আন্তর্জাতিক

শিশুশ্রম নিয়ে সচেতনতায় চট্টগ্রামে ছায়া জাতিসংঘ অধিবেশন

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা পরবর্তী বিশ্বে ক্রমবর্ধমান দরিদ্রতার ফলে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলছে। শিশুশ্রমের মূলে রয়েছে দরিদ্রতা। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে প্রথমে দরিদ্রতাকে নিরসন করতে হবে। শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে সচেতনতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করার লক্ষে মানবাধিকার দিবসে জাতিসংঘের ছায়া সংসদে ইপসা ও দৃষ্টির বিশেষ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয়া এই ছায়া জাতিসংঘ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে চট্টগ্রামের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

ছায়া সাধারণ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ও প্রাক্তন বিতার্কিক ডা বিদ্যুৎ বড়ুয়া। এই অধিবেশনে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাপাদক ও প্রাক্তন বিতার্কিক কাজী আরাফাত ও উপমহাসচিব ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম।

ছায়া অধিবেশনে পর্যবেক্ষক ছিলেন দৈনিক আজাদীর সহসম্পাদক রেজাউল করিম, আইনজীবী বিতার্কিক আফসানা তমা, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুদ্দিন মুন্না ও প্রাক্তন বিতার্কিক রায়হান শাকিল।

সাধারণ অধিবেশনে প্রাণবন্ত বির্তক শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্ড কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ইপসার সমন্বায়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন। স্বাগত বক্তব্য দেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল। দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, যে জায়গায় বড়দের কাজ করাও কঠিন সে জায়গায় শিশুরা কাজ করছে। এটা আরো ঝুঁকিপূর্ণ। মনে হয় বাংলাদেশে জীবনের দাম একদম সস্তা। আমরা শিশুশ্রম মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশর স্বপ্ন দেখি। শিশুশ্রম মুক্ত দেশ গড়তে পারলে আমরা সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হব। এটি গড়তে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে শিশুশ্রম কমে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইপসার সমন্বায়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন বলেন, প্রত্যেক শিশুর মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর স্বপ্ন। শিক্ষিত জাতি গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিশুশ্রম। বর্তমানে দারির্দ্যতার কারণে শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রামের গত ৯ বছরে ৫% শিশুশ্রম বেড়ে গেছে। আর বাংলাদেশে ১০ লাখ শিশু শ্রমিকে বেড়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরে শিশুশ্রমিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু শ্রম থেকে শিশুদের মুক্ত করতে ইপসা কাজ করে।

সভাপতির বক্তব্য সাইফ চৌধুরী বলেন, স্রষ্টা আমাদের মানবিক গুনাবলি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা অমানবিক হয়ে উঠেছি। প্রথম বিশ্বের দেশগুলো পুঁজিবাদের নামে শ্রমের নামে শোষণ করছে। শ্রমের বৈষম্য এদেশেও আছে। আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে এ শোষণ দূর করে শিশুশ্রম মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *