সারাদেশ

ভোট বেশী পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে, কম পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে

ডেস্ক রিপোর্ট: ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে, ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো ফলাফল একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ- ৩ আসনে ভোটের হার সবচেয়ে বেশী। এই আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন দুইলাখ ৪৯ হাজার ৯৯২ ভোট। ভোটের হার ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন ভোট পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট।  

আর সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসন। এখানে ভোট পড়েছে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫০৭ জন। নৌকা প্রতীকে কামাল আহমেদ মুজমদার ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট পেয়েছে লাঙ্গলের প্রার্থী সামসুল হোক পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪ ভোট।

গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করেন। এর মধ্যে এক বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন বাতিল করে ইসি। ময়মনসিংহ-৩ আসনে অনিয়মের কারণে ভোটের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। সব মিলিয়ে ২৯৮ আসনের ফলাফল প্রকাশ করে ইসি।  

ভোটের হারে এগিয়ে আ.লীগ, জাপা’র অর্জন সাড়ে ৩ শতাংশ   ভোট এলো, এলো ভোট

ছবি: বার্তা২৪.কম

সদ্য শেষ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। তার মধ্য সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৬৫ শতাংশ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৪ শতাংশ ভোট। আর সংসদে বিরোধী হতে যাওয়া জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র তিন শতাংশ ভোট।

সারাদেশ থেকে পাঠানো নির্বাচন কমিশনে তৈরী করা ফলাফল যাচাই বাছাই করে এই তথ্য পাওয়া যায়।

ইসির তৈরি করা ফলাফলে দেখা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা তিন কোটি ২১ হাজার ২০০ ও দলটির বিজিত প্রার্থীরা ৩৮ আসনে ২৫ লাখ দুই হাজার ১১৮ ভোট অর্থাৎ দলটির প্রার্থীরা মোট ভোট পেয়েছেন প্রায় তিন কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৩১৮ ভোট।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) জয়ী ১১ প্রার্থী নয় লাখ ৪৩ হাজার ৫১১ ভোট পেয়েছেন, দলটির বিজিত প্রার্থীরা পেয়েছেন সাত লাখ ৬২ হাজার ৩৪২ টি ভোট। অর্থাৎ জাপার প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ ৫ হাজার ৮৫৩ ভোট।

অন্যদিকে ৬২টি আসনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র থেকে বিজিত প্রার্থীরা ১৫৪ আসনে পেয়েছেন ৭০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৪ ভোট। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন প্রায় এক কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৩ ভোট।

আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন চার কোটি ৬৪ লাখ ৬৪ ভোট। অবশিষ্ট ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৩ ভোট জাতীয় পার্টি-জেপি, জাসদ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং অন্য ২৩টি দলের বিজিত প্রার্থীরা পেয়েছেন, যা প্রদত্ত ভোটের ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

২৯৮টি আসনের মোট ভোটার ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৪১ জন। ভোট পড়েছে চার কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭ জন (৪২ শতাংশ)। এ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৫ শতাংশ ভোট।

আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ৩ দশমিক ৪ এক শতাংশ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান তিনি।

আনোয়ারুল হক কাকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আমি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। আমি শেখ হাসিনার সফল এক মেয়াদ কামনা করি এবং তার নেতৃত্বে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

এর আগে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পা‌কিস্তা‌নের হাইক‌মিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সোমবার সকালে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন, ভারত ও রাশিয়াসহ বিশ্বের ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে গণভবনে চীন, ভারত, রাশিয়া ছাড়াও ভুটান, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, নেপাল, ব্রাজিল ও মরক্কোর রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ ১৯৭১ জন প্রার্থী অংশ নেন। ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে। ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি ১১টি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি এবং অন্যান্য দল ৩টি আসনে জয় পেয়েছে।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব কমে ১৯   ভোট এলো, এলো ভোট

ছবি: সংগৃহীত

সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী একাদশ সংসদের ২২ জনের তুলনায় নারী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা কমেছে। এবার ৯৮ প্রার্থীর মধ্য বিজয়ী হয়েছে ১৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত। বাকি ৩ জন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী।  

গত ১১টি জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৯৮ জন, যা এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ নারী প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে দুইজন হিজড়াও প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। 

এবারও আগের মত একই নারী বা পরিচিত মুখগুলোই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তবে অনেক মানিকগঞ্জ- আসনের মমতাজ বেগম ও গাজীপুর-৫ আসনের মেহের আফরোজ  চুমকি জিতে আসতে পারেনি।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যরা হলেন: গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা। চাঁদপুর-৩ ডা. দীপুমণি। রংপুর -৬ আওয়ামীলীগ শিরিন শারমীন চৌধুরী। গায়বান্ধা-৩ আওয়ামীলীগ  উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সিরাজগঞ্জ-২ মোছা: জান্নাত আরা হেনরী। বাগেরহাট-৩ হাবিবুর নাহার। বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান। বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা। শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী।  ময়মনসিংহ-৩ নাজনীন আলম। কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর। মুন্সিগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন। গাজীপুর-৩ রুমানা আলী। গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি।  চট্রগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার। কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার।  

আর আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে থাকা তিন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন: সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্তা,  মাদারীপুর-৩ মোসা: তাহমিনা বেগম। হবিগঞ্জ-১ আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। 

একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ফলাফল প্রকাশ করেনি ইসি। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। এ আসনের স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৩২ জন। দুজনের ভোটের ব্যবধান ৯৮৫। স্থগিত কেন্দ্রে আগামী ১৩ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

প্রথম নারী সাংসদ নির্বাচিত হন তৃতীয় সংসদে ১৯৭৯ সালে। এরপর ১৯৮৬ সালে ৫ জন, ১৯৮৮ সালে ৪ জন নারী সরাসরি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনগুলোতে মোট কতজন করে নারী প্রার্থী ছিলেন সে পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। ১৯৯১ সালের হিসাব অনুযায়ী ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন, ১৯৯৬ সালের জুন মাসের নির্বাচনে ৩৬ প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন, ২০০১ সালের নির্বাচনে ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৫৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন নারী নির্বাচিত হয়ে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২২ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংদদ নির্বাচনে ২৮ রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তারমধ্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২২২ টি আসন পেয়ে নিরুঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৭ মধ্য ৬২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়। আর জাতীয় পার্টি থেকে ১১ জন। বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি ১ জন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ থেকে একজন। কল্যান পার্টি থেকে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল। 

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

কে হবে বিরোধী দল নির্ভর করে স্বতন্ত্রের ওপর: আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

স্বতন্ত্র যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা কি জোট বাধবেন নাকি আলাদা আলাদা থাকবেন সেটার ওপর নির্ধারণ করবে সংসদে বিরোধীদল কে হবে। এর আগে বিরোধী দল নিয়ে কিছু বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই যে আপনারা ভোট দেওয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপনারা যে উন্নয়নের রাজনীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন সেজন্য আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

এসময় তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার এলাকার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আখাউড়ায় সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি।

বিএনপি’র সমালোচনা করে দলটির উদ্দেশে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে বঙ্গবন্ধুকে মেনে যদি রাজনীতি করেন তাহলে হয়তো জনগণ আপনাদেরকে গ্রহণে করবে। আর যদি সেটা না করেন তাহলে জনগণ আপনাদেরকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিবে।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা শাসনের রাজনীতি করেছেন। আর শেখ হাসিনা সেবা করেন। সরকারের মাধ্যমে তিনি জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

এসময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো  আবুল কাসেম ভূঁইয়া, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল উপস্থিত ছিলেন।

আইনমন্ত্রী পরে মহানগর গোধূলী ট্রেনে করে ঢাকায় উদ্দেশে আখাউড়া ত্যাগ করেন.

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হক এমপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অন্য দুই প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। আনিসুল হক এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

  ভোট এলো, এলো ভোট ;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *