পুলিশের সামনে নাশকতাকারীদের দাঁড়ানোর সাহস নেই: আইজিপি
ডেস্ক রিপোর্ট: পুলিশের সামনে নাশকতাকারীদের দাঁড়ানোর সাহস নেই: আইজিপি
ছবি: বার্তা ২৪.কম
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, পুলিশের সামনে নাশকতাকারীদের দাঁড়ানোর কোন সাহস নেই।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ শিরু মিয়া মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংক’র ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। অবৈধ অস্ত্রধারী এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
নাশকতাকারীরা বিচ্ছিন্নভাবে গাড়ি পোড়াচ্ছে এবং নাশকতা করছে জানিয়ে আইজি বলেন, আমাদের সামনে বা আনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে নাশকতাকারীদের দাঁড়ানোর মত সাহস আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের সেই সমর্থ্য আছে, প্রস্তুতিও আছে। সকল ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ করে দেশবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তার সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে পুলিশ। এর জন্য আমাদের যে লজিস্টিক আছে, প্রশিক্ষণ আছে ও সকল ধরনের জনবল নিয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। পাশাপাশি আমরা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও পরে আনশৃঙ্খলা রক্ষায় যাবতীয় পরিকল্পনা গ্রহণও করেছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এর পক্ষ থেকে আমাদেরকে যে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে তা আমরা পুঙ্খানুপুরূপে পালন করছি। আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই আগামী নির্বাচন যথাযথভাবে অবাধ ও সুষ্ঠ এবং উৎসবমুখরভাবে আয়োজনের জন্য ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার সেসব ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
আইজিপি আরো বলেন, আপনারা জানেন পূর্বে আমরা বিভিন্ন নির্বাচনকালীন দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছি। আগামী দিনেও যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যানহোলে মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ
ম্যানহোলে মিলল যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ
রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকাধীন থিম ওমর প্লাজা সংলগ্ন রাজনৈতিক কার্যালয়ের ম্যানহোল থেকে নয়নাল উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর থিম ওমর প্লাজার পেছনে ম্যানহোল থেকে এই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নয়নাল কাটাখালীর শ্যামপুরের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, পুলিশের ধারণা, কয়েকদিন আগে হত্যা করে মরদেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। সকালে এই এলাকায় তীব্র গন্ধ হলে আমাদের জানায় নিরাপত্তা কর্মীরা। গন্ধের অনুসন্ধান করতে গিয়ে থিম ওমর প্লাজার ম্যানহোলে মরদেহ পাওয়া যায়। চেহারাতেও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। পরনে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট ও গায়ে সাদা রঙের পাঞ্জাবি পায়ে জুতা ছিল।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে তাকে হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে গেছে। মরদেহটির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইমসিন ও পিবিআইয়ের সদস্যরা ঘনটাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুপুরের দিকে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
;
গাজীপুরে কারারক্ষীর মোজায় মিলল গাঁজা
ফাইল ছবি
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কারারক্ষীর পায়ের মোজা থেকে গাঁজা পাওয়ায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ওই কারারক্ষীর নাম মো. সোহেল রানা। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড় গোবিন্দপুর এলাকার হিকমত আলীর ছেলে।
কারাকর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আটককৃত কারারক্ষী সোহেল টহলে যাবার সময় কারাগারের গেইটরক্ষীরা তাকে তল্লাশি করেন। এ সময় তার পায়ের মোজার ভেতর ১০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করেন কারাকর্তৃপক্ষ। পরে কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে ওইদিন রাত ১১ টার দিকে কারাকর্তৃপক্ষ তার বিশ্রামাগারে ব্যবহৃত একটি ট্যাংকের ভেতর থেকে আরও ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন।
পরে কারাকর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পার্শ্ববর্তী কোনাবাড়ি মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ তাকে গাঁজাসহ আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
;
বালিশচাপা দিয়ে নারীকে হত্যা, লাশ গুম করতে ফেলা হয় নদীতে
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া এলাকায় বংশাই নদীতে ভাসমান অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর প্রযুক্তির সহায়তায় মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। পাশাপাশি ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের পর হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা এনামুল সানাসহ জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -৪।
গ্রেফতাররা হলেন- এনামুল সানা (২৭) ও সোহাগ রানা (২৮)। এ সময় উদ্ধার করা হয় নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিক্রমপুর এলাকায় বংশাই নদীতে একটি অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন নৌ-পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি জানায়। পরে র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওআইভিএস (অন-সাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম) ব্যবহার করে নদীতে ভাসমান অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহটির নাম ও পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ভাসমান এই মৃতদেহটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার রঘুনাথপুর দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছের মেয়ে রুবিনা খাতুনের বলে নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে র্যাব-৪ ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সংবাদ দিলে তারা রাজধানীর আশুলিয়া এসে ভিকটিমের ভাই আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে খন্দকার আল মঈন বলেন, ভিকটিম রুবিনা খাতুন (২৪) নরসিংদী জেলার পলাশ এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত ৬ মাস আগে গ্রেফতারকৃত আসামি এনামুলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। গ্রেফতার এনামুল পরিবারসহ আশুলিয়া ভাড়া বাসায় বসবাস করতো এবং আগে গার্মেন্টসে সুপারভাইজারের চাকরি করলেও বর্তমানে সে ভাড়ায় নিজের মোটরসাইকেল চালাতো। এনামুল প্রায়ই ভিকটিমকে অধিক বেতনে অন্যত্র চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আশুলিয়ায় আসতে বলতো। গত ৩ ডিসেম্বর এনামুলের স্ত্রী ও সন্তান গ্রামের বাড়ি খুলনার পাইকগাছায় চলে যায়। পরে এনামুল ভিকটিম রুবিনা খাতুনকে সুযোগ বুঝে তার আশুলিয়া ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে এবং মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বাসায় রাখে। এ সময় ভিকটিম এনামুলকে বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে ভিকটিম রুবিনা এনামুলকে আবারও বিয়ের কথা বলায় তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে এনামুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং প্রমাণ ঢাকতে ভিকটিমের হাতে লেখা এনামুল নামটি মেহেদী দিয়ে ঢেকে দেয়।
তিনি বলেন, আসামিরা জানায় রুবিনাকে হত্যার পর কিভাবে ঘটনা ধামাচাপা দিবে সে বিষয়ে এনামুল তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহাগকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়ে বাসায় আসতে বলে। পরে সোহাগ এনামুলের বাসায় আসে এবং রুবিনার লাশ গুম করার উদ্দেশে নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এনামুল ও সোহাগ রাত ৩টার দিকে রুবিনার মৃতদেহটি চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে বাসার নিচে নামিয়ে আনে এবং মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার দূরে রাঙামাটি ব্রিজ থেকে মৃতদেহটি বংশাই নদীতে ফেলে দেয়। পরে তারা নিজ নিজ বাসায় গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে। তাদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মায় যে, যেহেতু তারা গোপনে লাশটি নদীতে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং ভিকটিমের লাশটি খুঁজে পাওয়া গেলেও তার হত্যাকারীকে সনাক্ত করতে পারবে না।
আসামিদের পরিচয়ের বিষয় র্যাব জানায়, আসামি এনামুল গত ৬ বছর আগে খুলনা থেকে ঢাকায় এসে আশুলিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করে আসছিল। সে গামের্ন্টসের সুপারভাইজারের চাকরি করতো। বর্তমানে সে ভাড়ায় নিজের মোটরসাইকেল চালাতো। আনুমানিক ৭/৮ মাস আগে নারী কেন্দ্রিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী তাকে আশুলিয়ার আগের বাসা থেকে বিতাড়িত করে।
এছাড়াও সে একাধিক নারী ঘটিত বিষয়ে লিপ্ত ছিল বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে খুলনার পাইকগাছা থানায় শিশু অপহরণ, চুরি ও মারামারি সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। সহযোগী সোহাগ গত ২ বছর ধরে ঢাকায় অবস্থান করছে। সে পেশায় একজন বাসের হেলপার। আসামি এনামুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় তার যাবতীয় অপকর্মের অন্যতম সহযোগি হিসেবে পাশে থাকত। সোহাগ ঢাকার ধামরাই থানায় মাদক মামলায় এক মাস কারাভোগ করেছে বলে জানায় র্যাব।
;
মসজিদের মাইকে স্ত্রীকে তালাক দিলেন আ.লীগ নেতা
মসজিদের মাইকে স্ত্রীকে তালাক দিলেন আ.লীগ নেতা
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় জাকির হোসেন জেকে (৩৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা মসজিদের মাইক দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় উপজেলার চরবাণীপাকুরিয়া ইউনিয়নের রান্ধুণীগাছা গ্রামে গত ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আছর নামাজের পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন তিনি।
পরে এ বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ও টিকটকে জাকির হোসের জেকে নামক ফেসবুকে আইডিতে আপলোড করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ভিডিওটি ডিলিট করেন।
জাকির হোসেন জেকে উপজেলার চরবাণীপাকুরিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরও কয়েকবার মৌখিক তালাক দিলেও বিষয়টি আমলে না নিলে শেষ পর্যন্ত মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জাকির। তাই গত ৫ ডিসেম্বর আছর নামাজ শেষ করে মুসুল্লিরা মসজিদ থেকে বের হলে জাকির মসজিদে ঢুকে মাইকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজের বউকে তালাক প্রদান করেন বলে জানান মসজিদের ইমামসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিষয়টি নিয়ে জাকির হোসেন জেকের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী শিখা জানান, বিষয়টি তিনি লোক মুখে শুনেছেন। গত ১০ বছর ধরে বিয়ে হলেও নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর বাড়িতে টিকতে পারেননি একদিনও।
এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আপনি যেটা শুনেছেন এটাই সত্যি বলে ফোন কেটে দেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।