সারাদেশে র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশে র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
ছবি: সংগৃহীত
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল রক্ষায় সারা দেশে র্যাবের ৪২২ টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাত্র ঢাকায় ১৩০টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র্যাবের ১৩০টি টহল দল সহ সারাদেশে ৪২২ টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে র্যাব টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে র্যাব।
তিনি আরও জানান, যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলতা, বেড়েছে যাত্রীর চাপ
বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলতা, বেড়েছে যাত্রীর চাপ
বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে । তিন দিন ধরে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইমিগ্রেশনের ই-পাসপোর্টের অনলাইন সার্ভার জটিলতার কারণে অনলাইনে কোনো ধরনের তথ্য আপডেট বা প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
বুড়িমারী স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা গেছে , এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট ভিসাধারী যাত্রীদের সকল তথ্য কাগজে-কলমে নোট করতে হচ্ছে এখন । এতে সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা । এছাড়া সার্ভার জটিলতায় কোনো দাগী অপরাধী দেশত্যাগ করে কি না, এ নিয়েও চিন্তিত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। যদিও সতর্কাবস্থায় রয়েছেন তারা। তবে দ্রুত সময়ে ঢাকা থেকে ঠিক করতে বা নতুন বিশেষ কম্পিউটারে (পিসি) সার্ভার ইনস্টল করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইমিগ্রেশনের ভ্রমণে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ যাত্রীর ভিড়। ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রী ছাড়াও ভারতগামী বাংলাদেশের লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে এসেছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
এ ঘটনা পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ঢাকার প্রকৌশলীদের জানানো হয়। প্রকৌশলীরা তথ্য-উপাত্ত ঘেটে জানায়, বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে সংযুক্ত পিসি সমস্যার কারণে সার্ভারে কাজ করছে না। দ্রুত ঢাকায় এনে ঠিক করতে হবে। নতুবা নতুন বিশেষ পিসি সার্ভার ইনস্টল করতে হবে। ওই দিনই বুড়িমারী ইমিগ্রেশনের পিসি ঢাকায় পাঠানো হয়। শত শত যাত্রীদের পারাপারে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অনুমতি সাপেক্ষে ম্যানুয়ালি পাসপোর্টের নম্বর ও তথ্য নোট নিয়ে যাত্রী পারাপার সচল করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ম্যানুয়ালি কাজ করলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ এবং এয়ারপোর্ট ঢাকার প্রকৌশলীদের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট নম্বর পাঠিয়ে ব্যক্তি ব্লাকলিস্টে আছে কি না বা কোনো আপত্তি আছে কি না এসব যাচাই করে সবুজ সংকেত বা ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই পারাপারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এতে একটু সময় বেশি লাগছে।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মুর হাসান কবির বলেন, ‘প্রত্যেকের তথ্য কাগজে-কলমে লিখিতভাবে এন্ট্রি করা হয়েছে। তিন দিনে এক হাজারের বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী এ পথে পারাপার হয়েছেন। সার্ভার সমস্যা সমাধান হলে ওইসব তথ্য আবার অনলাইনে আপডেট করা হবে।’
;
সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, নেই অবরোধের প্রভাব
ছবি: বার্তা ২৪
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনী তফসিল বাতিল এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১১তম দফায় ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তবে দলটির ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজধানীর সড়কে। নির্বিঘ্নে চলাচল করছে গণপরিবহনসহ সাধারণ মানুষ। অবরোধের প্রভাব পরেনি রাজধানীর সড়কে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাস পয়েন্টে গন্তব্যগামী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতন। কর্মব্যস্ত মানুষ সকাল থেকেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে সড়কে বের হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যাল পার হতে গণপরিবহনের ধীর গতিও দেখা গেছে। এছাড়া ব্যাক্তিগত পরিবহনের চলাচলসহ সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতন।
এদিকে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানান জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দল।
একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দলগুলো। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। পরে চতুর্থ দফায় রোববার ১৩ ও সোমবার ১৪ তারিখ অবরোধ পালন করে দলটি। পঞ্চম দফায় ১৫ নভেম্বর বুধবার ও ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অবরোধের ডাক দেয় দলটি। সবশেষ ১১তম দফায় আবারও ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। বিএনপির ডাকা হরতালে প্রথম দিন আজ।
বিএনপির ঘোষনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ১১ দফার ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ।
;
১২ ডিসেম্বর সাদা জিপেই বিজয় এসেছিল সাগরতীরে!
ছবি: বার্তা ২৪
সময়টা ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার কিছু পর। সমুদ্র শহর কক্সবাজারে আসলো সাদা জিপ । কয়েক দিনের ঘুমহীন লাল চোখ নিয়ে ছাদখোলা জিপের সামনে দাড়িয়ে এক বীর। জিপের সম্মুখে অমলিন লাল সবুজের পতাকা। সকাল থেকে সেই সাদা জিপটি ছুটে আসছিলো। তখন রাস্তার দু’পাশে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে হাজার হাজার মানুষ। তাদের কারো চোখে জল, কারো বুকে উচ্ছাসের রং, কারো কণ্ঠে জয়ের নিনাদ, সেই সাদা জিপটি যেন বহন করে চলেছে দিগন্ত প্লাবিত এক নতুন ইতিহাস।
এক সময় সাদা জিপটি থামে কক্সবাজারের তৎকালীন পাবলিক হল মাঠে। তখন কানায় কানায় পূর্ণ মাঠ, মুহুর্তেই জয় বাংলা ধ্বনিতে একাকার।
অতঃপর পাবলিক হল মাঠের গোল চত্বরে সেই সাদা জিপ থেকে নেমে আসা গ্রুপ কমান্ডার আব্দুস সোবহান আকাশের উঁচুতে উড়ালো সবুজের বুকে লাল রঙ খচিত পতাকা। আর ঘোষণা দিলেন ‘আজ থেকে কক্সবাজার হানাদারমুক্ত’। সেদিনই কক্সবাজারের মানুষ বিজয়ের স্বাদ আস্বাদন করেছিলো।
বার্তা২৪.কম-কে সেদিনের কথা বলতে গিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে এমনটাই বর্ণনা দিচ্ছিলেন সেই শত্রুমুক্ত দিবসের অন্যতম অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ।
তিনি জানান, ‘১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় চারটি বাস ও একটি সাদা জিপে করে ৪০ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা উখিয়ার রত্নাপালং হাইস্কুল ক্যাম্প থেকে গ্রুপ কমান্ডার আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং বিকেল সাড়ে ৩ টার কিছু পর কক্সবাজার পৌঁছাবার পরই পতাকা উত্তোলনের করে আব্দুস সোবহান কক্সবাজার কে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন। এভাবেই রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা শেষে, হাজারও মানুষের কান্না, স্বজন ও আত্মীয় হারানোর বেদনার সাগর পাড়ি দিয়ে বিজয়ের ঢেউ স্পর্শ করেছিল সাগরতীরে।
;
গুলিস্তানে বাসে আগুন
গুলিস্তানে বাসে আগুন
রাজধানীর গুলিস্তানে বাহন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।
তিনি বলেন, ‘গুলিস্তানে বাহন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে যাচ্ছে।’
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।