, আমার ভাগ্যও পরিবর্তন হয়ে গেলো! এক এক করে কাজগুলো হাতছাড়া হতে থাকলো। এজন্য আমি ক্যারিয়ারের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছি। এখন আবার চেষ্টা করছি, হয়তো শিগগিরই আবারও ভাগ্য পরিবর্তন হবে। কারণ আমি এটাও বিশ্বাস করি যে, কারও মধ্যে মেধা, সততা ও পরিশ্রম থাকলে সে একদিন না একদিন যোগ্য সম্মান পাবেই।

দীপ /  ছবি : নূর এ আলম

‘ময়ূরাক্ষী’ নিয়ে তাহলে আপনি অনেক আশাবাদী?

শুনতে ক্লিশে মনে হতে পারে, কিন্তু আসলেই আমি ছবিটি নিয়ে অনেক আশাবাদী। কারণ, ছবিটি সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। একথা বলারও কারণ আছে। আমি হয়তো ছবিটি করেছি, এই ছবির জন্য অনেক সময়, শ্রম, মেধা ব্যায় করেছি, ফলে আমার কাছে ভালো লাগতেই পারে। কিন্তু আমাদের ছবিটির রাফ কাট দেখেছেন এমনও কিছু লোক আছেন যারা সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ নন। তাদের এক এক জন আবার সামাজিক দিক থেকে আলাদা আলাদা অবস্থানে বিরাজ করেন। প্রত্যেকে বলেছেন, ছবিটি খুব সুন্দর। তার মানে এই ছবির দর্শক কোন নির্দিষ্ট শ্রেনী নয়।

দীপ /  ছবি : নূর এ আলম

‘ময়ূরাক্ষী’তে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

সিনেমার নির্মাতা রাশিদ পলাশ এর আগে ‘পদ্মাপূরাণ’ সিনেমাটির মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ফলে ‘ময়ূরাক্ষী’ করার সময় তিনি আরও অভিজ্ঞ হয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে এসেছেন। সেদিক থেকে এই ছবিটি নির্মাতার আরও ম্যাচিউর কাজ। আর আমার দিক থেকে বলতে গেলে, যে চরিত্রে কাজ করছি সেটিতে অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। ফলে অভিনয়ের অনেক জায়গা ছিল। নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে গড়ার একটি সুযোগ দিয়েছেন নির্মাতা। তাই কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভালো।

দীপ /  ছবি : নূর এ আলম

আপনার বিপরীতে আছেন প্রতিষ্ঠিত নায়িকা ববি। তার সঙ্গে কাজ করেছে কেমন লেগেছে?

শুটিং সেটে সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি ভীষণ পেশাদার। যে কাজটি তিনি করতে এসেছেন সেটি ভালো করার জন্য নিজের অভিজ্ঞতাকে দারুণভাবে কাজে লাগান। সহকর্মীর সঙ্গে একটা সহজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন কাজের প্রয়োজনে। এর বাইরে তিনি বেশ চুপচাপ একজন মানুষ। আমার সঙ্গে কার কোন খারাপ অভিজ্ঞতা নেই। এর বাইরে কি হয়েছে বা তিনি কেমন, সে বিষয়ে আমার কোন কথা থাকা উচিত নয়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *