সারাদেশ

শুক্র-শনিবারও থাকবে কারফিউ

ডেস্ক রিপোর্ট: শুক্র-শনিবারও থাকবে কারফিউ

ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শুক্রবার ও শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে কারফিউ বহাল থাকবে। তবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তা শিথিল করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

আসাদুজ্জামান খান জানান, আন্দোলনে নাশকতার সঙ্গে জড়িত সবাই গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর চিরুনি অভিযান চলবে।

বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে কারফিউ শিথিল করে চার ঘণ্টা সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের কার্যক্রম চালু করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবারও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী জেলায় কারফিউ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকে। আর বাকি জেলাগুলোর কারফিউ শিথিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছি, সেনাবাহিনীকে ডেকেছি। তারা সহযোগিতা করেছে। আগামী দু-চারদিনের মধ্যে আশা করি সবকিছু কন্ট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) নিয়ে আসতে পারবো। কারণ দেশের মানুষ এটা পছন্দ করছে না। এরই মধ্যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান এবং বিএনপি-জামাতের চক্রান্ত আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের পরিবেশ যখন ঠিক হবে সেনাবাহিনী তাদের কাজে চলে যাবে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে সহিংসতার জেরে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

নওগাঁয় ইটবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় ইট বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় সিফান হোসেন নামে ৬ বছর বয়সের এক শিশু নিহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালের দিকে উপজেলার কাদিমপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সিফান হোসেন কাদিপুর গ্রামের মো. মুমিন হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর থানার ওসি জাহিদুল হক।

তিনি বলেন, সকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল শিশু সিফান। একপর্যায়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইট বোঝাই এক ট্রাক্টর তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু সিফান। এ ঘটনায় ট্রাকচালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরলেন ৪৩৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী

ছবি: বার্তা২৪

সারাদেশে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ভারতীয় ও নেপালি শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরে যাচ্ছেন। গত ৭ দিনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরে গেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ৪৩৫ জন বিদেশী শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪০০ জন ভারত এবং ৩৫ জন নেপালের নাগরিক।

দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) নেপালের ২০ জন ও ভারতের ১২০ জন শিক্ষার্থী দর্শনার জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য আসেন। সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গত শুক্রবার বিপাকে পড়েন এসব শিক্ষার্থী। কোথাও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে না পেরে চেকপোস্টে আটকে থাকেন তারা। পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংক দর্শনা শাখায় বিকল্প ব্যবস্থায় তাদের ভ্রমণ কর পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়। ওই দিন দুপুরের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ভারতে প্রবেশ করতে শুরু করেন।

এরপর শনিবার (২০ জুলাই) ১০১ জন ভারতীয় ও ৯ জন নেপালি, রোববার (২১ জুলাই) ১০৯ জন ভারতীয়, সোমবার (২২ জুলাই) ৪৩ জন ভারতীয় ও ৬ জন নেপালি, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ১৫ জন ভারতীয়, বুধবার (২৪ জুলাই) ২ জন ভারতীয় এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী দর্শনা চেকপাস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।

চেকপোস্টে অবস্থানকালে একাধিক বিদেশী শিক্ষার্থী জানান, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) আতিকুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ৪০০ জন ভারতীয় এবং ৩৫ জন নেপালি নাগরিক ভারতে ফিরে গেছেন।

;

চট্টগ্রামে শুক্রবার ‘দিনভর’ কারফিউ শিথিল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল/বার্তা২৪.কম

দেশের অন্যান্য জেলার মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও চলছে সরকার ঘোষিত কারফিউ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকার পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবারও কারফিউ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে জেলা প্রশাসক আগামীকাল শুক্রবারের কারফিউর সময় ঘোষণা করেছেন। এদিন (২৬ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘দিনভর’ চলমান কারফিউ শিথিল করা থাকবে।

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

চট্টগ্রাম জেলায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) দুইদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এ দুইদিন সকাল থেকেই নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হন নগরবাসী।

বৃহস্পতিবারও অফিস খোলা থাকায় আগের দিনের মতোই যানবাহনের চাপ ছিল সড়কগুলোতে। কারফিউ শিথিল সময়ে মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সকাল থেকে নগরে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

;

হামলার সাতদিন পরও যন্ত্রণায় ভুগছেন সাংবাদিক ইমন

সাংবাদিক ইমন

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অতর্কিত হামলায় আহত সাংবাদিক ইমন ঘটনার সাতদিন পরও মুখের কাটা ক্ষতের যন্ত্রণায় ভুগছেন। গত ১৮ জুলাই বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর রেল গেইট এলাকায় চিত্র সাংবাদিকসহ আহত হন এখন টিভির এই রিপোর্টার। এসময় তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

জানা যায়, সড়ক ও রেল লাইনে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে রাজধানীর মহাখালীতে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক ইমন ও চিত্র সাংবাদিক তানিম। এসময় মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের সামনে আসলে হঠাৎ করে আন্দোলনকারীদের একটি উশৃংখল একটি অংশ কিছু বুঝে উঠার আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের ওপর। আন্দোলনকারীরা হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়ে আঘাতের পাশাপাশি কিল-ঘুষি এবং লাথ মারেন এই দুই সাংবাদিককে। এরপর আন্দোলনকারীদের হামলায় আহত অবস্থায় কোনোরকমে জীবন রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে যান তারা।

সেই সাথে, এসকেএস টাওয়ারের সিনিয়র অডিট অফিসার এনাম ও সিকিউরিটি গার্ডরা এসে আহত ইমনকে উদ্ধার করে শপিংমলের ভিতর নিয়ে যায়। এরপর রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় যান তারা।

বার্তা২৪.কমের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত অটোরিকশাও ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বার্তা২৪.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রাজু আহম্মেদের ওপরও হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। ভেঙে ফেলা হয় বার্তা২৪.কমের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা। হামলায় আহত হন রাজু আহম্মেদ ও বার্তা২৪.কমের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নূর আলম।

আহত সাংবাদিক ইমন বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় কয়েকজন সংবাদ সংগ্রহে ব্যবহার করা জিনিসপত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করে। একপর্যায়ে ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কোনো রকম জীবন বাঁচিয়ে এসকেএস টাওয়ারের ভিতর যাই। ঘটনায় হাত-পায়ে চোট পাই এবং ঘুষির কারণে মুখের ভেতরে কেটে যায়। আর এই কাটার ক্ষতের কষ্টই শেষ হচ্ছে না। খাওয়া-দাওয়া করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *