সারাদেশ

‘আইন প্রয়োগে শিথিলতায় কতিপয় ব্যবসায়ী নিত্যপণ্য মজুদ করছেন’

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘আইন প্রয়োগে শিথিলতায় কতিপয় ব্যবসায়ী নিত্যপণ্য মজুদ করছেন’

ছবি: বার্তা২৪.কম

আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বারবার পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে মজুত ও অতিমুনাফাসহ নানা কারসাজি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পেয়াঁজসহ নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকটের হোতাদের শাস্তির দাবিতে দেশে ভোগ্যপণ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ বাজার খাতুনগঞ্জ অভিমুখে এক পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে সংগঠনটি নেতারা এমন অভিযোগ জানায়।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে ক্যাব নেতারা বলেন, ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছে। ব্যবসায়ীরা পেয়াঁজ, আলু, আদা-মসলা, স্যালাইন, ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে পুরো বছর জুড়ে কোনো না কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট লেগেই থাকে। আর সংকট হলেই প্রশাসন লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করেন। যার কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বাজার তদারকিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশনা দিলেও সেগুলো কাগজে কলমেই থেকে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে তার কোনো সুফল আসছে না।

ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় পদযাত্রায় সংহতি জানান ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ন্যাপ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব সদরঘাটের শাহীন চৌধুরী, ক্যাব পাঁচলইশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রশিকার গীতা রানী দত্ত, ক্যাব জামালখানের সালাহউদ্দীন, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম, তৃণমূল জন সংগঠনের আবুদল মোতালেব মাস্টার, ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দীন, মোহাম্মদ রায়হান, নিলয় বিশ্বাস, আবরারুল করিম নেহাল, আশফাকুর রহমান, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাইসুল ইসলাম, আরাফাত চৌধুরী, সালমান রুশদি, সাইমন হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই কিছু দিন পরপর বৈধ আমদানির ছাড়পত্র, এলসি খোলার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট, আড়তদাররা পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। তাই এখন সময় এসেছে জনগণকে সংগঠিত হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

পেশায় জেলে হলেও পতাকা বিক্রিতে স্বস্তি পান সুরুজ আলী

ছবি: বার্তা ২৪.কম

সুরুজ আলী ভূইয়া(৩৫) পেশায় একজন জেলে। নদীতে মাছ ধরে মাছ বিক্রি করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে কাজের ফাকে বছরের বিশেষ সময়ে কয়েক জেলা ঘুরে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন তিনি।

জাতীয় দিবসগুলো বাদে সারাদিন শহরের অলিগলি ঘুরে কোনো দিন আয় ৩০০ টাকা, কোনো দিন ৫০০ টাকা। তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালিয়ে নেন তিনি।

কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের পৌর বাজারের সামনে কথা হয় সুরুজ আলী ভূইয়ার সাথে। পতাকা বিক্রি করে আনন্দ পান তিনি। কারণ এটি দেশের গর্ব।

সুরুজ আলী ভূইয়া জানান, তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার চরকামারকন্দী এলাকায়। অভাবের কারণে ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। পড়াশোনা না জানায় চাকরি করতে পারেননি তিনি। পরে এলাকার নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে পতাকা বিক্রি করতে বের হন কয়েকজন মিলে।

গেলো ৬ বছর ধরে তিনি এই কুষ্টিয়া শহরে এসে আবাসিক হোটেলে ভাড়া থাকেন। কয়েকদিন ধরে শহর থেকে গ্রাম, পাড়া থেকে মহল্লার পথে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। আবার বাড়ি ফিরে যাবেন বিজয় দিবসের পরদিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সাইজ ও দামের জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। বড় পতাকা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৫০-৬০ টাকা, ছোট পতাকা ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং হাত পতাকা ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করেন। জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকা ভালোই বিক্রি হয়। সে সময় পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয়। ছোট-বড় অনেকে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন।

পৌরবাজারের ফল ব্যবসায়ী আজমেরী ফল ভান্ডার নামের এক দোকানী তার দোকানে পতাকা টাঙাবে বলে নতুন পতাকা কিনছেন। তিনি জানান, বিজয় দিবসে নতুন পতাকা টাঙাবো বলেই ১৫০ টাকা দিয়ে পতাকা কিনলাম।

অন্য পেশায় থাকার পরও কেন তিনি পতাকা বিক্রির করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সুরুজ আলী ভূইয়া জানান, অনেক রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে এই পতাকা। দেশপ্রেমের টানে সবার হাতে তুলে দিতে পতাকা বিক্রি করেন। আর এর থেকে আয় দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেন সংসার। তবে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস এলেই পাতাকা বিক্রি করেই সংসারে একটু বেশিই স্বচ্ছলতা আনা সম্ভব হয়। ফেরি করে পতাকা বিক্রি করতে দল বেঁধে চলে আসেন কুষ্টিয়ায়।

এখানকার হোটেলে রাত্রীযাপন করেন। মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় ছুটে যান আলাদা টিম করে ভাগ ভাগ হয়ে। পতাকা বিক্রেতা সুরুজ আলী ভূইয়া অনেক কষ্টে অর্জিত লাল সবুজের পতাকার সম্মান দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

;

১৫ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি: বার্তা২৪.কম

গাজীপুরে দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ১৫ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য সচল করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে নাশকতার শিকার রেললাইন সংস্কারের পর পরীক্ষামূলকভাবে উদ্ধারকারী ট্রেন চলাচল করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভাওয়াল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর রেল স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ছিলাই বিল এলাকায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ মোট সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে ফসলি জমিতে পড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেললাইনের ৩০০ ফিট অংশ। সবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেললাইন মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

এ দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১৫ ঘণ্টা ধরে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এর মধ্যে তিনটি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দুর্বৃত্তদের কেটে রাখা রেললাইনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। পরে রেলওয়ের উদ্ধারকারী দল দিনভর তৎপরতা চালিয়েছে। এবং ট্রেন চলাচলের জন্য সড়কটি সচল করতে সক্ষম হয়েছে।

;

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সরকারকে সহযোগিতা করেননি: ভোক্তার ডিজি

ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীরা সরকারকে সহযোগিতা করেননি। বরং এ সময়ে তারা পণ্য হাতবদলের মাধ্যমে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করেছেন। এর দায় ব্যবসায়ীদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাগাম টানা না গেলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ভোক্তা অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার প্রেক্ষিতে এই সভার আয়োজন করা হয়।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, খুদে বার্তার মধ্যে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এখন পর্যন্ত যেটা দেখা যাচ্ছে, তা হলো হাতবদলের খেলায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ত্রুটিযুক্ত বিপণনব্যবস্থা ও হাতবদলের খেলা বন্ধ করা না গেলে বাজারে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, কৃষক তার পণ্যের দাম পায় না। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই অনেক বেশি লাভ করেন। যিনি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, তিনি কম দাম পাচ্ছেন। আবার যিনি ভোক্তা তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মাঝখান দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছে।

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সরকারকে সহযোগিতা করেননি উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার তথ্য পায়নি। ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আমাদের কাছে তথ্য আসতে দেরি হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ঠিকই জেনে গেছেন। শুক্রবার ছুটির দিন, তারপরও সবাই দাম বাড়ানোর মহোৎসবে মেতে ওঠে। গুদাম পেঁয়াজে ভরা। কিন্তু বলা হয়েছে পেঁয়াজ নেই। শুধু আইন করে এটা বন্ধ করা সম্ভব না। কিছু নৈতিক অনুশাসন যদি মেনে না চলা হয়, তা হলে এ অবস্থার উন্নতি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেন। সভায় উপস্থিত পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা ১১০ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলেও খুচরা ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে রাখছেন। অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ যে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তবে এখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আরও বেশি পরিমাণে আসতে শুরু করলে দামও দ্রুত কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।

সভায় বক্তারা বলেন, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। সরকার চেষ্টা করলেও ব্যবসায়ী নেতারা সব সময় সহযোগিতা করছেন না। বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, এ জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আরও ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন সংশ্লিষ্টরা।

পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিদফতরসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কয়েকটি সুপারশপের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

;

চট্টগ্রাম বন্দরের ৬৫১২ শ্রমিক পেলেন ৫ কোটি টাকার প্রণোদনা

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে বার্থ, টার্মিনাল, শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ৬ হাজার ৫১২ জন শ্রমিককে ৮ হাজার টাকা করে মোট ৫ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার টাকার প্রণোদনা তুলে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্রমিক-কমর্চারীদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন কর্মচারী পরিষদের নেতারা, শ্রমিক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০১১ সালের ৭ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৬টি পদ সাময়িকভাবে স্থানান্তর করে ১৬ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে এডহক ভিত্তিতে শ্রম শাখা চালু করা হয়। ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের অর্ন্তভুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কার্যাবলী এবং অবসরোত্তর আর্থিক সুবিধাদি যেমন-গ্র্যাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেয়ের বিয়ের আর্থিক সহায়তা ও দুর্ঘটনায় আহত হলে জীবিকা ভাতা ইত্যাদি শ্রম শাখার মাধ্যমে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে বিতরণ করা হয়। বন্দরের কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী উক্ত এই কল্যাণ ফান্ড পরিচালিত হয়।

শ্রম শাখা থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩ জন শ্রমিক/কর্মচারীকে মেয়ের বিবাহের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। ১২৫ জন শ্রমিক কর্মচারীকে জীবিকা ভাতা প্রদানসহ ১ হাজার ৩৬৯ জন শ্রমিক/কর্মচারীকে গ্র্যাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রণোদনা বা উৎসাহ বোনাস হিসেবে ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৬১ জনকে হাজার টাকা করে মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৫০৯ জনকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, ২০২০ সালে ৭ হাজার ২৩৪ জনকে ১১ হাজার টাকা করে মোট ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, ২০২১ সালে ৭ হাজার ৫৫৭ জনকে দেড় হাজার -টাকা করে মোট ১০ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ৬ হাজার ৭৫২ জনকে আড়াইহাজার টাকা করে মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ২০২২ সালে ৬ হাজার ৬৯৮ জনকে ৯ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬ হাজার ৬৭১ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার-টাকা দেওয়া হয়। সর্বশেষ বুধবার বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রণোদনা দেওয়া হলো।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *