সারাদেশ

রাঙামাটিতে ১৭ জুয়াড়ি আটক

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন ট্রেনের ‘খ’ বগিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানো হয়েছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ধারণা, দেশব্যাপী নাশকতার উদ্দেশ্যে অবরোধকারীরাই আগুন লাগাতে পারে বলেও। ফলে ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য সন্দেহের তালিকায় বিএনপি-জামায়াতকে রাখছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।

বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিলেট রেলওয়ে ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন এক্সপ্রেসে এ ঘটনা ঘটে।প্রায় আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ওই বগির ২৩টি সিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ বলছে, অগ্নিকান্ডের আগে ট্রেনের গেটগুলো বন্ধ ছিলো। ঘটনার পর ওই কোচ থেকে দুটি থেকে খালি পাঁচ লিটার জারিকেন উদ্ধার করা হয়। যেগুলোতে হয়তো দুর্বৃত্তরা পেট্রোল নিয়ে এসেছিল।

আগুনের খবর পেয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যান রেলওয়ে পুলিশ সুপার শেখ শরিফুল ইসলাম।

এ সময় তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৯টা ২০-২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি ৩নং প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হয়। আনার ৫ মিনিটের মধ্যেই ভেতরে হঠাৎ করে আগুন দেখা যায়।আগুণের ধারণ দেখে বুঝা যাচ্ছে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী বিরোধীদল অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে টেনে আগুন দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তারা সিলেটেও ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে আমি মনে করি। যদিও এটি তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এটি নাশকতামূলক কাজ। যারা চাচ্ছে দেশটিকে অস্থিতিশীল করতে তারাই এটি করেছে।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমরা যা দেখলাম, তাতে অবশ্যই নাশকতা এবং এটা আবারো অগ্নি সন্ত্রাসের আরেকটা রুপ। যারাই এটা করেছে একটা রাজনৈতিক দল, বিএনপি জামায়াত রাজনৈতিক দল তারা হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা করছে। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেল ক্ষতিগ্রস্থ করছে, জনগণকে হয়রানি করেছ। আমরা তাদেরকে ধরে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।’

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে, আজকে তা প্রমাণ করেছে। আজকে তারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তারা জনগণ থেকে সরে গিয়েছে, তারা নির্বাচনকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এটা অতীতেও তারা করেছে, পারবে না। বিভিন্ন বয়সী মানুষ এই ট্রেনে যাতায়াত করার কথা ছিল বিভিন্ন জায়গায়। অনেক বাইরের লোকজন এখানে বেড়াতে এসেছিলেন, তাদেরকে হত্যা করার জন্য হামলা করেছে, আগুন দিয়েছে, পেট্রোল ঢেলে। আমরা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেখেছি, এর নিন্দা জানাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তৎপর। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

উপবন ট্রেনে আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরে আরেকটি ট্রেনে সিলেট আসেন পররাষ্ট্র প্রতমিন্ত্রী শাহারিয়ার আলম।

এ সময় তিনি বলেন, যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা খুব খারাপ কাজ করেছে। আমি আশা করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুতই তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। যারা নাশকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *