সারাদেশ

ময়মনসিংহে মাদক-আগ্নেয়াস্ত্র-বিস্ফোরকসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে আনন্দের আপ্লুত সাহেরন বেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালমনিরহাট সফরের দাওয়াত দিতে গিয়ে বলেন, হামার এত্তি আইসেন মা, তোমরার দাওয়াত থাকিল। হামরা তোমাকে বুকে তুলে নিমো মা, আইসনের হামার এত্তি।

মঙ্গলবার(১১ জুন) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা মহিষামুড়ি আশ্রয়নের সুফলভোগীদের কথা শুনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুফলভোগি সাহেরন বেওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অন্যের জমিতে বসবাস করেই জীবন কেটেছে। এখন জমিসহ পাকা বাড়ি পেয়েছি। বাড়ির উঠানে শাক সবজি ফলমুলের গাছ লাগিয়েছি। হাঁস মুরগি পালন করছি। অনেক সুখে আছি এখন। ঘর পেয়ে আবেগের আপ্লুত হয়ে সহিরন বেওয়া প্রধানমন্ত্রীকে তার বাড়িতে দাওয়াত করেন সহিরন বেওয়া। এ সময় সহিরন বেওয়া ওষুধ খাওয়ার জন্য সহায়তা প্রার্থনা করলে তাৎক্ষনিক প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওষুধের ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও প্রদান করেন।

এরপর ওই সাহেরন বেওয়া পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে কিছু আয়াত পাঠ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোনাজাত শুরু করেন। এ সময় মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম।

এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘এটা কী? একজন মানুষ মোনাজাত করছেন, আর হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াট ইজ দিস।’

প্রধানমন্ত্রী গণভবনে তার সাথে থাকা কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আবারও বলেন, ‘এটা কী?, এটা কেমন কথা হলো? মোনাজাত করছে আর তাঁর হাতে থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নিল। হোয়াট ইজ দিস?’

এরপর ওই বৃদ্ধার কাছে মাইক্রোফোনটি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নিজের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীকে আবারও দাওয়াত দিয়ে কথা শেষ করেন।

এ সময় অপর এক সুফল ভোগি ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবু মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর নিয়ে নিজের লেখা একটি গান পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী গান শুনে করতালি দিয়ে তাকে উৎসাহ প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আশ্রয়নের ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা প্রধানমন্ত্রীকে রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি ভাওয়াই গান ও একটি নিত্য পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী তা মনোযোগ সহকারী উপভোগ করেন।

এ সময় লালমনিরহাটের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় লালমনিরহাট অবহেলিত ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে তিস্তা ও ধরলায় একাধিক সেতু করেছি। আকাশ গবেষনার জন্য অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করেছি এ জেলায়। জেলার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসুচির কাজ চলমান রয়েছে।

ছিটমহল বিনিময় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিটমহল বিনিময়ের চুক্তি করেছেন। তৎপরবর্তি এরশাদ ও খালেদা জিয়া তা করতে পারেনি। অথচ আমরা ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ আলেচনা শেষ ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন করেছি। এক সময় এসব ছিটমহলের বাসিন্দাদের কোন পরিচয় ছিল না। আমরা সে ব্যবস্থাও করেছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ’র সঞ্চলনায় এ অংশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, লালমনিরহাট ৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল প্রমুখ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *