আন্তর্জাতিক

আল-শিফায় সৈন্য হত্যা ও জিম্মি আটকের অভিযোগ ইসরায়েলের

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি এক সৈন্যের হত্যা ও দুই বিদেশিকে জিম্মি রাখার অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।

রোববার (১৯ নভেম্বর) এই অভিযোগ করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

কিন্তু হামাস বলছে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালে নেওযা হয়েছিল তাদের। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে জিম্মি এক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা এবং দুই বিদেশিকে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।

গত সপ্তাহে আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্য নোয়া মার্সিয়ানোর মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। হামাস বলেছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৯ বছর বয়সী ওই নারী সৈন্য নিহত হয়েছেন। হামাসের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, তার মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে তিনি বিমান হামলায় আহত হয়েছিলেন। তবে তার শরীরে আঘাত মৃত্যু ঘটানোর মতো ছিল না।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী নোয়াকে হামাসের সদস্যরা শিফা হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে হামাসের এক সদস্য তাকে হত্যা করেছে। তবে এই বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে হ্যাগারি বলেছেন, হামাসের বন্দুকধারীরা ৭ অক্টোবরের অভিযানে আটক করা বিদেশিদের মধ্যে দুজনকে আল-শিফায় নিয়ে যায়। ওই দুই জিম্মির একজন নেপালি এবং অন্যজন থাই। হামাসের হাতে জিম্মি থাই ও নেপালি দুই নাগরিকের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে হ্যাগারি বলেন, এতে দেখা গেছে একদল ব্যক্তি একজনকে ধাক্কা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় মেডিক্যালের কর্মীদের অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের ভেতরে আহত এক ব্যক্তি পড়ে আছেন। তার পাশে বেসামরিক এক ব্যক্তিকে অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে দেখা যায়।

হ্যাগারির এসব দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হামাসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছিল, তারা কিছু জিম্মিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *