আন্তর্জাতিক

খুব শীঘ্রই যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে: জো বাইডেন

ডেস্ক রিপোর্ট: খুব শীঘ্রই যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।আমরা হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে কাজ করছি আমরা। খুব শীঘ্রই আমরা যুদ্ধ বিরতিতে চুক্তিবদ্ধ করতে পারব।

তিনি বলেন, জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনা শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে চার থেকে পাঁচদিন।

হামাস-ইসরায়েলের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে কথোপকথনের দিকে ইঙ্গিত করে জো বাইডেন বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই বিষয়ে কাজ করছে।

ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-১২ বলছে, গাজায় হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর হাতে বন্দী জিম্মিদের মুক্তির জন্য যে চুক্তিটি বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনে অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

ইসরায়েলের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে চ্যানেল-১২ বলছে, মঙ্গলবার চূড়ান্ত করা চুক্তিতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের ৫০ থেকে ১০০ বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। তবে কোনো সামরিক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি তারা।

গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। ওই দিন স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরায়েলে ঢুকে শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে হামাস। এই হামলার পর গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *