সারাদেশ

এবার আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সিলেটের তিনটি আসনে এমপি পদপ্রার্থী ৫ জন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার মধ্যে রয়েছেন- সিলেট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও গণফোরাম নেতা মোকাবাব্বির খান, সিলেট-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো.জহির, সিলেট-৩ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মইনুল ইসলাম, সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন, সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।

জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।

মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে জানানো হয়, মনোনয়নপত্রে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন মোকাব্বির খান। তবে তিনি যে দলটির নির্বাহী সভাপতি এবং তার স্বাক্ষরেই মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ হবে তার পক্ষে কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে না পারায় বাতিল হয় তার মনোনয়ন।

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর মোকাব্বির খান বলেন, আমার প্রার্থিতার জন্য নির্বাচনী এলাকার সব দলমতের মানুষ অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। আমার প্রার্থিতা বাতিল করায় তারা অত্যন্ত ব্যথিত ছিলেন। আজ আপিল মঞ্জুরে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তো রয়েছেই। সরকার বলেছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন কমিশনও জাতিকে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে যদি দেখি এই প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম ঘটেছে, তাহলে আবার আমরা জনগণের সামনে হাজির হবো।

এদিকে, মঙ্গলবার (১২ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে সিলেট-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, সিলেট-৩ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মইনুল ইসলাম, সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন, সিলেট ৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

গত ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্রিং কর্মকর্তা। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করেন তারা। আপিলে তারা নিজেদের প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা.ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল গণমাধ্যমকে বলেন, ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। এর মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষজনের চাহিদার প্রতিফলন ঘটেছে। কারণ এই সাধারণ জনগণের চাহিদার মূল্য দিতেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।’

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *