আরসা প্রধান আতাউল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ডেস্ক রিপোর্ট: আরসা প্রধান আতাউল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ছবিঃ সংগৃহীত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীসহ সংগঠনটির ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) খুনের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করার পর বান্দরবানের মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এই আদেশ জারি করেন।
এর আগে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘তদন্ত শেষে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নাম আলোনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে রাখা হয়নি। যদিও আলোচনায় ছিলো আতাউল্লাহর নেতৃত্বে মুহিব্বুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিলো।
এই প্রথম কোন আলোচিত মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলো আরসা। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরী করে অস্ত্র তৈরীর কারখানা ও গোপন আস্তানা করেছিলো সংগঠনটি। শূন্যরেখার এই আস্তানায় বসে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার পরিচালনা করতেন আতাউল্লাহ। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিলো গোল্ডেন আরাকান নামে অত্যাধুনিক মানের একটি রেস্টুরেন্টও।
এই আস্তানায় মাদক মজুদের খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাব যৌথভাবে অভিযান চালায় ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর। অভিযানে গোয়েন্দা সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। অভিযোগ উঠে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও খালেদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছিলো তাকে।
এদিকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আরসার ঘাঁটিতে হামলা চালায় আরএসও। এসময় পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায় আরসার সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৩ জনকে আটক করেছে। বাকিদেরও আটকে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।
গৌরীপুরে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি বিচ্ছিন্ন
ছবিঃ বার্তা২৪
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১০ টা ৪৫ মিনিটে জামালপুর চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে।
পথিমধ্যে সোমবার রাতে ট্রেনটি জামালপুর -চট্টগ্রাম রেলপথের ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার পর ট্রেনের সর্বশেষ ১৬ ও ১৭ নম্বর বগির হুক খোলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেনের পরিচালক গৌরীপুর স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় এসে টের পায়।
ওই ট্রেনের পরিচালক উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি ট্রেনের সাথে যুক্ত করে নিয়ে গৌরীপুর স্টেশনে এসে যাত্রাবিরতি করে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে জামালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ট্রেনের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় চলন্ত ট্রেনের দুটি বগির হুক খোলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ট্রেন থামানের পর উল্টো পথে ট্রেন নিয়ে বিচ্ছিন্ন বগি যুক্ত করে গৌরীপুর স্টেশনে নিয়ে আসি। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
;
মর্গে পড়ে ছিল প্রবাসীর লাশ, ৫ মাস পর দেশে
ছবি: সংগৃহীত
পরিবারে ও নিজের ভাগ্য বদলাতে মাত্র ৮ মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ হানিফ (৩৩)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় প্রবাসে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে হতে হয় নির্যাতিত। দালাল চক্রের নির্যাতনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণই হারাতে হয় হানিফের। হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল মরদেহ। নানা চেষ্টা করেও ফেরত আনা যাচ্ছিল না নিষ্প্রাণ দেহটি। অবশেষে মৃত্যুর ৫ মাস পর বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং ব্র্যাকের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছে প্রবাসী মোঃ হানিফের মৃতদেহ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
জিয়াউল হক বলেন, ব্র্যাক ও এপিবিএনের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫ মাস পর দেশে ফেরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ হানিফের (৩৩) মরদেহ। সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করেন হানিফের স্ত্রী আফিয়া খাতুন এবং তার ভাই। এসময় সেখানে আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি গিয়ে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, লাশ দেশে আনার আকুতি’ শিরোনামে চলতি বছরের ৩ জুলাই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি এপিবিএনের নজরে আসে। সংবাদের সূত্রধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্র্যাক ও এপিবিএন। মৃত হানিফের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয় পরিবারকে।
জীবিকার সন্ধানে রিক্রুটিং এজেন্সি অপশন ম্যানপাওয়ার ওভারাসীজের মাধ্যমে সৌদি আরবের আভা শহরে গিয়ে প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে হানিফের মৃত্যু হয়। গত ১৬ জুন রিয়াদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর সেখানে বসবাসকারী নিকটাত্মীয়রা লাশ দেশে আনার বিষয়ে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
মৃত হানিফের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হানিফ অভাবের তাড়নায় ছোটবেলা থেকে নির্মাণ শ্রমিকের (রাজমিস্ত্রি) কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের আশায় চলতি বছরের ১২ মার্চ সৌদি আরবে যান হানিফ।
দেশটিতে যাওয়ার পর তাকে রাজমিস্ত্রির কাজ না দিয়ে আভা শহরে ভেড়া চরানোর চাকরি দেওয়া হয়। যে মালিকের অধীন তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল ওই ব্যক্তি তাকে নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন করতো। বিষয়টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জানানোর পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। সেখানে নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৬ জুন রিয়াদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হানিফকে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একইদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় হানিফ মারা যান।
এপিবিএন এ বিষয়ে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলে গত ৩ ডিসেম্বর ৫ মাস পর তার মৃতদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত আসে।
;
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আদনান সোহাগ (১৮) ও মো. সবুজ (২০) নামের দুই মোটরসাইকেল নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সাগরদিঘি ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আদনান ও সবুজ সাগরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। আদনান লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ইন্দ্রা বাইদ গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং মো. সবুজ একই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিল দুই বন্ধু। কামালপুর এলাকায় গেলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় চালকসহ মোটরসাইকেলটি সড়কে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সোহাগের মৃত্যু হয়। অপরদিকে মোটরসাইকেল চালক সবুজ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
;
বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। গেদুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত যুবকেরা হলেন, উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে মোখলেছুর রহমান (২৮) ও একই এলাকার আবদুল বাসেদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৭)।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ভোররাতে কাঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০/৩ এস, ভারত নারগাও ক্যাম্প পিলার-৭২ সীমানা এলাকায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু পারাপার করতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে বিএসএফ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় বিএসএফের গুলিতে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মোখলেছুর রহমান বাংলাদেশ অংশে চলে আসে। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহুরুলকে বিএসএফ সীমান্তের একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে গ্রামবাসীরা মোখলেছুর রহমানের পড়ে থাকা নিথর মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, জহুরুলের মরদেহ ফেরত দিতে বিজিবি পতাকা বৈঠক করেছে। আগামীকাল বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।