সারাদেশ

সিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্তকারী ডগ স্কোয়াড

ডেস্ক রিপোর্ট: সিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্তকারী ডগ স্কোয়াড

সিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্তকারী ডগ স্কোয়াড

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) যুক্ত হচ্ছে নেদারল্যান্ডস থেকে আনা বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্তকারী ৯টি প্রশিক্ষিত কুকুরের একটি ডগ স্কোয়াড। আগামীকাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে এই ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে গঠিত কে-নাইন ইউনিটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিএমপি থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।

সিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো সিএমপিতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে মনছুরাবাদে নগর পুলিশ লাইন্সে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেগুলোকে রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তা ও মাদকের বিস্তার রোধে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ডগ স্কোয়াড চেয়ে সিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে দুই বছরের মাথায় ৯টি কুকুর পাওয়া গেছে।

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বলেন, মেটাল ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে অনেক সময় মাদক কিংবা বিস্ফোরক শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। তাই বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্ত করতে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াতের পাশাপাশি কে-নাইন ইউনিট আগামীকাল থেকে কাজ করবে।

সিএমপি থেকে জানা যায়, কুকুরগুলো বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্ত করতে সক্ষম। কে-নাইন ইউনিটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একজন সহকারী কমিশনার। প্রতিটি কুকুরের জন্য দুজন করে ১৮ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য এই ইউনিটে যুক্ত রয়েছেন। ডগ স্কোয়াড সদস্যদের পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যেই দুটি নতুন গাড়ি কেনা হয়েছে।

তিনদিন পর্যটক চলাচল নিষিদ্ধ সেন্টমার্টিন দ্বীপে

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে তিনদিন পর্যটক চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে দ্বীপের সকল হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ।

এতথ্য নিশ্চিত করে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সকল জাহাজ চলাচলও বন্ধ থাকবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজও বন্ধ থাকবে।

জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু নির্বাচনকালীন বহিরাগতদের চলাচল বন্ধ থাকবে, সেহেতু ৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের সকল হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজও বন্ধ থাকবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছে।

;

নতুন ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নতুন ভোটার সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের যারা নতুন ভোটার তাদের প্রতি আমার আহ্বান, এই ভোট যেন ব্যর্থ না হয়। তাই যারা নতুন ভোটার শুধু কোটালীপাড়া বা টঙ্গীপাড়া নয়, সারা বাংলাদেশের নতুন ভোটারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করতে হবে। কারণ তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি, এটাই আমরা বিশ্বাস করি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ শিক্ষায়, জ্ঞান বিজ্ঞানে প্রযুক্তিতে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারও কাছে মাথা নত করে নয়। আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় ওই বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে, মানুষ হত্যা শুরু করেছে। ট্রেনের ভেতর আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মারছে। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে আগুন দিচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত পরায়ণতা আমাদের বন্ধ করতে হবে। কাজেই যে যেখানেই আছেন, এই আগুন যারা দেয়, ক্ষতিগ্রস্ত যারা করে, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করে। ওদেরকে ধরিয়ে দিন, ওদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। সেইটাই সবার প্রতি আমার আহ্বান।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের দিনও বিচারক যাতে কোর্টে যেতে না পারে সেজন্য হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া বাধা দিয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিচার করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভোটে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছি।

সরকার প্রধান বলেন, জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তানি দোসরদের চক্রান্তে ১৫ আগস্ট আমরা আপনজন হারিয়েছিলাম। আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। আমি খুনিদের বিচার করেছি। আমাকে অনেকেই তখন বলেছিল তুমি পারবে না, তোমাকেও ওরা মেরে ফেলবে। আমি বলেছি, জীবনের মায়া করি না। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশে চলতে পারে না। খুনিদের বিচার এ দেশে হবে।

;

লালমনিরহাটে নৌকা প্রতীকে আগুন, পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ   ভোট এলো, এলো ভোট

লালমনিরহাটে নৌকা প্রতীকে আগুন, পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নৌকা প্রতীকে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলা হয়েছে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর রাতে ওই উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে- এটা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের নির্বাচনী অফিসের সামনে কাঠ ও কাপড় দিয়ে নৌকা প্রতীক বানিয়ে টাঙিয়ে দেয় আওয়ামী লীগের লোকজন। সেই নৌকায় শনিবার ভোর রাতে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়ো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি আতাউর রহমান প্রধানের সমর্থকদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের লোকজন যখন আমাদের অফিসের গেটে নৌকা তুলে তখনই আমরা অভিযোগ করেছি যে তারা নিজেরা নিজেদের প্রতীকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমাদের হয়রানি করবেন। আজ তাই হলো। আমরা নয়, তারা নিজেই আগুন দিয়েছে তাদের প্রতীকে।

তবে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের দাবি নৌকার জনপ্রিয়তায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন ভীত হয়ে নৌকা প্রতীকে আগুন দিয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

পুলিশের কাছে সব প্রার্থী সমান: পুলিশ সদর দপ্তর

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন

জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুলিশের কাছে সব প্রার্থীই সমান বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রাত্যহিক প্রেস ব্রিফিং’ এ তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশের কাছে সকল প্রার্থী সমান। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সকল প্রার্থী যেনো সমান সুযোগ পান, সেটা নির্দেশনা দেয়া আছে।

নির্বাচনকালীন সময়ে সারাদেশে পুলিশ সদস্য কর্মরত থাকছেন। নির্বাচনের দায়িত্বে, মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, ম্যাজিস্ট্রের সাথেও ডিউটিতে থাকেন। এমনকি ওইদিন যিনি থানার সিসি লেখেন, উনিও নির্বাচনী দায়িত্বে।

তিনি আরও বলেন, বৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে। কোথাও এ ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও গ্রেফতারও হচ্ছেন।

আমোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনময় পরিস্থিতি রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ কর্মাকর্তাদের বদলি এবং কাউকে কাউকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *