সারাদেশ

মন্ত্রীদের জন্য প্রস্তুত গাড়ি

ডেস্ক রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেই অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারি যানবাহন অধিদফতরের কাছে ৪০টি গাড়ি ও ড্রাইভার চাওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, ৪০টি পতাকাও সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ ছাড়া গাড়িচালকদের নাম ও নম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় ৪০ জনের বেশি সদস্য থাকতে পারেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারি যানবাহন অধিদফতরের কাছে ৪০টি গাড়ি ও ড্রাইভার চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে শপথ অনুষ্ঠানটা বঙ্গভবনে হয়ে থাকে। এ বছরও তাই হবে। প্রস্তুতির মধ্যে কী কী বিষয় আছে সাংবাদিকদের— এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, যেখানে শপথ হয়, সেখানকার একটা প্রস্তুতি রয়েছে। ইনভাইটেশনের একটি তালিকা করতে হয়, সেই তালিকা করছি। ইনভাইটেশন কার্ড করতে হয়, সেটি আমরা করছি। বঙ্গভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এটার জন্য কিছু কাগজপত্র তৈরি করতে হয়, সেটা করছি। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ১৩০০ থেকে ১৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারবৃন্দ, সরকারের সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বিদেশি মিশন প্রধান, বিশিষ্ট নাগরিক, সিনিয়র সাংবাদিকসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অতিথির জন্য আমন্ত্রণপত্র তৈরি ও বিতরণ শুরু করেছে।

দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া নির্বাচনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী পরাজিত হয়েছেন।

কতজন মন্ত্রী এবারের সংসদে শপথ নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তুতির ওই অংশে আমরা এখনো কাজে যাইনি। যখন আমরা নির্দেশনা পাব, তখনই কাজ শুরু করব। আমি সেই নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।

সবশেষ সংসদে ৪৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ছিলেন। এবারও কমবেশি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ৪০টি গাড়ি চাওয়ার মানে হচ্ছে নতুন ৪০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হচ্ছেন। মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা যাই হোক, সব ধরনের সাপোর্ট দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তুত। অপর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ওই আসনের নির্বাচনের জন্য নতুন করে শিডিউল দেয়া হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচন এ মাসের ১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

২৯৮ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২ আসন ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের হার এবার বেশি। তারা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে একটি করে আসন পেয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমও কক্সবাজারের একটি আসন থেকে জয় পেয়েছেন।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *