সারাদেশ

গাইবান্ধায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুসহ মৃত্যু ২ 

ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণের অস্থায়ী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মেয়র। পরে তিনি টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

এরপর মেয়র নগরীর প্যারেড মাঠে চসিকের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীন করতে শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ-নির্দেশকে নিয়ে গিয়েছিল দেশের আনাচে-কানাচে। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী অনিশ্চিত সময়ে ছাত্র সংগঠক হিসেবে দেখেছি ছাত্রদের সাংস্কৃতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তোলার ব্যাপক তৎপরতা।’ 

‌’ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যে অন্ধকার সময় এসেছিল তা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পেরিয়ে এসেছি আমরা। আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়ছি তা বাস্তবায়নে ছাত্রদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে, ছাত্রদের বহন করতে হবে বিজয় মশাল।’

ছাত্রদের মাঝে সোনার বাংলা গড়ার শক্তি খুঁজে পান মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘ভাষার প্রশ্নে পাকিস্তানিদের সাথে লড়াইয়ে নেমেই শিক্ষার্থীরা বুঝে গেল আমাদের স্বাধীনতা চাই। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা গোপনে পোস্টারিং করতাম, স্বাধীনতার পক্ষের বিভিন্ন বই বিতরণ করতাম। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার উপলব্ধি ছাত্রদের মধ্যে আদর্শের জন্য লড়াইয়ের যে সৎসাহস থাকে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ছাত্রদের নিয়েই আশা দেখি। ছাত্রদের মাঝে খুঁজে পাই সোনার বাংলা গড়ার শক্তি ও অনুপ্রেরণা।’ 

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, কাউন্সিলর মো. জাবেদ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, নূর মোস্তফা টিনু, রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রাহমান সানি, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল টিপুসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে, রচনা ও চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন মেয়রসহ অতিথিরা। কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও শাহরীন ফেরদৌসী এবং প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *